somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন জীবন- চৌদ্দ

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব: নতুন জীবন- তের

পনের
আতঙ্কিত, হতবিহ্বল পেট্রাকে আমি বাড়ি নিয়ে এলাম। রাতে একেবারে ঘুমিয়ে না পড়া পর্যন্ত পেট্রা কিছুক্ষণ পর পর আতঙ্ক, দুঃখে আলোড়িত হয়ে যে আর্তনাদ করছিল, তাতে আমাদের পক্ষে কথা বলা সম্ভব ছিল না। ও ঘুমানোর পর সবাই পেট্রার ঘটনা নিয়ে  আলোচনা শুরু করলাম। রোজালিন প্রথমেই জানতে চাইল জঙ্গলে দেখা নতুন লোকটা কে! স্যালী জানালো ওর নাম জেরোম স্কিনার, এলাকায় নতুন, জঙ্গলের কাছেই ও খামার গড়েছে। রোজালিনের মনে হচ্ছিল লোকটা আমাদের নিয়ে কিছু সন্দেহ করছে; ভবিষ্যতে যাতে আবার এমন কিছু না ঘটে যাতে কারো সন্দেহ উদ্রেক হয়, তাই রোজালিন তার পরিকল্পনা করে সবাইকে জানায়।
- ডেভিড, পেট্রাকে আত্ম- নিয়ন্ত্রণ শেখানোর দায়িত্ব তোমার উপর। আবার যদি কখনো পেট্রা এভাবে দিকবিদিকে সঙ্কেত পাঠায়, তবে শুধুমাত্র আমি আর ডেভিড ওকে সাহায্য করতে যাব। আর যদি ও প্রথমবারের মত তীব্র টান দেয়া সঙ্কেত পাঠায়, যে ছুটে না গিয়ে উপায় থাকে না, তাহলে প্রথমে যে ওর কাছে পৌঁছাবে সে পৌঁছানো মাত্র যেভাবে পারে ওকে অচেতন করে ফেলবে, যেন সঙ্কেত পাঠানো বন্ধ হয়। এরপর খুব তাড়াতাড়ি নিজে কোথাও লুকিয়ে পড়তে হবে। আজ যেমন হলো, এভাবে আর কখনো যেন কেউ আমাদের একসাথে না দেখে সে ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে। বোঝা গেছে?

সবাই একমত হয়ে সে রাতের মত আলোচনা শেষ হলো, ঠিক হলো পরদিন থেকেই আমি  কিভাবে অন্যের কাছে বোধগম্য ভাবে ভাবনা- চিত্র পাঠানো যায়, সেটা পেট্রাকে শেখানো শুরু করব।

পরদিন দুপুরে আমি পেট্রাকে নিয়ে গেলাম মাছ ধরতে; ওকে শেখানোই আসল উদ্দেশ্য। দীর্ঘ সময় ধরে নানাভাবে চেষ্টা করলাম, তেমন অগ্রগতি হলো না। পেট্রা ঠিক আমাদের মত না, ওর ভাবনা অভিক্ষেপণ প্রচন্ড তীব্র, কিছু না বুঝেই ও চারপাশে তা ছড়াতে থাকে, তাতে আমার, আর অন্যদেরও কখনো কখনো মনে হচ্ছিল যেন মাথায় বাজ পড়ছে!! তারপরও প্রচন্ড কষ্ট সহ্য করে আমি পেট্রার প্রশিক্ষণ চালিয়ে গেলাম। এক সপ্তাহ পর দেখা গেল, খুব ভালো ভাবে না হলেও পেট্রা ভাবনা চিত্র পাঠাতে পারছে, অন্যদের ভাবনা চিত্র গ্রহণ করতেও পারছে। একদিন যখন শেখাচ্ছি তখন পেট্রা বলে উঠল,
- তোমরা এত তাড়াতাড়ি পাঠাও যে কেমন তালগোল পাকিয়ে যায়, তবু আমি বুঝতে পারি এটা তুমি নাকি রোজালিন, মাইকেল বা স্যালী। কিন্তু অন্যরা আরো বেশি তালগোল পাকিয়ে ফেলে।
- অন্যরা মানে, ক্যাথেরিন আর মার্ক?
- না না, ওদেরকে তো আমি বুঝতে পারি... আমি অন্যদের কথা বলছি, যারা অনেক দূরে থাকে।

আমি মাথা ঠান্ডা করে বুঝতে চেষ্টা করলাম; আমরা কজন ছাড়াও আমাদের মতো হয়ত আরো কেউ আছে!! পেট্রা তাদের শুনতে পাচ্ছে, কিন্তু আমরা অনেক চেষ্টা করেও কিছু শুনতে পেলাম না। পেট্রাকে বললাম তাদের থেকে যা শুনছে, সেটা আমাদের পাঠাতে। পেট্রা পাঠালো, কিন্তু ও এতটাই আনাড়ি যে ওর পাঠানো বার্তা খুবই জটপাকানো বলে মনে হতে লাগল!! হতাশ হয়ে আমরা সেই "অন্য লোকদের" খোঁজা বাদ দিয়ে পেট্রার প্রশিক্ষণ চালাতে লাগলাম। একাজে আমাদের উৎসাহ খুব ছিল, কারণ  আমাদের সবারই মনে হচ্ছিল যে, পেট্রার এক অনন্য সাধারণ ক্ষমতা আছে!!

পেট্রার ঘোড়ার ঘটনার দিন দশেক পর একদিন রাতের খাবারের পর এক্সেল খালু আমাকে আড়ালে ডেকে নিলেন। বললেন, জো ডার্লি নামের এক লোক আমার আর রোজালিনের সম্পর্কে খোঁজখবর করছে, এটা তার কাছে ভালো লাগছে না কারণ সবাই এই ডার্লি লোকটাকে ইন্সপেক্টরের চর বলে জানে। খালু ভয় পাচ্ছিলেন কেউ আমাদের সম্পর্কে জেনে গেল কিনা ভেবে, উনি বললেন পেট্রা বাচ্চা মানুষ, ও হয়ত কোন সন্দেহ জাগানিয়া ভুল করেছে। খুবই অবাক হলাম, পেট্রা আমাদের একজন এটা খালু জানলেন কী করে!! জিজ্ঞেস করায় উত্তর দিলেন, তিনি এ্যালানের থেকে জেনেছেন! এ্যালান তাকে মুখে বলেনি কিন্তু তার ভাবভঙ্গি দেখে খালু বুঝেছিলেন, সে আমাদের সম্পর্ক জেনে গেছে!! এ্যালান জেনে গেছে- এটা খালু নিশ্চিত হলেন কিভাবে প্রশ্ন করতে খালু বললেন, অনেকদিন আগে তিনি যখন রিগোতে থাকতেন তখন গ্রাউথ নামে অপরাধ জগতের চাঁই এক লোককে চিনতেন। গ্রাউথ তিনজন পুরুষ আর একজন মহিলাকে দিয়ে নানা অপকর্ম করাত। খালু জানতে পেরেছিলেন, গ্রাউথ এই চারজনের জীবনের কোন গোপন অধ্যায় জানত, তাই তাদের হাতের মুঠোয় ধরা পুতুলের মত নাচাতে !! এদের দেখলেই গ্রাউথের মুখে উল্লাস আর লালসার এক অদ্ভুত অভিব্যক্তি দেখা যেত...এই পর্যন্ত বলে খালু বললেন,
- আমি কখনো ভাবিনি, গ্রাউথের এই অভিব্যক্তি দেখব এই ওয়াকনুকে বসে!! একদিন উপাসনালয়ে সবাই যখন প্রার্থনা করছে, তখন দেখলাম এ্যালানের চোখ বারবার তোমার,রেচেল, রোজালিন আর পেট্রার উপর ঘুরছে, ওর মুখে হুবহু গ্রাউথের অভিব্যক্তি!! আমি ভয় পেলাম... ঘরে ফিরে এসে গ্রাউথের কথা, তোমাদের কথা ভালো ভাবে ভাবলাম, তারপর মনস্থির করে তীর ধনুক নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম।
- এক্সেল খালু, তাহলে তুমিই এ্যালানকে...
- এ্যালানের মতো ধূর্ত আর সুযোগসন্ধানী ছেলেকে মেরে ফেলা ছাড়া আর উপায় ছিল না। ও নিশ্চিত ভাবে তোমাদের ব্যবহার করে নানা খারাপ কাজ করাতো। ও প্রথমে কোন এক জায়গায় তোমাদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য লিখে সুরক্ষিত রাখত এই নির্দেশ দিয়ে যে, ওর মৃত্যু হওয়া মাত্র এই তথ্য ইন্সপেক্টরের কাছে পৌঁছাতে হবে। তারপর তোমাদেরকে একথা জানিয়ে রাখত, ফলে ওকে মেরে ফেললেও তোমরা নিস্তার পেতে না, ওর হুকুম তামিল করা ছাড়া তোমাদের উপায় থাকত না... ওকে না মারলে তোমাদের বেঁচে থাকা মুশকিল হতো।

খালুর কথা শুনে বুঝলাম, উনার দূরদর্শিতায় আমরা বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছি! সাথে সাথে এও ভাবলাম, এ্যালেন যদি কোথাও আমাদের সম্পর্কে কোন ইঙ্গিত দিয়ে থাকে, তাহলে এতদিন পর কেন খোঁজ খবর হচ্ছে!! এমনও হতে পারে, এর পেছনে আছে জেরোম স্কিনার, সেই হয়ত  কলকাঠি নাড়ছে!!

ব্যাপার গুরুতর মনে হল, তাই রাতে সবার সাথে আলোচনা করলাম এটা নিয়ে। মাইকেল বলল,
- সম্ভবত এই স্কিনার তার এলাকার ইন্সপেক্টরকে তার সন্দেহের কথা জানিয়েছে, সে আবার তোমাদের এলাকার ইন্সপেক্টরকে জানিয়েছে, অর্থাৎ বেশ কিছু মানুষ কিছু একটা সন্দেহ করছে। এখন সন্দেহের আওতায় একদিকে স্যালী- ক্যাথেরিন, আবার আরেকদিকে তোমরা তিনজন একসাথে, আমরা বাকি তিনজন সন্দেহের বাইরে!! যদি ইন্সপেক্টর তোমাদের কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে, কোনমতেই কিছু জানাবে না। কিন্তু ঝামেলা হবে যদি ওরা প্রথমেই পেট্রাকে ধরে; ও এতটাই ছোট আর অবুঝ যে অনেক কিছুই বলে ফেলবে!! তাই কোনমতেই পেট্রাকে ধরা পড়তে দেয়া যাবে না, যে কোন মূল্যে এটা রুখতে হবে। ডেভিড, এটা তোমার দায়িত্ব- যদি কাউকে এজন্যে মেরেও ফেলতে হয় তাহলে তাই করবে। আর যদি পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়, তাহলে নির্যাতন থেকে বাঁচাতে পেট্রাকেই মেরে ফেলতে হবে...

আমার সাথে তোমরা একমত তো?

সবাই একমত হল, আমিও। ভেবে দেখলাম, আহত ক্ষুধার্ত অনাবৃত অবস্থায় প্রান্তভূমিতে বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ করার চাইতে মরে যাওয়াটা পেট্রার জন্য স্বস্তিকর হবে। মাইকেল বলল, পেট্রাসহ আমাদের পাঁচজনের হঠাৎ পালাতে হতে পারে, তাই যেন সেভাবে তৈরি থাকি।

আমাদের দুর্ভাগ্য, তখন আমরা আলোচনা করছিলাম ততক্ষনে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়ে গেছে!! সন্ধ্যাবেলা তখন এক্সেল খালুর সাথে কথা বলছিলাম, তখনও ভাবিনি বিপদ আমাদের ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে। এই আলোচনা, আর মাইকেলের উপদেশ শোনার পর আমার মনে কুডাক ডাকতে লাগল। আমি বিছানায় যাবার আগে ধনুক আর অনেকগুলো তীর গুছিয়ে রাখলাম, একটা বড় ব্যাগ ভরলাম রুটি আর পনির দিয়ে। ঠিক করলাম সকালে উঠেই কিছু কাপড়, জুতা আর পানির পাত্র কোন সুবিধাজনক জায়গায় লুকিয়ে রাখব... এইসব ভাবতে ভাবতে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।

বড়জোর তিন ঘণ্টা পর ঘুম ভেঙ্গে গেল ঘরের হুড়কো খোলার শব্দে। তারার আলোয় দেখলাম পেট্রা দরজায় দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকছে। তখনই শুনলাম রোজালিন বলছে,
- ডেভিড, যত তাড়াতাড়ি পার বেরিয়ে পড়, স্যালী আর ক্যাথেরিনকে ধরে নিয়ে গেছে...
মাইকেল কথা বলে উঠলো,
- তোমরা দুজনেই খুব তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়।  মাত্র দশ মিনিট আগে ওদের ধরে নিয়ে গেছে, একেবারে অতর্কিতে দুজনকে একইসাথে ধরেছে। যে কোন সময় তোমাদের ধরতে যাবে... বেড়িয়ে পড়, এক্ষুনি!
- গমকলের সামনে যাচ্ছি, তাড়াতাড়ি এসো। রোজালিন বলল।

পেট্রাকে বললাম তাড়াতাড়ি রাতপোশাক বদলে নিতে, নিঃশব্দে। আমি খুব তাড়াতাড়ি কিছু পোশাক আর কম্বল নিয়ে বিছানার চাদর দিয়ে পোঁটলা বানালাম, অন্ধকারে তীর- ধনুক আর খাবারের ব্যাগ তুলে নিয়ে বাইরের দরজার কাছে এসে দেখলাম পেট্রা দাঁড়িয়ে আছে। কিছু বলতে যেতেই আমি ওর মুখে হাত দিয়ে থামলাম, তারপর ওকে শেবা নামের ঘোড়াটার ভাবনা চিত্র পাঠালাম। দুজনে পা টিপে আস্তাবলের কাছে পৌঁছাতেই অনেকগুলো ঘোড়ার খুরের আওয়াজ ভেসে এল। জিন ছাড়াই শেবার পিঠে পেট্রাকে নিয়ে বসে আস্তে করে বাসার পেছন দিক দিয়ে বেরিয়ে জোরে গমকলের দিকে ছুটলাম, ততক্ষণে বাসার সামনে অন্য ঘোড়াগুলো পৌঁছে গেছে!!

রোজালিনের সাথে যোগাযোগ করলাম,ও বিরক্ত হয়ে বলল,
- তোমার জন্যই এত দেরি হল। ভাগ্যিস পেট্রার ঘুম ভেঙ্গে ছিল! নাহলে মহাবিপদ হত!

পেট্রা বুঝতে পারছিল না কী ঘটছে, এবার সুযোগ পেয়েই ও ওর উত্তেজিত ভাবনা চিত্র পাঠিয়ে জানতে চাইল কী হচ্ছে! যেন বিদ্যুতের ঝলকে চারপাশ ঝলশে দিল!! এই ঝলক সামলে নিয়ে রোজালিন ওকে বলল পরে কথা বলবে, তারপর স্যালী আর ক্যাথেরিনের সাথে যোগাযোগ করল। দুজনেই সাড়া দিল।
- আমাদের ইন্সপেক্টরের কাছে আনা হয়েছে। আমরা কিছু বুঝতে না পারার ভান করছি। ঠিক আছে?
- একদম ঠিক আছে, মাইকেল আর রোজালিন বলে উঠলো।

স্যালী বলল আমরা যেন এখন আর যোগাযোগ না করি। ওরা ওদের মন বন্ধ করে রাখবে, যেন সাধারণ মানুষের মত আচরণ করা সহজ হয়...  রোজালিন এবার আমাকে তাড়া দিল তাড়াতাড়ি ওর কাছে পৌঁছাতে, কারণ এরমধ্যেইআমাদের খামারবাড়িতে অনেক আলো জ্বলতে দেখা যাচ্ছে।

আমি শেবাকে ছুটালাম, অল্প ক্ষণ পরে গমকলের কাছে পৌঁছে অন্ধকারে রোজালিনকে আবিষ্কার করলাম, একটা গাছের নীচে দৈত্য ঘোড়ার পিঠে বসে আছে। আমার হাত থেকে কম্বলগুলো নিয়ে কম্বলগুলো নিয়ে দৈত্য ঘোড়ার পিঠে পেতে দিল। পেট্রাকে আমি উঁচু করে ধরলাম, রোজালিন হাত বাড়িয়ে ওকে ধরে বসিয়ে একটা দড়ির মই নামিয়ে দিল দৈত্য ঘোড়ার পিঠে ওঠার জন্য। শেবার পিঠে একটা চাপড় মেরে ওকে বাড়ির দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে আমি মই বেয়ে দৈত্য ঘোড়ার পিঠে উঠলাম। ঘোড়ার পিঠে ঠিকমতো বসেছি কি বসিনি, রোজালিন ঘোড়া ছুটাল, পাশাপাশি ছুটল আরেকটা দৈত্য ঘোড়া, পিঠে অনেক লটবহর নিয়ে। রোজালিন বলল, আমাদের আলোচনার পরপরই ও পালানোর জন্য তৈরি হওয়া শুরু করে, ওর মা ওকে একাজে সাহায্য করেছেন। আমি মনে মনে ভাবলাম, পেট্রাকে বাঁচাবার জন্য হলেও আমার মা আমাকে পালাতে কোন সাহায্য করতেন না!!

আমি যখন নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিলাম, সেই সময়টা   রোজালিন জিনিস গুছানোর সময়ই মনে মনে ছক কষে রাখছিল কোন পথে গেলে আমাদের চলার চিহ্ন লুকানো যাবে; তাই কোন পথে যাব তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হল না। রোজালিনের নির্দেশ অনুযায়ী দৈত্য ঘোড়া কখনো ঝর্ণার মধ্যে দিয়ে, কখনো পাথুরে জমির উপর দিয়ে, কখনো জলাভূমির উপর দিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ভেতরে ঢুকে গেল। ভোরের আলো ফোটার পর আমরা আমরা জঙ্গলের ভেতর একটা ছোট মাঠ দেখে  থামলাম।


সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৪৫
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×