জন্ম নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে মেয়েদের ব্যাপারে ইসলাম কি ধারণা পোষণ করে তা সফি হুজুর মনে হলো নতুন করে মডারেট মুসলিমদের দেখিয়ে দিয়েছেন। মডারেট মুসলিমরাই সফির কথা শুনে আঁতকে উঠছেন। নাস্তিকেরা নয়। নাস্তিক যাদের চিনি তারা আগেই জানে শফিদের মুখ থেকে কি বচন বের হতে পারে। তবে শফি হুজুরদের মতো অশিক্ষিত লোকদের মধ্যে ভণ্ডামি কম। পাকিস্তানের তালেবানদের মধ্যেও ভণ্ডামি কম। এরা যা বিশ্বাস করে তাই বলে।
মডারেট মুসলিমরা শফিদের চেয়ে বড় ভণ্ড। এরা ধর্মে বিশ্বাস করে বেহেশতে যাওয়ার জন্য। দুনিয়াতে ধর্মের কোনো নিয়মই মানে না এরা। তারা ইসলামকে প্রগতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক না করে মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এবং জীবনধারণ করে একজন নাস্তিকের মতোই। শুধু বিশ্বাস দিয়ে পরে হলেও এরা একটা পর্যায়ে বেহেশতে যেতে চায়। এরা চতুর মানসিকতার। এরা ঈশ্বরকেও ধোকা দিতে চায় এবং বিশ্বাস দিয়ে মাসে-চান্দে নামাজ পড়ে বেহেশতে যেতে চায়।
মাঝে মধ্যে এদের কাছে প্রশ্ন করতে মন চায়, আচ্ছা তোমরা যে এই মানসিকতা পোষণ করো এসব কি তোমাদের ঈশ্বর বোঝে না?? হয় নাস্তিক হও নাহয় শফি হুজুরের কথা মতো চলো। নাস্তিক হলেও ঈশ্বরকে পরোকালে কইতে পারবা তোমার বেহেশতের লোভ আমার নাই। যা ভেবেছি তাই মেনেছি। ভণ্ডামি করি নাই।
যাইহোক, শফি হুজুরের কথা সংক্ষেপে যা দাড়ায়, মেয়েদের কাজ হলো বাড়িতে থেকে পোলাপানের গু-মুত সাফ করা। ওরা কেন বাইরে যাবে? ওদের পড়াশোনার কাজ কি?
মডারেট মুসলিমদের কেও কেও তর্ক করতে পারেন যে, মেয়েদের ঘরে বন্দী করার ব্যাপারে ইসলাম কিছু বলে নাই, কারন বিবি খাদিজা ব্যবসা করতেন। কিন্তু তারা এটা বোঝে না যে, বিবি খাদিজা ওই সময়ের একমাত্র ব্যতিক্রম উদাহরণমাত্র। এবং বিবি খাদিজাকে নারীদের জন্য মডেল করা হয়নি। ফাতিমা থেকে শুরু করে সমাজের সব মেয়ে ছিল ঘরের মধ্যে ।
মেয়েরা পড়াশোনা করে ব্যাবসা বানিজ্যে এগিয়ে যাবে, সম্পদের মালিক হবে সে ব্যাপারে ইসলামে কোনো সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। বরং ফাতেমাকে নারীদের জন্য মডেল করা হয়েছে। খাদিজাকে নয়। সত্য এটাই । এটাই ইসলাম।মডারেট মুসলিমদের অনুরোধ করি, আপনারা দয়া করে ফাতিমার জীবনী পড়ে নিয়েন।
আপনারা ভণ্ডামি না করে হয় নাস্তিক হোন। যদিও নাস্তিক হতে যোগ্যতা লাগে। ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া দীর্ঘদিনের লোভ আর ভয়ের জগতকে লাত্থি মেরে মুক্ত মানুষ হওয়ার ক্ষমতা দুর্বল আর লোভী মানুষের নেই।
সেই ক্ষমতা অর্জন করতে না পারলে শফি হুজুরকে ভক্তি শ্রদ্ধা করে তার কথা মতো চলুন। তাহাকে গুরুভক্তি করুন। দিবানিশি পদধূলি নিন। তার কথা মতোন, নারীদের ঘরে রাখুন ফাতেমার মতো। বাচ্চাদের গু-মুত পয়পরিস্কার এবং স্বামী সেবার মধ্যেই নারীদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ রাখুন।
আপনারা এখন বেজায় শিক্ষিত হয়ে পড়েছেন। তাই শফি হুজুরের কথা আর ভালো লাগে না, নাকি? ভণ্ডামি ছেড়ে লাইনে আসুন। যদিও অসত্যমগ্ন বাঙালীর পেটে উচিত কথা বদহজম হয়।
সর্বশেষ 'ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড' শিরোনামে আমি একটি ধারাবাহিক সিরিজ লিখছি। সিরিজটি দ্বিতীয় পর্ব পর্যন্ত লিখেছি। সেখানে আপনাদের ভণ্ডামি নিয়েও কিছু কথা রয়েছে। যাইহোক যারা লেখাটি পড়েননি তাদের পড়ার আহবান জানাই। নিজেকে ও নিজের সমাজকে চিন্তে পারবেন। বদহজম হলে বমি করে উগড়ে দিয়েন।
ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১