
২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথম ক্ষমতায় আসেন ইসরায়েলের প্রতি তার মনোভাব ইতিবাচক ছিলো। ইসরায়েল কে তিনি যে কোনো বহিঃশক্তির আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য এবং আরব বিশ্বের স্বীকৃতি লাভের সুযোগ করে দিতে 'আব্রাহাম অকির্ড ' চুক্তি করেছিলেন। সে চুক্তি অনুযায়ী আরব মুসলিম রা ইসরায়েল কে স্বীকৃতি দিবে তার বিনিময়ে আমেরিকার অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পাবে। চুক্তিতে কোথাও ফিলিস্তিন কে স্বীকৃতি দেয়ার কথা উল্লেখ ছিলো না। এই ঘটনায় ফিলিস্তিনি রা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়।
প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প আমেরিকার দূতাবাস তেল আবিব থেকে ইসরায়েলের জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করেন । জেরুজালেম কে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনি রা তাদের ধর্ম এবং সংস্কৃতি উপর আঘাত মনে করে আমেরিকার এই সিদ্ধান্ন্তের প্রেক্ষিতে আমেরিকাকে বয়কট করে।
ইসরায়েল কে সুরক্ষা দেয়ার জন্য ইরান এবং তার মিলিশিয়া বাহিনীর উপর চাপ বাড়াতে ইরানের উপর ট্রাম্প বৃহৎ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়। পারমাণবিক চুক্তি হতে আমেরিকা সরে আসে। ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক কমান্ডার কাশেম সোলাইমানি কে হত্যা করা হয়।
২০২৪ প্রসিডেন্ট নির্বাচনের পূর্বে সেপ্টেম্বর মাসে লাস ভেগাসে ইহুদিদের এক জমায়েতে ট্রাম্প বলেন " আমি যখন প্রেসিডেন্ট হবো ইসরায়েল যাতে হাজার বছর টিকে থাকে সে জন্য কাজ করবো। আমি ক্ষমতায় থাকলে ইসরায়েল-হামাস-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ হতো না। আমার প্রথম মেয়াদে অন্য যেকোনো প্রেসিডেন্টের তুলনায় আমি ইহুদিদের জন্য বেশি কাজ করেছি। কামালা হ্যারিস ক্ষমতায় আসলে হামাস ইসরায়েলে ঢুকে পড়বে এবং ইসরায়েল কে ধ্বংস করবে। হামাস জঙ্গীরা পবিত্র ভূমি ইসরায়েলে ঢুকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ইহুদি নিধন করবে। ক্ষমতায় গেলে আমেরিকায় বসে যারা জেহাদি এবং জঙ্গী দের সমর্থন দিচ্ছে তাদের বের করে দিব।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কামালা হ্যারিস কে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে ট্রাম্প জেতার পর ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বব্যাপী আমেরিকান মদদে চলা যুদ্ধ তিনি বন্ধ করে দিবেন। যদিও মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে তার কৌশল উল্লেখ করেননি।পূর্বের মতো ইরানের উপর আরো চাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে আরব মুসলিম দেশ ( হামাসের মিত্র) দেশের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
ট
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



