
আজ ৭ই নভেম্বর সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের মানুষের জাতীয় জীবনে এই দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষের কাছে দিবসটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে। সামুতে অনেক জ্ঞানী ও ভিন্ন মতাদর্শের ব্লগার রয়েছেন। আপনাদের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রাখতে চাই। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ ও তার পরবর্তী ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে মূলত এই প্রশ্নগুলো সাজানো হয়েছে :
১. শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশালে সদস্য না হয়েও এবং ১৯৭৪ সালেই বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভা থেকে বহিস্কার হবার পরেও ৩ নভেম্বর কেনো তাজউদ্দীন আহমদকে জেলে হত্যা করা হলো বা কারা করলো?
২. ৩ নভেম্বরের ঘটনাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার ও সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ বন্দি করলো। ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করতে ভূমিকা রাখা বিপ্লবী সেনা সংস্থার প্রধান কর্নেল তাহেরকে কেনো জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকতেই ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো?
৩. ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়া মুক্তিবাহিনীর কমাণ্ডার ওসমানী কেন ১৯৮৪ সালে লন্ডনে এবং সেক্টর কমাণ্ডার মেজর জলীল ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানে মারা গেলো কেনো? আমি আসলে বুঝাতে চেয়েছি দেশের মাটিতে না কেন?
৪. ৭ নভেম্বরে ২ জন সেক্টর কমাণ্ডারকে (খালেদ মোশাররফ ও এটিএম হায়দার) খুন হতে হয় এবং ১ জন সেক্টর কমাণ্ডার (জিয়াউর রহমান) মসনদ ফিরে পান। তাহলে ৭ নভেম্বর ইতিহাসে গৌরবের নাকি অগৌরবের ? নাকি যখন যে যেটাকে স্বীকার করে?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



