
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান এবং ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাসের উপর চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । কাতারের দোহায় হামাসের সদর দপ্তর বন্ধ করে দেয়া এবং বসবাসরত হামাস নেতাদের দেশ থেকে বের করে দিতে কাতারকে অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্ব হামাস কে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' হিসাবে দেখে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানে ইরানের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। শাকেরিতি নামে একজন আফগান নাগরিক ইরানের মদদপুষ্ট হয়ে নির্বাচনী সভা চলার সময় ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে বলে সে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়; একান্ন বছর বয়সী শাকেরিতি এখন ইরানে আছেন বলে ধারণা করা হয়। ইরান এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করে নি।
ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় আসায় ইরানের বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন ইরানের তেল বাণিজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। পারমাণবিক ইস্যুতে ট্রাম্প ইসরায়েল কে ব্যবহার করে সামরিক স্থাপনায় হামলা এবং সামরিক শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিদের হত্যা করতে পারেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার কিছু সময় পর ডলারের বিপরীতে ইরানের মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসলে ইরানের খোমেনি রেজিমের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামতে পারে।
ইরানের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমেরিকার নীতি সব জায়গায় সমান নয়। পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইসরায়েলের জন্য আমেরিকার নীতি ঢিলেঢালা কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উপর কেন এত নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে? ভবিষ্যতে ইরানের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করা হলে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ তার নিজ গন্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



