


বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় প্রেমিকার চাহিদা পূরণ করতে হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে উম্মে সালমা খাতুন (৫০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান। হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে যান তিনি এবং ঘটনাকে ডাকাতি হিসেবে সাজাতে আলমারি কুপিয়ে বাসার তালা লাগিয়ে বাইরে চলে যান।
সাদ বিন আজিজুর রহমান স্থানীয় মাদরাসায় কামিল শ্রেণির ছাত্র। মায়ের সাথে সবসময় হাত খরচের টাকা নিয়ে ঝামেলা চলতো। যেদিন হত্যাকান্ড ঘটে সেদিনও এমন ঝগড়া করে ছেলেটি সকালের নাস্তা না খেয়ে মাদরাসায় চলে যায়। মধ্য বিরতিতে চুপেসারে এসে মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডাকাতির নাটক সাজিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্টাটাস দেয়।
ছেলেটি হতভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। অল্প বয়সে ইহকাল ও পরকাল সব হারাইলো। বাবাকে নিসঙ্গ করে দিলো। বাবায় হয়তো আরেকটি বিয়া করবার পারেন। যদি পোলাডা সাজা খাইট্টা বাইর হইয়া আসে তখন বুঝবো জীবন কত কঠিন!
স্টুডেন্ট পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বাবা-মা রা এখন সন্তান দের প্রতি বেশি মাত্রায় স্নেহশীল।উহারা শক্ত করিয়া ধমক পর্যন্ত দিতে পারেন না। ক্লাস টু তে পড়া বাচ্চা স্মার্ট ফোন চালিয়ে পানু দেখে। সন্তান কষ্ট পাইবো যদি তারা মন্দ কথা বলেন সে জন্য আমার কাছে আইসিলো সমাধান চাইতে। আরেক পোলায় পড়াশোনা না কইরা সারাদিন গেইম খেলতো।বাবা মা শাসন করলে তাগো সুইসাইডের ভয় দেখাইতো। এমন পোলাপান ও দেখছি খাইতে বইয়া তরকারি মনমতো হয় না দেইখ্যা মায়ের পার্স থাইক্যা টাকা লইয়া হোটেলে খাইতে গেছে।
মানুষের মইধ্যে মায়া মমতা কইম্যা গেছে গা।এইজন্য বিদেশি বই বিশেষ কইরা সাউথ ইন্ডিয়ান মার-দাঙ্গা মুভি এর পিছে দায়ী। মুড়ি মুড়কির মতো মানুষ কোপাইতেসে, সন্ত্রাসী রে হিরো বইল্যা প্রচার করতাসে।কোপ দিয়া কল্লা নামায় ফেলতাসে। গতকাল সাভারে মাথা এবং হাত কাটা নারীর দেহ পাওয়া গেছে। যারা এই কামডা করছে এরা সব রেগুলার সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি দেহে!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



