
ইরানের একজন সুপরিচিত মানবাধিকার কর্মী দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আত্মহত্যা করেছেন। সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে কিয়ানোশ সানজারি জানান যে, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই চার রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি না দিলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। ওই পোস্টের ঘণ্টাখানেক পরেই তার সহকর্মীরা জানান যে, তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি একটি পোস্টে লিখেছেন যে, তিনি আশা করছেন একদিন ইরানিরা জেগে উঠবে এবং দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসবে।
সানজারি ছিলেন ইরানি নেতাদের কড়া সমালোচক এবং প্রবলভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ। মৃত্যুর আগে তিনি বলে গেছেন যে, কারও মতপ্রকাশের জন্য তাকে বন্দি করা উচিত নয়।
বেশ কয়েকবছর ধরে ইরানের খোমেনি সরকারের প্রতি তরুণ বয়সী নারী পুরুষ আন্দোলন করছে। ২০২২ সালে একজন নারীকে সঠিক ভাবে হিজাব না পড়ার জন্য গ্রেফতার করা হয়;পরে সে নারী মারা যান।ইরানের নোবেল বিজয়ী নারী মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদী খোমেনি রেজিমের প্রতিবাদ করায় কারাগারে ৩০ বছরের জন্য সাজা খাটছেন। নভেম্বর মাসের শুরুতে ইরানের আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী শুধুমাত্র অন্তর্বাস পড়ে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ইরানের নারীরা হিজাব পড়ার বিরুদ্ধে দিন দিন প্রতিবাদী হয়ে উঠছে।
ইরানের সরকার আইন করেছে, যে আব নারীরা হিজাব না পড়ে বের হবেন তাদের 'মানসিক ক্লিনিকে' নিয়ে চিকিৎসা করানো হবে। মানবাধিকার কর্মীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। কারণ এই ' মানসিক ক্লিনিক' মূলত একধরণের টর্চার সেল যা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খোমেনির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



