
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরপর প্রশাসন সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলোচিত ব্যক্তিদের নিয়োগ নিয়ে যেমন আলোচনা -সমালোচনা চলছে। তবে বাংলাদেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের প্রশাসনের যার নিয়োগ নিয়ে ঘরে-বাইরে একধরণের শঙ্কা দেখা দিয়েছে তিনি হলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সীর ডিরেক্টর তুলসী গ্যাবার্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ টি ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের হেড হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি যার মধ্যে সিআইএ, নেভী, আর্মির মতো সংস্থা রয়েছে। তুলসী গ্যাভার্ডের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার খুব চমকপ্রদ! তুলসী মূলত ডেমোক্রেট দলের একজন সক্রিয় রাজনীতি বিদ, কংগ্রেসের সদস্য হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তবে সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে তিনি রিপাবলিক শিবিরে যোগ দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে পদায়িত হন।তুলসী গ্যাবার্ড ভারতীয় বংশদ্ভূত কোনো হিন্দু নন। তার জন্ম আমেরিকার সামোয়াতে; গ্যাবার্ডের মা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নিজের সন্তানদের নাম হিন্দুদের মতো রাখেন। তুলসী গ্যাবার্ড সনাতন ধর্মের সংগঠন ইসকনের একনিষ্ঠ সমর্থক ও ভারতের বিজেপি সরকারের সাথে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০১৫ সালে গ্যাবার্ডের বিয়েতে আরএসএসের মুখপাত্র রামমাধব নরেন্দ্র মোদীর পারসোনাল বার্তা পড়ে শোনান। গুজরাট দাঙ্গার কারণে নরেন্দ্র মোদী কে ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তুলসী গ্যাবার্ড।
২০২১ সালে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মের মন্দির ভাঙচুর,বাড়িঘরে হামলা ও দোকানে লুটপাটের ঘটনা নিয়ে টুইটারে বলেন, বাংলাদেশের মন্দিরে ভগবানের ভক্তদের বিরুদ্ধে এমন ঘৃণা ও সহিংসতা দেখে আমার মন ভেঙে গেছে। জিহাদিদের এই বিশ্বাস, যে মন্দির ও মূর্তি জ্বালিয়ে দেওয়া এবং নষ্ট করলে তাদের ঈশ্বর সন্তুষ্ট হবেন, আসলে দেখায় যে তারা ঈশ্বর থেকে কতটা দূরে। বাংলাদেশের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের কাছে সময় এসেছে যে তারা হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধসহ সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ঘৃণার জিহাদি শক্তির হাত থেকে রক্ষা করুক। উলেখ্য সে সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বর্তমানে ভারতে পলাতক আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা!
ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাবার্ড দায়িত্ব নিলে ভারতের পক্ষে ড. ইউনূসের সরকারের উপর চাপ ও অসহযোগিতা বাড়তে পারে। ভারত ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্ব ব্যাপী অপপ্রচার চালাচ্ছে। সংখ্যালঘু দের উপর নির্যাতন হচ্ছে ভারত বারবার এই ন্যারেটিভ বিশ্বকে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে । যদিও বাংলাদেশ থেকে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। জুলাই আন্দোলনে আমেরিকার মদদে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াকিবহাল রয়েছে এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর উপর প্রছন্ন প্রভাব ধরে রেখেছে। বর্তমান সরকারের উচিত ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও বাংলাদেশের সঠিক পরিস্থিতি ব্রিফ করা যাতে আমেরিকা কোনো প্রকার অপপ্রচারে প্রভাবিত হওয়া থেকে বিরত থাকে।
আজ ব্রিটেনের প্রতিনিধি দল ড.ইউনূস কে নির্বাচন কালীন রূপরেখা ও সংস্কারের বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান। ব্রিটেন মনে করে বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগ সহ সকল দলের অংশগ্রহণে দ্রুত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



