
গত রবিবার বাইডেন প্রশাসন থেকে ইউক্রেন কে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখন্ডে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দীর্ঘদিন ধরে 'এটিএসিএমএস' ক্ষেপনাস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে এসেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ১৯০ মেইল বা ৩০৬ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু তে হামলা করতে সক্ষম।
কয়েক সপ্তাহ পূর্বে রাশিয়ায় যুদ্ধ করার জন্য উত্তর কোরিয়া সৈন্য পাঠানোর অভিযোগে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে গত ২/৩ মাস ধরে ইউক্রেনের হয়ে ন্যাটো সামরিক জোটের সেনারা যুদ্ধ করছে। ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় উঠে এসেছে, গত অক্টোবরে রাশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেন ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ায় তীব্র সমালোচনা করেছেন রাশিয়ার এক আইন প্রণেতা। তিনি বলেছেন, এই ধরণের সিদ্ধান্ত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে গণ্য হবে । ইউক্রেন যদি নিজ ভূখন্ড থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র চালায় রাশিয়ার ভূখন্ডে তবে ইউক্রেন যুদ্ধের গতি প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে যাবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন অবশ্য কোনো মতামত দেন নি। তবে সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বলেছেন, যদি কোন পারমাণবিক শক্তিধর দেশ সামরিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেনকে ক্রমাগত সাহায্য করে যেতে থাকে তবে রাশিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে না।
বাইডেন প্রশাসন কি ক্ষমতা ছাড়ার আগেই পুতিনের সানডে মানডে ক্লোজ করিয়া দিতে চান নাকি! পশ্চিমা জোটের নিকট প্রকৃত তথ্য রহিয়াছে হয়তো রাশিয়ার পুতিনের সেনাবাহিনীর করুণ দশা লইয়া। যদি এই ঘটনা সত্যই ঘটিয়া থাকে তবে রাশিয়ার প্রকৃত শক্তি প্রকাশিত হইয়া যাবে বাংলার জনগণের নিকট। বাংলার জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে ব্যথিত!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



