
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস অনেক পুরাতন হলেও বিগত ১৫ বছরের আওয়ামী শাসনের ঘটনা বেশি আলোচনার দাবী রাখে। বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ড্রাষ্টির ইতিহাস অনেক পুরোনো। মুক্তিযুদ্ধের ছবি, সামাজিক ছবি তৈরিতে অতীতে আমাদের ইন্ড্রাষ্টির সুনাম থাকলেও কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যেতে বসেছে। আগের দিনের মতো ভালো নায়ক নায়িকার অভাব, গল্পের অভাব, বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারা এর পিছনে প্রধান কারণ হিসাব্ব ধরা হয়। বিগত আওয়ামী শাসনের আমলেও অনেক আশা ও ভরসার কথা শোনা গেলেও বাস্তবিক ভাবে কোনো উন্নতি ঘটে নি। বরং রাজনীতিবিদেরা জড়িয়ে গেছেন সিনেমার জগতের সাথে! অন্যদিকে রাজনীতিবিদেরা নিজেদের কাজের সহযোগী হিসাবে প্রশাসনের বিভিন্ন লোককে ব্যবহার করতেন; ফলে তারাও সিনেমা জগতের সাথে জড়িয়ে যায়। আলোচিত কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক!
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রায় ওপেন সিক্রেট ঘটনা ছিলো র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীরের সাথে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার বিদ্যা সিনহা মীমের রগরগে প্রেম কাহিনী । বিদ্যা সিনহা মীম তখন লাক্স চ্যানেল আই তে সবে সুযোগ পেয়েছে। অন্যদিকে বেনজীর আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় নিজের আখের গুছাতে শুরু করেছে। হটাৎ বেনজীরের নজর পড়লো বিদ্যা সিনহা মীমের উপর; মীম দেখতে বেশ সুন্দরী, লম্বা ও কথাবার্তায় আকর্ষনীয় ছিলো। মীমের ঢাকায় এসে লাক্স চ্যানেল আইতে অডিশন দেয়ার পিছে আওয়ামী লীগের প্রভাব শালী নেতা তোফায়েল আহমেদের ভাতিজার কম অবদান নয়। তিনি অনেক টাকা খরচ করে মীম কে গুলশানে রেখেছিলেন। বউ থাকা সত্ত্বেও মাঝে মধ্যে সময় কাটাতে মীমের কাছে যেতেন। অন্যদিকে বেনজীর মীমের প্রতি দিন দিন দূর্বল হয়ে পড়ছে। বারবার গিফট পাঠানো, দেখা করতে চাওয়া এবং সবশেষে বিদ্যা সিনহা মীম কে ঘায়েল করতে সক্ষম হয়। একই সাথে তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা কে আউট করে দেয় বেনজীর তার নিজস্ব কূটকৌশলে। বেনজীর আস্তে আস্তে মীম কে দখল করে ফেলে। বিদ্যা সিনহা মীম দীর্ঘদিন বেনজীরের সাথে সম্পর্কে থাকার পর বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু ততোদিনে বেনজীরের দেশি, বিদেশি মেয়েবন্ধু হয়ে গেছে অসংখ্য! বিদ্যা সিনহা মীম ব্যাপার টা বুঝতে পেরে বেনজীর থেকে সরে আসে। বেনজীরের ততদিনে মীমের প মোহ কেটে গেছে তাই কিছু বলে না। বিদ্যা সিনহা মীম বিয়ে করে আপাতত অনিয়মিত হয়ে পড়েন সিনেমা জগতে।
আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মুরাদ হোসেন ওরফে মুরাদ টাকলার সাথে চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহির ফোন আলাপ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। ফোন রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর শোনা যায় মাহিয়া মাহির সাথে মুরাদ টাকলা যৌন সুড়সুড়ি মূলক আলাপ করছে। মাহিয়া মাহিকে নিয়ে নানা ধরণের যৌন ফ্যান্টাসি তে ভুগছেন এমন আলাপও শোনা যায় ফোন কলে। তাদের ব্যাপারে আর তেমন কিছু শোনা যায় নি।
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শেখ সেলিমের সাথে চিত্র নায়িকা নিপুণের সম্পর্ক বেশ চর্চিত হয়। নিপূণ তেমন ছবি না করলেও শেখ সেলিমের প্রভাব খাটিয়ে এফডিসির পরিচালকের পদ দখল করেন। গুলশানে খুব ব্যয়বহুল বিউটি পার্লারের মালিক বনে যান এই নায়িকা!শেখ সেলিমের গার্লফ্রেন্ড হিসাবে নায়িকা নিপূণ সুপরিচিত ছিলেন । (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



