
বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার জন্য সমাজের একটি বৃহৎ অংশ দাবী জানিয়ে আসছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি কে অনেকে দায়ী করছে কারণ তারা সরাসরি আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার পক্ষে তাদের মতামত দেয় নি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিশেষ সংশোধনী তে কোন দল অপরাধ করলে তাকে শাস্তির বিধান ও নিষিদ্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল উপদেষ্টা পরিষদে সবার মতামতের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী তে কোন রাজনৈতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ বা শাস্তির বিধান রাখার বিষয় টি বাদ রেখে খসড়া প্রস্তাব পাশ হয়। কারণ হিসাবে জানানো হয় বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে এবং কাউকে রাজনৈতিক বিবেচনায় যাতে ফাঁসানো না হয় সেজন্য নিষিদ্ধ বা শাস্তির বিধান সংশোধনী থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে চাইলে তা সন্ত্রাস বিরোধী আইন, নির্বাচন আইন অথবা ১৯৭৮ সালে জারীকৃত অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে করা যাবে। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেও তা করা যেতে পারে বলে আশা করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল!
জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপি-জামাত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠন গুলো মূলত বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার মাস্টারপ্লান অনুযায়ী কাজ করেছে।বিদেশি শক্তির প্রধান লক্ষ্য ছিলো হাসিনা রেজিমের পতন। গতবছরের নভেম্বর - ডিসেম্বর মাসে বিএনপি ও জামাতের সাথে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিভিন্ন পশ্চিমা দূতাবাস দীর্ঘসময় বৈঠক করেছিলেন। এছাড়া সুশীল সমাজের প্রতিটি আলোচনা সমাবেশে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস গুলো থেকে প্রতিনিধি দল থাকতো। তারা বিভিন্ন সময় জানতে চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের যদি পতন ঘটানো হয় তবে দেশে কি গৃহযুদ্ধ হবে কিনা! এই ধরণের আলাপের কিছু নমুনা আমাদের সো কল্ড মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ আলমের ফেইসবুক স্টাটাসে পাওয়া যায়।
আমেরিকা,ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ রয়েছে সরকারের উপর। তাই জনমত থাকলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারছেন না। উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র প্রতিনিধিদের এই বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে যাতে মাঠের ছাত্র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে না দেয় । রাজনৈতিক দল বিএনপি নিজেও বৈদেশিক চাপে রয়েছে। ভারত, আমেরিকা ও ব্রিটেন সবসময় যোগাযোগ রেখেছে যাতে বিএনপি তাদের কথার বাইরে না যায়। জামায়াতে ইসলামের আমীর লন্ডনে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন আওয়ামী লীগ কে ফ্যাসিস্ট বলতে উনার খারাপ লাগে। যারা অপরাধ করেছে তারা শাস্তি পাবে এবং যারা নিরীহ আওয়ামী লীগ তাদের জামাত সাহায্য করতে চায়।
এখন যে নানা ধরণের আন্দোলন চলছে বা ঘটানো হচ্ছে এসব কিছু সাজানো বলে মনে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কে ব্যস্ত রাখা হবে একের পর এক ইস্যু দিয়ে অন্যদিকে সরকার বিদেশি শক্তির পরামর্শ অনুযায়ী তাদের সংস্কার কাজ চালাবেন। বিদেশি শক্তি ও সেনাবাহিনী যখন চাইবে তখনই কেবল নির্বাচন হবে। দেশের মানুষের মতামত এখানে মুখ্যবিষয় নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



