সেই স্বাদ, মজা আর প্রশান্তি আর নাই। যদিও কাবাব বলতে চেটজিপিটি বা গুগোল আপনাকে যা বলবে সেটা বিসমিল্লাহ কাবাবের দোকানটাতে পাবেন না। সেখানে তেল চিটচিটে ফ্রাই কাবাব বলেন আর চাপ বলেন তা পাবেন। গুরদা পাবেন, বটিকাবাব পাবেন, টিকিয়া পাবেন, গরুর চাপ, মুরগির রান সিনা থেতলানো চাপ পাবেন, হটপটে ভেজে রাখা নেতিয়ে যাওয়া পরাটা পাবেন।যদিও লালকরে পরাটা ভাজাটা আমার ব্যাক্তিগত ডিমান্ড ছিল দোকানের বাদশা নামে বয়কে বললেই ২য়তলা পরাটা ভাজার জায়গা হতে কিভাবে যেন ম্যানেজ করতো, আল্লাহ মালুম। আর তেতুলের কাত, কাচা পেপে, পেয়াজ, মরিচ দিয়ে সালাদ পাবেন।
দোকানটা আরো বড় হইছে একটার জায়গায় ৩টা হইছে, শুরুর দিকে যে দোকানটায় না গেলে কি যেন মিস হয়ে যেত সে দোকানটা এখন বিসমিল্লাহ কাবাবের দোকান হিসাবেই কেউ আর ধরে না। ঝা-চকচকা করতে যা লাগে সবি আছে। পাশাপাশি ২টা আর রাস্তার অপর পাশে একি নামে সি-ফুড কাবাব বেচে, পাশে বরফে ডেডবডি হয়ে শুয়ে আছেন জনাব টুনা ফিস, কোরাল, চিংরি, লবস্টার, কালচে সবুজ কাকড়া। মশলা আরো বেশ ভাল কিছু তৈজশ পত্রে পরিবেশন করা হয়। আগের মত দোকানে ঢুকতে একটু সাবধানী হতে হয় না, সাবধানী নাহইলে চাপ ভাজার তাওয়াটায় সেক লাগতে পারে।
খাবারের পরে খবরের কাগজের জায়গায় টিস্যু আসছে। র্সাভারদের গায়ে একি রং-এর ওমুক কোম্পানীর স্পন্সার করা গেন্জী আসছে। দোকানের বাদশা নামে বয়টি এখনো আছে আশে পাশেদিয়ে গেলে দেখা হলেই উচ্চস্বরে ডাকতে ভুলে না।
প্রশ্ন হল স্বাদ কি খাবারে নাই? নাকি আমাদের টেস্টবারে নাই? নাকি সেই তেতুলের টকটা আর সেই কারিগরের হাতের জোশ নাই? নাকি সেই কারিগরই নাই? নাকি দামের কারনে আর স্বাদ বারানোর কায়দা করেনা সময় নিয়ে? নাকি মশলায় ভেজাল? বেশনটা ছোলার ডালের জায়গায় এংকারের ডালের??
আর নাকি সেই সময়ের মানুষ গুলো আজ দুরে বহুদুরে....... সবি প্রশ্ন???
নতুন বছরে শীত থাকতে থাকতে আবার স্বদলবলে হানা দিয়ে কিছুটা নস্টালজিয়া ফ্লেবার নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৮