কছুদিন বা বছর ধরে কি শুরু হইল---অর্গানিক ইফতার, বা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত অর্থাৎ অর্গানিক খাদ্যসামগ্রী বা Authentic বা খাঁটি ইফতার, যাদের ডাক্তারের সাজেস্ট বা যদি শারিরিক জটিলতা হলে বা হজমে সমস্যা বা রোগের কারনে খেতে মানা হয় তবে সেটা ভিন্ন কথা ,
but…
এসবের নামে ইফতারের স্বাদ, ভালবাসা, ইমোশনাল সেন্টিমেন্ট নস্ট করার কোন মানে হয় না। আবেগে কান্দাইলামু…
এক আজিরা মাম্মি-ড্যাডি গ্রুপ বের হইছে এটা খাই না, সেটা খাই না, বয়লার মুরগি খায়না আবার ফ্রাইড চিকেন খায়, গ্রিল চিকেন খায়, চিকেন পেটিস খায়, কই যামু- মামু…. হেগরে জিগান যে, এরা কেন খায়না বা কি খায় কিছুই কইলাম কইতে পারবো না । কোন খাবারের ইনগ্রিডিয়েন্ট কি থাকে বা কি আদ্য প্রান্ত আর খাদ্য-প্রান্ত কিছুই জানেনা।
এরা পশ নামে যে কি খায় আল্লাই ভালো জানে, এমন একটা লেখা তৌকির আহমেদের ইয়ারকিতে পরেছিলাম অনেক আগে, লিংকটা পাইলে কমেন্টে দিব বা কেই পাইলে কারো আজিরা টাইম নস্ট করে দিয়েন।
মুচমুচে পেয়াজু খেলে কিডনিতে সমস্যা হয়, হালিম মুড়িতে দিলে গ্যাস হয়, জিলাপি মুড়িতে মাখালে বুক ঝালা করে, দই বড়া খেলে স্কিনে সমস্যা হয়, রাস্তার পাশের ইফতার আইটেম খায়না,
ট্যাল ট্যালা ঘুঘনি, শুকনা মরিচের রঙে রাঙানো তেলে ভেজা ছোলা, মেদ ভুড়ি কি করি টাইপ বেগুনি, ছোডা দিয়ে গোলানো বসেনে জরানো আলুর চপ, খরখরা শাকের চপ, পুদিনা আর ধনেপাতা, এবরো থেবরো করে কাটা মরচি, পেয়াজ আর টমেটো, ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে হাতের কব্জি পর্যন্ত আসটে পিস্টে লেগে থাকা মসলায় বোল ভর্তি করে মুড়ি মাখা না খাইলে কিসের ইফতার???
বুরিন্দা, বাংগি, তরমুজ, আর বস্তার মধ্যে লেগে থাকা সব চেয়ে কমদামি খেজুর, ভুষি বা তোকমা কাতিলা দিয়ে বানানো আখের গুরের বা লেবুর হীম শীতল করা শরবত, গলা বেয়ে নামবে আর আপনাকে র্স্বগের অনুভুতি কিছুটা আন্তাজ করতে হেল্প করবে।
পোরা মবিলে ভাজা আর রং দেয়া মুচমুচে জিলাপি, গরুর ছাট দিয়ে কমদামি ডাল দিয়ে হালিম, পাহাড়ি বরফের নামে লাসের বরফ-( কস্ট পাইলেন??—লাসের জন্য ও এটাই ব্যবহার হয় তাই কইলাম, যান সহজ করে কই- মাছের বরফ। এবার খুশি…!!)-বাজারের বরফ কল থেকেই বরফ গুলো আসে, কাঠের গুড়া বা ছালার বস্তা দিয়ে ডেকে রাখা হয়, কিসের ফ্লিল্টারের পানি, কিসের ধোয়া, কিসের মোছা………….আহ জীবানুর বংশ কিলবিল করা সেই পরিবেশ……
আহ বেঁচে থাকুক আমাদের মাঠে ঘাটের ইফতার, বেঁচে থাকুক শ্রমিকের হাত না ধোয়া হাতে কাজের ফাকে খবরের কাগজে মাখানো ইফতার, আরো সুন্দর হোক ঢাকার অলি-গলির ইফতার, বেঁচে থাকুক সবার সাধ আর সাধ্যের ইফতার…..
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১