গত ঈদে বাড়ি যাই নি। অনেক দিন যাওয়া হয় নি দেখে শেষমেশ আর থাকতে না পেরে কিছুদিন আগে সপ্তাহখানেকের জন্য ঘুরে এসেছি। এই ঈদেও বাড়ি যাওয়া হবেনা। সাধারণ সময় হলে হয়ত যাওয়া হত। কিন্ত সময়টাই তো অদ্ভুত।বাসায় আম্মু ডায়বেটিক । এই অবস্থায় যাওয়া খুবই রিস্কি। আমার আমার বাড়ি যাওয়ার থ্রেশহোল্ড হল দুইমাস। দুইমাস পর পর ৩/৪ দিনের জন্য হলেও বাড়ী যেতে মন আঁকুপাঁকু করে। এইবার প্রায় সাতমাস পরে গেলাম। আমার সবসময় এখন মনে হয়, আমার বোধহয় আর ঘরে ফেরা হবে না। সেই যে একবার বছর ছয়েক আগে ঘর ছেড়েছি, আর কখনো বোধহয় সেই ঘরে যাওয়া হবে না । জীবনের প্রয়োজনে হয়ত অন্য কোথায় ঘর বাঁধতে হবে। আসির আরমানের গানের মত নিজেকে বুঝিয়ে নিতে হবে’ একা , বেঁচে থাকতে শেখ প্রিয়’ । আমার নামে কেউ কি শিরনি দেবে তারা মাজারে সেই কথাটা নাহয় আমি যখন থাকব না তখনকার জন্য তোলা থাক।
ছোটবেলায় যখন বড় হতে চাইতাম তখন বড় হবার স্বাধীনতাটাকে খুব মিস করতাম। নিজের ইচ্ছেমত সব করার। আর এখন ছোট থাকার যে নিষ্পাপবোধ সেটাকে মিস করি। মাঝে মাঝে আর বড় হতে ভাল্লাগে না। অবশ্য সেটা মাঝে মাঝে মাত্র।
রোজার ঈদে আমরা যারা রয়ে গেছিলাম তারা এখানেই যতটুকু সম্ভব উৎসব করার চেষ্টা করেছিলাম। সবাই মিলে বিরিয়ানি, কোরমা- সালাদ রান্নাবান্না করেছিলাম । এবারের ইদটা বোধহয় একদম একা একা কাটতে যাচ্ছে। এ ও মন্দ না । একদম একা একা থাকার যে স্বাদ সেটা বোঝা যাবে। সেটা আসলে বুঝতে চাই কি না সেটাও বড় প্রশ্ন। জীবনের এই পর্যায়ে এসে সব কিছুই মনে হচ্ছে একটা বড় প্রশ্ন। আমরা আসলে কি চাই? আমি আসলে কি চাই? পরিতৃপ্তি না সাফল্য? পরিতৃপ্তি ব্যাপারটাই কি একটু ওভাররেটেড না? কেউ আসলে কখনো তৃপ্ত হতে পারে?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭