কল্পিতা কে নিয়ে সারাদিনই বলা সম্ভব। কিন্তু সবচেয়ে কঠিন হলো শুরুটা করা। কারণ কল্পিতাকে নিয়ে বলতে গেলে শুরু করতে হয় আমাকে দিয়ে। আর আমি নিজেকে নিয়ে সবচেয়ে কম বলতে পছন্দ করি। তবুও যেহেতু কল্পিতাকে নিয়ে বলতেই হবে, সেহেতু আমার সম্পর্কে কিছুটা ছিটেফোঁটা না বললেই নয়।
আমার জীবনটা পার হয়েছে না পাওয়া আর অপেক্ষার মধ্য দিয়ে। ভালো কিছু দেখে বড় হওয়া কপালে ছিল না। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন দুঃখ, বিপদ ইত্যাদির টেনশনের মধ্য দিয়ে বড় হতে হয়েছে। আর আমার বেড়ে ওঠাটা ছিল একাকীত্বে ভরপুর। পড়াশোনার সময় শত মানুষের মাঝেও নিজেকে একা বলে মনে হয়েছে। কোনো এক অজানা কারণে কখনোই সবার সঙ্গে মিশতে পারিনি। নিজের না পাওয়ার বেদনাগুলো, হতাশার গ্লানিগুলো সবসময়ই যেন আমাকে ঘিরে রেখেছে।
এতসব না পাওয়া ও হতাশার মধ্য দিয়ে বড় হলেও বুকে একটা আশা সবসময় ধরে রেখেছি। ভেবেছি, একদিন কেউ আসবে, যে আমার সব সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিবে। যে আমার দুঃখগুলোকে বুঝবে; পাশে থাকবে, সঙ্গ দেবে। কিন্তু একসময় সেই ভুল ভাঙলো। কেন আমি কাউকে আমার দুঃখের বোঝা বইতে দেব? যেই সুখ থেকে বঞ্চিত হয়ে আমি বেড়ে উঠেছি, সেই সুখ থেকে কেন আরেকজনকে বঞ্চিত করবো?
তখন থেকেই আমি জমাতে শুরু করি মনের সব ভালোবাসা। একজন আমার জীবনে আসবে, কিন্তু সে আমার দুঃখ ভাগ করে নিতে নয়, বরং আমার ভালোবাসাগুলো আপন করে নিতে। আমাকে তার সবচেয়ে কাছের মানুষ করে নিতে। আমি হয়তো কারো ভালোবাসা, কেয়ার পাইনি, কিন্তু তাতে কি, আমি যাকে পাবো, তার জন্য থাকবে অনেকগুলো ভালোবাসা।
তারপরই এলো কল্পিতা। আমার সব ভালোবাসার আধার।
আমার মুহূর্তগুলো তখনই আবার রঙিন হয়ে ওঠে। মুখে একবিন্দু হাসি ভেসে ওঠে। কল্পিতাকে নিয়েই আমার জীবন। আমার ছোট্ট একটা পরী। সেই পরীটাকে বলা কথাগুলো, ওকে নিয়ে গড়া মুহূর্তগুলো নিয়েই এই লেখার পাতা: কল্পিতা ।
ফেসবুকে আপডেটের পাতা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




