

বেশ ক'বছর আগে কক্সবাজার বেড়ানোর পর ঢাকা ফিরবো বলে ঝাউতলা বাস স্টপেজে পৌছে গেলাম নির্ধারিত সময়ের খানিকটা আগে। মেয়ে এবং ছেলে কক্সবাজার এবং ইনানী বীচের আনন্দ রেশ নিয়ে বেশ খোশ মেজাজে ছিল। আমাদের গ্রীন লাইন বাসের টিকিট কাটা; অফিসের লোকেরা সাদা লাল একটা বাস দেখিয়ে দিল যেটাতে আমরা ঢাকা ফিরবো।
মেয়ে আর ছেলে বসছিল না সেই স্টপেজে গ্রীন লাইন অফিসে, হাঁটাহাটি করছে। হঠাৎ দেখি দুই জন বেশ উত্তেজিত হয়ে আমাদের কাছে এল! একসাথে বলল,ওরা দুজন ঢাকাগামী একটা সাদা সবুজ বাস দেখে এসেছে, কাউন্টারের কে একজন বলেছে বাংলাদেশে যখন মেসি এসেছিল তখন ঐ বাসে চড়েছিল! ক্ষোভ ঝাড়ল কেন ঐ বাসে ঢাকা যাচ্ছি না! দুই ভাই বোন বাইরে দাড়িয়ে থাকলো ঐ বাসের দিকে তাকিয়ে। মেসিধন্য বাস ছেড়ে দিল, ওনারা দুজন গম্ভীর হয়ে এসে বসলেন এবং অল্প সময়ের ব্যবধানে আমাদের বাসও ছাড়ল। দুজন সীট ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে রাতের অন্ধকারে রাস্তায় সেই বাস খুঁজছে এবং মাঝে মাঝেই দেখতে পাচ্ছে ভেবে পুলকিত হচ্ছিল! আবার আফসোস!আমাদের বাস কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রাম সম্ভবত: জায়গার নাম, সেখানে বিরতি দিল প্রায় মাঝরাতে খাবারের জন্য। দুই ভাই-বোন এত অন্ধকারে অনেক বাসের ভিড়ে ঠিকই পেয়ে গেল সেই বিশেষ বাস! খুশীতে আত্মহারা! ধরে বেঁধে এনে কিছু খাইয়ে নিয়ে বাসে উঠলাম।
একই অভিযোগ, কেন ঐ বাসের টিকিট কাটা হোল না!
আমাদের জানবার কথা না মেসিধন্য বাসের কথা এ কথা পুরোটা বলবার সুযোগ পাইনি একবারও তাদের গাম্ভীর্যের স্তর দেখে!
কক্সবাজার বাস কাউন্টারের যে ব্যক্তি মেসিধন্য বাসের তথ্য আমার ছেলে মেয়েকে দিয়ে এমন অশান্তির সৃষ্টি করলো তাকে যদি পেতাম!
নাহ্ কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, কারন কুমিল্লা থেকে বাস চলা শুরু করতেই দুজন গভীর ঘুমে! আমরাও এ যাত্রা রক্ষা পেলাম!
বি: দ্র: এ লেখার অনেকটাই ২০২১ সনের ৫ই আগস্ট লেখা যখন করোনা আক্রান্ত ছিলাম, আজ শেষ করেছি।
প্রায় ১১ বছর আগের ঘটনা !!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




