somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাকিস্তানী আমলে নির্বাচিত গণপরিষদের শাসনন্ত্র রচনার অধিকার নেই

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ৭২ সালেই " এক প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের রাজাধিরাজ ঘোষনা করে, তিনি কেন্দ্রীক নিরঙ্কুশ সর্বময় ক্ষমতাধিকারী" সংবিধান তৈরীর কাজ শুরু হয় ।

মাওলানা ভাসানী এই কাজের আশু ফল অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। ১৯৭২ সালের ৯ অক্টোবর তারিখে পল্টনের এক বিশাল জনসভায় "পাকিস্তানের গণপরিষদের শাসনতন্ত্র রচনার এখতিয়ার নেই" বলে সেই প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি।

মাওলানার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। ৭০ এ পাকিস্তানে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ, কিছু দিনের মধ্যেই আর কারো কোন মতামত না নিয়েই প্রায় একাই শাসনতন্ত্র রচনা করে ফেলে।

আজকের দিনে আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গুলীহেলন ব্যাতিত কিছুই সম্ভব হচ্ছে না ।
তিনি চাইলে নির্বাচন হয় না চাইলে হয়না, কেননা জানেন তো প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ উপরুক্ত মহা পরাক্রমশালীর অনুমতি ব্যাতিত অসম্ভব। ফল যা হয় তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। এমনকি খোদ রাষ্ট্রপতিও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাইরে নন। কাজেই রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত রাষ্ট্রের কর্মচারীগণও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাইরে যেতে পারেন না। সশস্ত্র বাহিনী, বিচার বিভাগ, সংসদ সব সব কিছুর কিছু হর্তাকর্তা তিনিই।

না না কোন জোর জবরদস্তি করে তিনি এগুলোর কতৃত্ব নেননি, জনগনের ইচ্ছার প্রামানিক দলিল সংবিধান অনুযায়ী তিনি এই সব কিছুর কতৃত্বকারী!।

এ মূহুর্তে সংবিধান বদলানোর লড়াই, সংবিধানকে গনতান্ত্রিক রুপ দেবার লড়াই ই এদেশের চিড়ে চ্যাপ্টা হওয়া মানুষের হাফ ছেড়ে বাচার পথ পরিস্কার করতে পারে।

মাওলানা ভাসানী জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে ভাষা দিতে পারতেন, ৭২ এর ওই আওয়াজ এখনো আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক স্বভাবত লড়াইটাও।

হাজার সালাম মাওলানা ভাসানী....

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×