মুভিটার পাইরেটেড ভার্সন(খুবি বাজে কোয়ালিটি) ইউটিউবে আছে। কয়েকদিন থেকেই এটা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। আমি জানতাম কন্ট্রোভার্সিয়াল কিছু একটা হবে। কিন্তু এরা কতটা নিচে নামতে পারে সেটাই দেখার বাকি ছিলো। মুভি দেখে কিছু পয়েন্ট শেয়ার করতে মন চাইলো।
১, পাকিস্তানের সাধারণ লোকজন এটাকে ভারতের কাছে নিজেদের হার মনে করে। এবং এ ব্যাপারে কথা বলার ব্যাপারে আগ্রহী না।
২, পাকিরা আজো মনে করে ইন্ডিয়ানরা ৭১ এ সাধারণ পশ্চিম পাকিস্তানিদের উপর ঢাকায় অত্যাচার করেছিলো। মুভিটাতে মুক্তিবাহিনীকে দোষারোপ করেনাই। একটা মিলিটারি ওয়ারকে সিভিল ওয়ার হিসেবে প্রেজেন্ট করতে চেয়েছে।
৩, বেলুচিস্তানের যা ঘটছে সব ইন্ডিয়ার চাল মনে করে পাকিস্তানের জনগণ।
৪, বাঙালি ইমিগ্রেশন অফিসারদের খুব বাজে ভাবে প্রেজেন্ট করা হইছে। আমাদের ইমিগ্রেশন পুলিশ কোনদিনও পাকিস্তানি পাসপোর্ট অথবা পৃথিবীর কোন দেশের পাসপোর্ট দেখেই এরকম রিয়েক্ট করেনা এটা আমার বিশ্বাস।
৫, আমাদের ইন্টিলিজেন্স এত আজাইরা না যে কিছু পাকিস্তানি সিভিলিয়ানের উপর হুদাই স্পেশাল নজর রাখবে।
৬, আমাদের ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যালের একজন ইভেন্ট কোর্ডিনেটর কোনদিনই কোন দেশের নাগরিককের সাথে এরকম উইয়ার্ড লুক বা বিহ্যাভ করেনা বলেই আমি বিশ্বাস করি।
৭, আমাদের দেশের রিকশাওয়ালাকেও ইংলিশ বললে তারা হাই হ্যালোতে উত্তর দেয়। অন্তত ধমক দিয়ে বলেনা নো ইংলিশ, অনলি বাংলা।
৮, এই দেশের বিহারিদেরকে দুধে ধোঁয়া তুলশী পাতা প্রেজেন্ট করা হইছে। তাদের কোন দোষ ছিলোনা! তাদেরকে ইন্ডিয়ানরা অত্যাচার করেছিলো। অথচ বিহারিরা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান আর্মি হিসেবে কাজ করছে।
অদ্ভুত, এতবড় যুদ্ধ হলো কিন্তু এতে বাঙালিদের কোন সম্পৃক্ততাই দেখানো হয়নাই। বাংলাদেশকেও দোষ দেয়া হয়নাই আবার ওদের দোষও স্বীকারের প্রয়োজন মনে করে নাই।
এই মুভিতে ইতিহাসের ছিটেফোঁটাও ছিলো না। শুধু পাকিস্তানিরা এই যুদ্ধ নিয়ে যা ভাবে তাই নিজের মত করে দেখিয়ে গিয়েছে। শালার ইন্ডিয়াও আমাদের মুক্তিযুদ্ধাদের ক্রেডিট না দিয়ে নিজেরা ক্রেডিট নিতে চায়। এখন পাকিস্তানও নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য ৭১কে জাস্ট ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্র বলে প্রমান করতে চায়। দুই দলই এটাকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ প্রমাণ করতে ব্যাস্ত। একদল নিজেদেরকে বাপ প্রমাণ করতে চায়, আরেক দল নিজেদের দোষ ঢাকতে চায়।