চোখের জ্বালা শুষছে কাপড়...
ঘরের জ্বালা, পেটের জ্বালা, উদয়াস্ত ঘামের জ্বালা
মরার দামে খাবার জ্বালা
কচি মুখে "আব্বা! আইনো ইলিশ",
আর সে আমার রাঙ্গা চুড়ি, আলতা, পালিশ!"___
বউয়ের ছেঁড়া শাড়ির ফাঁকে জ্বলছে আগুন
সব জ্বালা কেন নেয় না শুষে মরার বসন?
রাজা শুষে, মন্ত্রী শুষে, হাইকোর্টের সে মস্ত উকিল
সেও তো শুষে__
নবীর মুখে নাম হল যে ব্যবসায়ী
'হা হা হা'__সে-ই নাকি আজ শুষায় গুরু
গরীব মারা দাম চড়ানোয় প্রধান দায়ী।
তাকাও মনে, সব গুদামে বসছে জেকে জোঁক__
মোল্লা-পুরু-ডাক্তার-গুরু...
ভগবানেও আজ রক্তে ঝোঁক!
চোখের ভেতর দিয়ে জ্বলছে পকেট
হাড়ের সাথে গিয়ে মিশেছে পেশি,
রক্তে ঘামে জমেছে অট্টালিকা, পার্লামেন্ট
শরীর থেকে আরাম করে দিচ্ছে এসির বাতাস
ভেতরে বাহিরে আমার পুড়িছে উষ্ণতার অট্টহাস।
আমি প্রান্তিক, শ্রমিক আমি মজদুর___
আমার চামড়ায় তবুও তোমার আরাম মাদুর।
ভুলো না__
চকচকে জুতো থেকে তোর ছাতা ধরা মুখ
সবখানেই আমি প্রান্তিক, শ্রমিক, মুটে-মজদুরেই সুখ।
মাথার 'পরে জ্বলে জ্বলে রবি নিভিয়েছে ঘরের চুলা
কত বড় চামার নিমক হারাম তুই শালা ইবলিশের চেলা।
আটকায় না হাত তোর গরীব মারা ভাত!
দিকে দিকে জাগিছে জড় চিনিয়ে দেবে জাত।
পুষিয়ে নেবে সবটা কড়া-গণ্ডা-সুতোয় ফিশে
ভেজা ওই নোনায় জ্বালা কী এমনি এমনি মিশিছে!
তবুও কেন কবিতারা পারে না একটু শান্তি দিতে!
জিভ যে জড়ায়ে আমার পাকস্থলে
মন-মগজ, ঘর-সংসারে সবটায় আমার যাচ্ছে জ্বলে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৪