somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নীলছবি ২

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নূর মহম্মদ চৌরঙ্গি বাজারের মসজিদ লাগোয়া রেস্তোরাঁয় বসেছিল। সেই পরিচিত নাইট-গ্রিন চাদর গায়ে জড়ানো। সুড়ুৎ সুড়ুৎ শব্দ তুলে চায়ে চুমুক দেয়। শাফায়েতকে দেখে জোরে ডেকে ওঠে, -

‘আ লো...আয় আয়। এ্যয়ঠে বস। কইরে পিচ্চি, এ্যয়ঠে পরাটা আর ডিম ভেজে দে। বড় ডিম দিবা বুজিছো। তারপর? রাতে তো ঘুমাসনি মনে হয়চে।’
‘আ রে তু থাকতে হামার কিসের ভয়? পুলুশ কি হামার এইঠা করবে লাকি? শুন ভাবছি একটা ছোকড়া রেইখে দি। শালা সন্ধ্যা থেকে হিন্দি বাংলা চালাবে। তারপর পাবলিক চাইলে...।’
‘সেঠো করতে পারিস। তুর মতো দরদ থাকলি ভালো, নাইলে মানুষ টের পালে সব যাবে। কালার টেলিভিশন ভিসেআর শালাদের পোঙ্গায়। ফিররা পাবি না আর।’
‘নে নে থো! টাকা থাকলে শালার বিচার কিনতে পাওয়া যায়।’

শাফায়েত চায়ের কাপে চুমুক দিতে ছ্যাঁকা খায়। নূর মহম্মদের মুখে সবজান্তার হাসি। শাফায়েতের তিক্ত ভাবনা। এক মহাগাড়োলের সামনে বসে আছে। তারপরও উৎসুক চোখে তাকিয়ে থাকে।

‘হামি কহচি কি বাড়ির কাছেই তো চৌরঙ্গি বাজার। সিখানে...লয়তো ধীরগঞ্জ যা। যাদুররানি হাট সপ্তাহে একদিন। ব্যবসা ভালো হয়?’
‘তু ফির কি কহচি রে! শালা দু-বচ্ছর একসাথে কাম করনু, এখুনো বাজার বুজলি না? যেয়ঠে মানুষের ভিড় কম সেয়ঠে এই ব্যবসা চলে? মানুষ কি ঢোল বাজায়ে ওইখানে যায়?’
‘তুই গিয়েছিলি কুনোদিন? শালা মাস্টারি করেই তুর জীবন গেল। মজা বুজলি না কো।’
‘সেজন্যিই তো চালাচ্ছি। পাবলিক খায়ও খুব। তা হলে একজন অপারেটর রেইখে দিই...কি বুলছিস?’
‘বুদ্ধি ভালোই। আরাম পাবি ভেজালও কম।’
‘একটা ছোকড়া দেখ তবে।’

নূর মহম্মদের কানে কথা গেল কি না বোঝা যায় না। প্রায় ফাঁকা রেস্তোরাঁয় ছয়-সাতজন লোক হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে। তারা নূর মহম্মদের সামনে অনেকটা হাত কচলানো মোসাহেবি ভঙ্গিতে দাঁড়ায়। শাফায়েত যেন প্রথমবার বুঝতে পারে বন্ধুর জনপ্রিয়তা। এমনি এমনি ইউপি মেম্বার হয়নি! ভেতরে মাল আছে বলেই এত খাতির।
লোকগুলো নিশ্চয় কোনো ঝামেলা বাঁধিয়েছে। ঝামেলা তৈরি করা ভালো। এতে পয়সা আসে। নূর মহম্মদের ইনকাম হয়। পুলিশ-উকিল-মুহুরি-ডাক্তার কোর্ট কাচারির লোকজন টাকা পায়। নূর মহম্মদ তো এই করে হরিপুরে কয়েক বিঘা জমি কিনে ফেলল। শাফায়েত কী করে? কিছুই করতে পারে না। বাইরের দুনিয়ায় পয়সা কামাই। ঘরে পরিবানুর জমিতে সার্থক একটি বীজ বপণ। সব ব্যর্থ। ধিক্‌ এ জীবন! মাস্টারি ভঙ্গিতে নিজের মূল্যায়ন দেখে সে। অস্থির মন হতাশায় খান খান।

সপ্তাহ শেষে একদিন যাদুররানি হাট। লোকে লোকারণ্য। দুপুর থেকে মানুষের কোলাহল। গমগম শব্দের ঢেউ। কেউ বলে হাটে জ্বিন নামে। শাফায়েত বোঝে মানুষজনের কথাবার্তা। হাজার হাজার মানুষ গিজগিজ করে। পা ফেলার জায়গা নেই। সে মফিজের রেস্তোরাঁয় আড়াই শ জিলেপি শেষ করে। দু-গ্লাস পানি খায়। পেটে চাপ বাড়ে। কোথাও খালি করতে পারলে আরাম। কিন্তু তেমন আড়াল নেই। হাটুরে মানুষজন দিব্বি লুঙ্গি তুলে...জিপার খুলে মাটি ভাসায়। সে অকারণ জড়সড়। লাজুক মানুষ। এসব মানুষ জগতে কিছু করতে পারে না। এখন কী করে আবুল ডাক্তারের কাছে যাবে? কথা বলবে? লজ্জা লজ্জা! কীভাবে নেবে তেমনকিছু? সে ক্রমশ আরও ফুলে উঠতে থাকে।
আশপাশে সকরুণ দৃষ্টি। সে পায়ে পায়ে চলে আসে চালাঘরের পেছন দেয়াল। দুপুর থেকে হিন্দি চলছে। জুঁহি চাওলা আর আমির খানের লাভস্টোরি। দু-জনই প্রিয় নায়ক নায়িকা। একসময় আমিরের লিপে গাওয়া ‘পেহেলা নাশা পেহেলা পেয়ার’ গান দোষ হয়ে যায়। সময়-অসময়ে ঠোঁটে আসে। এখন এদের বাজার নেই। মালাইকা-প্রিয়াংকা নানান হটশট নায়িকার। এই শো শেষ হলে তেমন হিট ছবি শুরু হবে। রাত গভীর হলে হাট ভেঙে যায়। কিছু মানুষ থাকে। তারা সারারাত জাগে। জেগে জেগে নিজেদের জাগায়। তখন চলবে গরম-মাশালা।
দেয়ালের ফাঁকফোকর দিয়ে সরু চিকন রেখায় ধোঁয়া বেরোয়। বিড়ি-সিগারেটের নিকোটিন পোড়া ছাই। ঘরের কোণা কোণা ছড়িয়ে আছে। বিষাক্ত গন্ধের মৌতাত। সে সবেগে ফেনায় ফেনায় মাটি ভাসায়। মনে অকারণ তৃপ্তি দোলা। সেদিনের মানুষগুলোর মুখে ঢেলে দেয়। ‘খা শালা খা। বেজন্মা কুত্তা...জীবনের মতো খা...হারামখোর।’ কিছুক্ষণ আগে যে দু-জন এসে দাঁড়ায়, তাদের মুখে মোতে। মন মানে না। উপায় নেই। রেস্তোরাঁয় নিজে বসে থেকে দুটো করে দামি বিস্কুট খাইয়েছে। গরম-গরম আমৃত্তি। ঘনীভূত দুধ-সর চা। হাতে ধরিয়ে দেয় গোল্ডলিফ। পীরগঞ্জ ফিরে যাবার বাসভাড়া। আধঘণ্টা ছবি দেখায়। ক্যাসেট রিউইন্ড-ফরোয়ার্ড করে মাধুরিকে কয়েকবার নাচায়। শালাদের সাধ মেটে না। যাবার সময় বলে, একদিন টিভি-ভিসিআর নিয়ে যাবে। শাফায়েত জানে কী দেখার শখ। দেখুক। দেখে মন-প্রাণ জুড়াক। সে ততক্ষণ অস্থির যতক্ষণ থাকে। যন্ত্রণা। বাঘে ছুঁলে এক ঘা...এদের আঠারো। বিশ্বাস করা যায় না।

এসব ঝামেলা সারতে প্রায়শ দেরি হয়ে যায়। সন্ধেরাতের পর পর ঘরে ফেরার কথা। গত বুধবার থেকে রেহাই। রাত আট-নটার মধ্যে ছুটি নিয়ে রাস্তায় নামে। এক ছেলে রেখেছে। অপারেটর। উনিশ-কুড়ি বয়স। অসময়ে পেকে ঝুনা নারিকেল। নারায়ণ বেশ ভক্তি করে সালাম ঠোকে। তার স্কুলে ক’ বছর পড়েছিল। বারবার ডাব্বা। অবশেষে রানিশংকৈলের এক ভিডিও লাইব্রেরিতে কাজ শুরু করে। সেই দোকান উঠে গেছে। এখন বেকার। শাফায়েতের ষোলো আনা লাভ। এমন নিডি লোকই দরকার। প্রথমে একটু মন কেমন কেমন। ঠিক হচ্ছে কি না। স্কুলের ছাত্র ছিল। জোর করে তাড়িয়েছে। এখন সবাই সেয়ানা মাল। নারায়ণ কাজ করে ভালো। একটু রূঢ়-রুষ্ট। পাবলিকের কাছে। মালিকের প্রতি বিনয়। শাফায়েতের ভালো লাগে। সে নিজে ঠান্ডা-শান্তশিষ্ট। কঠিন হতে পারে না। তাই একটু লাই দিয়ে ফেলে। ফলাফল অসহ্য। সেদিন শুটিং-এডিটিং-ডাবিং কাজে নেমে পড়ার জন্য বকবক। কান পচিয়ে ছাড়ে। পুরাতন এম সেভেন একটি মুভি ক্যামেরা দরকার। কম্পিউটার থাকলে আরও ভালো ব্যবসা। ইত্যাদি পরামর্শ। শাফায়েত শেষে ধমকায়। সেই থেকে নারায়ণ একদম চুপ। আমি নীরবে নিভৃতে জ্বলিতে চাই।
হরিপুরে ভিডিও ক্যামেরার ব্যবসা চলে না। মানুষজন রানিশংকৈল পীরগঞ্জ থেকে হায়ার করে। জন্মদিন-আকিকা-বিয়ের অনুষ্ঠান রেকর্ড হয়। ভালো উপার্জন। ক্যামেরা দিয়ে নাটক-শর্ট ফিলম কত কি! কেউ কেউ অন্যকিছু তৈরি করে। শাফায়েত এই লাইনে এসে অনেক খবর জেনেছে। গোপন ব্যবসার বিরাট চক্রজাল। দেশি মালের কদর আলাদা। এই করে কারও কারও গুটি-লাল। অবৈধ আয় না থাকলে, মানুষ কি এত দ্রুত ধনী হতে পারে? যে যত বড় পাপি...সে তত দামি।
আজ শাফায়েতের মন খুশি। সন্ধেয় আবুল ডাক্তারের সঙ্গে দেখা হয়। প্রাণবন্ত বয়স্ক মানুষ। মাথায় ঝাঁকড়া চুল। সামনে একগুচ্ছ সাদা। কালো আকাশে সাদা মেঘ। চোখে সোনালি ফ্রেমের সাদা চশমা। দোকানে তেমন ভিড় নেই। মনের সুখে কথা বলতে পারে। কথা বলে বড় সুখ। মাথা থেকে সকল টেনশন নেমে যায়। নারায়ণ আসেনি। শাফায়েত অগত্যা অনেক রাত-অবধি নীল-লাল-হলুদ বর্ণিল আলোছায়ায় বসে থাকে। ঝিমোয় না। তেমন ঘুম ঘুম তন্দ্রা নেই। শরীরে থেকে থেকে অগ্নি-ঝলক। মাথা ভার ভার। ক্যাপসুলের অ্যাকশন। সে দর্শক দেখে। দর্শক দেখতে দেখতে বারবার ওঠে। বাইরে ছুটে যায়। আশপাশে ভিজিয়ে ফেরত আসে। ইন্টার পরীক্ষা শেষ। হুমড়ি খেয়ে পড়েছে উঠতি মানুষজন। পাবলিক। আমোদ আর বিনোদন। সিনেমা হাউসফুল।
তার হাতে অপ্রত্যাশিত অঙ্কের টাকা। মাস্টারি করে তিন মাসে যা পায় না, তারচেয়েও বেশি। টাকা গুনতে গুনতে কত না ভাবনা-বোধোদয়। সরস্বতী আর লক্ষ্মী একসঙ্গে অবস্থান করে না। তার পেটে-মগজে সরস্বতী যথেষ্ট আকারে আছে...লক্ষ্মী নেই। অথচ তাকেই দরকার। সরস্বতীকে নয়। সমাজে ভালো মানুষের কোনো মূল্য নেই। অচ্ছুত সততা। ভালো থাকতে পারেনি। নর্দমার গাড্ডায় পড়ে আছে। নিজে থেকে বসবাস। সৎ পথে দু-টাকা আয় করতে অনেক পরিশ্রম। বেলাইনে সহজে দু-হাজার। দরকার শুধু সাহস। কথায় বলে, চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা...যদি না পড়ি ধরা। ফিলমের কোনো ডায়লগ মাথায় কিলবিল করে। কোনো অজানার উদ্দেশ্যে অস্ফুট বিড়বিড় ছেড়ে নেয়। মাথা ঝিমঝিম। ভার ভার ভারী। ‘জিস্‌কা পাস রুপেয়া হ্যায় উসকা সবকুছ্‌ হ্যায়...মান মারইয়াদা সবকুছ্‌...দুনিয়া মুঠ্‌ঠি মে হোতা হ্যায়।’
অনেক রাতে সবকিছু গুটিয়ে রাস্তায় নেমে যায়। জোছনা রাত। আলো-আঁধারের রহস্যময় প্রকৃতিতে হালকা কুয়াশা ঝরে। পঁচিশ-ত্রিশ মিনিটের পথ। আজ কেন ফুরোয় না? পকেটে অনেক টাকা। বুকে গভীর ভালবাসা। ঝিঁ-ঝিঁ ডাকা রাত প্রাণে গুনগুন উল্লাস তোলে। আজ খেলাতে জিতবে। কিছুতে হারবে না...ছাড়বে না। জীবন হলো দাবা খেলা। সেখানে রাজা আর বোরে সমান, যেতে পারে একধাপ মাত্র; বোরেও কখনো রাজা হয়। সে আজ রাজা। রাজকীয় দাপট মন-মেজাজে। কাজে-কর্মে হোক আর বিছানায়। ভাবনার সুখানুভূতিতে আচমকা দীর্ঘ হতে থাকে। শিরশির সুখ। উত্তেজনায় মন ভোলে জীবনের চাওয়া-পাওয়ার খতিয়ান। এই একটি শুধু রাত তার জীবন। একপলক পরমায়ু। প্রজাপতির মতো আঁকড়ে-খামচে রক্তাক্ত সুখে সময় ভাসিয়ে দেয়।

রাতের ছায়া ছায়া দেয়ালে জানালার ফাঁকফোকর। আলো ঠিকরে বেরোয়। তার মানে ঘরে লন্ঠন জ্বলে। পরিবানু অপেক্ষায়। এমন নিশুতি হিমরাতে বসে আছে কেউ। শাফায়েত কত ভাগ্যবান! এমন তো হয় না। প্রতিদিন যখন ঘরে ফেরে, সবকিছু একরকম শ্রান্ত-ক্লান্ত। আজ তাকে ঘর টানে। পরিবানুর উদ্বাহু আহবান। জোর টান। শাফায়েত আদিম মানুষের মতো দোলে। অচেতন অজ্ঞান। নারীর নগ্ন শরীর ছাড়া কিছু দেখে না। দেখা যায় না। অনেকদিন তেমন করে দেখা হয়নি। চালাঘরের ভেতর কাচের ছায়া-দেয়ালে শুধু নানান দৃশ্যছবি। রঙিন শরীর। অদ্ভুত কাঠামো কসরত। সাত সুর শীৎকার। আর...আর সে-সব কী? বিকৃতি? সে প্রলম্বিত জিজ্ঞাসা নিয়ে ক্রমশ স্ফীত হতে থাকে। কান দুটো গরম ভাঁপ ছড়ায়। দৃষ্টির সামনে কোনোকিছু নেই...শুধু পরিবানু আর পরিবানু।
নতুন খড়ের ছাউনি। অগ্রহায়ণের কাটা ধান। মাথা উঁচু চালাঘর আকারে দাঁড়িয়ে থাকে। বাড়ির দেয়াল আর দরজা অদৃশ্য-আড়াল। সে পথটুকু মাড়িয়ে দরজায় যায়। যেতে থাকে। তারপর আচমকা থমকে স্থির-স্থবির। ঘরের ভেতর অস্ফুট শব্দতরঙ্গ নাচে। নাচতে নাচতে ঢেউ দোলা ভেসে আসে বাতাসে। সেই ঢেউ কিসের নতুন করে বুঝতে হয় না। সে আকর্ণ মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করে। পরিবানু বলে, -

‘এই চাঁন্দেও তো কুনোহ্‌ খবর নাই, শ্যাষে কি যে...।’
‘দূর মাগি পোয়াতি হলে হবি। তুর তো বেহা হইচে। ভাতার আছে ভয় কিসের?’
‘নে থোও অমন ভাতার হি হি হি!’
‘হে হে হে ছাওয়াল হলি তো ভালোই হে।’

অনিচ্ছায় সুখক্লান্ত গোঁ গোঁ স্বর পুরুষের। শাফায়েতের বোঝার বাকি নেই। প্রচণ্ড অবিশ্বাস। সবকিছু ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন ভাবতে ইচ্ছে হয়। এ তার মতিভ্রম। যাদুররানি হাটে সেই চালাঘর। কাচের দেয়ালে ভেসে থাকা কোনো লাল-নীল-হলুদ বর্ণিল দৃশ্যকথন। শীৎকার-চিৎকার। কোণায় কোণায় ধ্বনি-প্রতিধ্বনি ভেসে যায়। সে অসম্ভব অসূয়াকাতর অস্থির। সন্দেহবাতিক দহন নিয়ে জানালার কোনো ছিদ্র খোঁজে। সেটি দিয়ে ঘরের ভেতর উৎসুক উঁকি। বদ্ধ জানালার ওপাশে লন্ঠনের মৃদু আলো পৃথিবীকে একেবারে উদোম করে দেয়। তার মাথা আদিম উন্মাতালে দুলে ওঠে। নীলছবি। পরিবানুর খোলা চুল মেঝেয় নেমে গেছে। মাথা চৌকির কিনারায় দোল খায়। হালকা বিন্দু-বিন্দু স্বেদ ভেজা মুখ। ঘুম-কাতর ঢুলুঢুলু আধবোঁজা দৃষ্টি। একপাশে চেয়ারের হাতলে ঝোলানো নাইট-গ্রিন চাদর।

আলো-আঁধারিতে বীভৎস কালো।
(সমাপ্ত
প্রথম পর্ব: নীলছবি
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×