somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল-কোরআন সম্পর্কে অবিশ্বাসীরা যতই ভ্রান্তি ছড়ায়, আল্লাহর বাণীর মহীমা যে ততই প্রকাশিত হয়- তার নমুনা দেখুন

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অন্তর যাদের অবিশ্বাস ও অহঙ্কারে ভরা- সত্য প্রকাশিত হলে তারা তো নাক সিঁটকাবেই। সহজ সরল বক্তব্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে দেবার পায়তারা করা তো তাদের মজ্জাগত স্বভাব। এদেরই সমোগোত্রীয় সামু-ব্লগের একজন জ্ঞানপাপী আমার একটি পোষ্ট নিয়ে যে খুনটুসি করেছেন তা থেকে তার বেকুফী ও মিথ্যাচারী মনোভাবই ফুটে উঠেছে। বিভ্রান্তির আঁধার যে মানুষকে সত্যের আলো থেকে কতটা দূরে সরিয়ে রাখে এবং ভুলে ভরা চিন্তন ও বচনে পটু কোরে তোলে- তার পোষ্টের প্রতিটি ছত্রে তিনি সেই সাক্ষ্যরই রেখেছেন। বুঝতে না পারার কারনে এমন আচরন করলে একটা কথা ছিল। কিন্তু তিনি নিজেকে এতই জ্ঞানী ভাবেন যে মিথ্যে অহঙ্কারের মোহে অন্ধ হয়ে গেছেন। তাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার পরও সঠিককে সঠিক বলতেও তিনি ভুলে গেছেন। শুধু তাই নয়, আমি যেন তার পোষ্টের প্রতিটি পয়েন্ট ধরে ধরে উত্তর দেই- এই বলে আমার ব্লগে গিয়ে গলাবাজি করে এসেছেন। তার অবুঝ মনে বুঝ আসুক বা নাই আসুক- আমার কথা তো আমাকে পরিষ্কার করতেই হবে।

এ পর্যন্ত মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণায় যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে সংক্ষেপে তা হলো- যেসব তারকার ভর সৌর-ভরের ৮ গুণের কম থাকে, অন্তিমদশায় সেইসব সংকোচনশীল তারকার কেন্দ্রের ভর চন্দ্রশেখরের সীমা অর্থাৎ ১.৪ গুন সৌর-ভরের নিচে থাকে এবং সেগুলো 'শ্বেতবামন' হিসেবে স্থতি লাভ করে। যে সব তারকার ভর সৌর-ভরের ৮ গুণের বেশী থাকে, অন্তিমদশায় সেগুলো সুপারনোভা হিসেবে বিস্ফোরিত হতে পারে। যেসব সুপারনোভার সংকোচনশীল কেন্দ্রের ভর (চন্দ্রশেখরের সীমার উপরে কিন্তু) ১.৪ থেকে ৩ গুণ সৌর-ভরের মধ্যে থাকে সেগুলো 'নিউট্রন' তারায় পরিণত হতে পারে। কিন্তু এগুলোর ভর যদি ৩ গুণ সৌর-ভর অপেক্ষা বেশী হয় তবে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা এবং অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্তপ্রায় 'ব্ল্যাকেহালে' পরিণত হয়। প্রচন্ড চাপের কারনে শ্বেতবামনের কেন্দ্রের তাপমাত্রা অনেকগুণ বেড়ে যায় কিন্তু অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারন করায় আগের মত তত উজ্জ্বলভাবে দৃষ্টিগোচর হয়না। ধীরে ধীরে (আমাদের হিসেবে একটা বিশাল সময় পরে)জ্বলানী শেষ হয়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা ও উজ্জ্বলতা কমতে থাকে।

বিজ্ঞান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা তো নাই-ই, ইতিহাস নিয়েও যে তিনি হাস্যষ্কর কান্ড শুরু করেছেন- তা যে কোন বিবেকবান মানুষই বুঝে নেবে। তার লেখা পড়লে মনে হয় যেন ইসলামের দুশমনদের কাছ থেকে মিথ্যাচারের উপর পিএইচডি নেবার সাথে সাথে বিজ্ঞান আর ইতিহাস বিকৃতিরও ঠিকাদারী নিয়েছে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Horus

তিনি আমার দেয়া বাক্তব্যকেও বুঝেই হোক বা না বুঝেই হোক বিকৃত করে ফেললেন। তিনি বলে বসলেন- তবে মনে রাখবেন মাহফুজ সাহেবের কথামত কোরান কিন্তু শ্বেত বামন হওয়ার সময়কার কথা বলছে। তার বিলিয়ন বছরে পরের কথা নয়।

আমি নাকি কিয়ামতের আগেই সূর্যটা শ্বেতবামনে পরিনত হবার কথা বলেছি! অবাক কান্ড!! আমার সেই পোষ্টটির ঠিকানা দিলাম- মহাজাগতিক বিস্ময়গুলো সম্পর্কে আল-কোরআনের নির্ভুল তথ্যগুলো সত্যিই বিস্ময়কর!
আপনারই দেখুন তো একথা আমি কোথায় বললাম?? সূর্যের শ্বেতবামন তো দূরের কথা, লাল দানব হওয়ার সময়ের কথাই তো আমি কখনো বলিনি। বরং আমাদের বেঁচে থাকার মত স্বাভাবিক অবস্থা অর্থাৎ সূর্যের হলুদ দানব হিসেবে থাকাকালিন একটি বিশেষ সময়ের দিকেই আমি ইংগিত দিয়েছিলাম। কিন্তু নিজের পান্ডিত্ব ফলাতে গিয়ে তিনি তার পোষ্টের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভুল বোঝার কারনে সবই গুবলেট করে বসলেন। হায়রে! আহাম্মক কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি??? এইবার বুঝলাম!!! তার এমনতর আহাম্মকির জবাবে আমার পক্ষ থেকে দেয়া নিচের পোষ্ট দুটি দেখে নিতে পারেন-
মিথ্যাচার কোরে ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কি আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের সত্য তথ্যকে আড়াল করা যায়?

আল-কোরআনের ঐশী তথ্য ও প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের মাঝে গরমিল দেখিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা ব্যার্থ হবেই-

৪নং প্যারায় তার দেয়া আরেকটি বক্তব্য- (শ্বেত বামন তারাগুলো মাটির ঢেলার সাথে তুলনীয়। আমি বাক রহিত।)

যার বোঝার মত যেগ্যতা নাই- তিনি তো বাক রহত-ই হবেন!!!

এবার আমি আল-কোরআনের আয়াত দুটি তুলে ধরছি-এখানে মহাজাগতিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে স্রষ্টার সৃষ্টি-বৈচিত্র সম্পর্কে গবেষণা ও চিন্তা-ভাবনা করার জন্য আকৃষ্ট করা হয়েছে। আমি সর্বাধৃনিক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও সুগঠিত চিন্তনের আলোকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচার চেষ্টা করছি। প্রকৃত জ্ঞান তো সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালার নিকটে। অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য মহান আল্লাহপাক যেন আমায় ক্ষমা করেন-

আল-কোরআন-
সূরা মুরসালাত-সূরা নং-৭৭, আয়াত নং-৮
(৭৭ : ০৮) ফাইজান নুজূমু তুমিছাত,
{নুজূমুন =(অর্থ)- তারকারাজি -৩৫০পৃষ্ঠা
তুমিছাতি =(অর্থ)- আলোবিহীন হলো, খারাপ হলো, মিটে গেল -২৪২পৃষ্ঠা- ‘কোরআনের অভিধান’-মুনির উদ্দীন আহমদ}
(৭৭:৮) অর্থ:- যখন নক্ষত্ররাজি নিভে যাবে বা আলোবিহীন হবে।

সূরা আত্-তাকভীর- সূরা নং- ৮১, আয়াত নং-২
(৮১ : ০২) ওয়া ইজান নুজুমুন কাদারাত,
ইনকাদারাত = (অর্থ)-তা ময়লা হলো, অন্ধকার হলো - ‘কোরআনের অভিধান’---মুনির উদ্দীন আহমদ--- ৮৫পৃষ্ঠা।
ইনকাদারুন = (অর্থ) স্তিমিত হয়ে পড়া - 'আল-কাওসার' - আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধান - মদীনা পাবলিকেশান্স।
কাদারাতুন = (অর্থ)- বৃহদাকৃতির ঢেলা - ‘আল-কাওসার’ - আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধান - মদীনা পাবলিকেশন্স
(৮১:২) অর্থ:- যখন নক্ষত্ররাজি স্তিমিত হবে বা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে বৃহদাকৃতির ঢেলায় পরিণত হবে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে- বিজ্ঞানে যেখানে 'বস্তুপিন্ড' বলা হলো- আল-কোরআনে কেন সেক্ষেত্রে 'বৃহদাকৃতির ঢেলা' বলা হলো?

বিজ্ঞানের বর্ননায় যে 'বস্তুপিন্ড' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে- তা দ্বারা শেষ পরিনতিতে সেই বস্তুপিন্ডটি 'আকৃতি ও প্রকৃতিতে' কেমন হবে তা স্পষ্ট নয়।

ঢেলা বলতে {lump (of earth); clod, brickbat}মাটির ঢেলা বা শক্ত ইটের ঢেলাকে বোঝায়। এটি যে কোন আগুনের পিন্ড নয়- প্রথমত সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সেইসাথে ঢেলাটির আকার কেমন হবে সেটাই এখানে বিবেচ্য। 'বৃহদাকৃতি'- এই বিশেষণটি যুক্ত করে ঢেলাটি যে গতানুগতিক ছোটখাট কোন মাটি বা ইটের পিন্ড নয় বরং বৃহদাকৃতির কোন বস্তুপিন্ড হবে সেদিকেই ইংগতি দেয়া হয়েছে। এখানে আলোচ্য আয়াতটিতে যেহেতু মহাজাগতিক বিষয় সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা হয়েছে এবং নক্ষত্রগুলোর সর্বশেষ পরিনতির কথা বলা হয়েছে। তাই এই বৃহদাকার মাটির পিন্ডগুলোকে মহাজাগতিক কোন পিন্ডের সাথে তুলনা করাটাই যুক্তিযুক্ত নয় কি? সহজভাবে চিন্তা করলে মহাজাগতিক বৃহদাকৃতির অগ্নিপিন্ড বলতে যেমন যে কোন আকৃতির নক্ষত্রের কথা মনে আসে। তেমনি মহাজাগতিক বৃহদাকৃতির মাটি বা ইটের ঢেলা বলতে পৃথিবী বা এর মত (কম-বেশি)যে কোন আকৃতির গ্রহ বা গ্রহানূর কথা বিবেচনা করাই তো স্বাভাবিক।

প্রথমে (৭৭:০৮) নং আয়াতের দিকে লক্ষ করা যাক- (যখন নক্ষত্ররাজি নিভে যাবে, মিটে যাবে বা আলোবিহীন হবে।)
এখানে ইংগিত দেয়া হলো যে, নক্ষত্রগুলো এখন যেভাবে জ্বলছে, স্বাভাবিকভাবেই যখন জ্বালানী শেষ হবে তখন আর সেভাবে জ্বলবে না অর্থাৎ নিভে যাবে বা আলোবিহীন হয়ে যাবে এবং সবশেষে মিটে যাবে অর্থাৎ এমন অবস্থায় উপনিত হবে যে তখন সেগুলো আর নক্ষত্র হিসেবে টিকে থাকতে পারবেনা।

এরপর (৮১:০২) নং আয়াতে বলা হলো- (যখন নক্ষত্ররাজি স্তিমিত হবে বা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে বৃহদাকৃতির ঢেলায় পরিণত হবে।)
এখানে এসে আরও তথ্য দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হলো যে, তারকাগুলো একবারে দপ করে নিভে যাবে না। বরং এই আলোবিহীন দশায় পৌঁছতে হলে কয়েকটি ধাপ পার হতে হবে। এই আয়াতে ব্যবহৃত ‘নুজূমুন’ অর্থ ‘তারকারাজি’ এবং ‘ইনকাদারুন’ অর্থ ‘স্তিমিত হয়ে পড়া’ শব্দ দুটি থেকে বুঝে নেয়া যায় যে,আলোকজ্জ্বল তারকাগুলোর জ্বালানী ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং এভাবে মহাকাশে অসংখ্য তারকা সংকুচিত হয়ে শ্বেবতবামন অথবা নিউট্রন তারকায় অর্থাৎ 'বস্তুপিন্ডে'পরিনত হচ্ছে। এই 'হোয়াইট-ডর্ফ বা শ্বেত-বামন ও নিউট্রোন তারকাগুলো ' প্রাথিমক পর্যায়ে বেশ উত্তপ্ত থাকলেও ধীরে ধীরে তাপমাত্রা হ্রাস পাবার সাথে সাথে 'স্তিমিত' হবে এবং অতিবেগনি রশ্মির হালকা আভা বিকিরন করতে থাকবে। সবশেষে ব্ল্যাক-ডর্ফে পরিণত হওয়ায় আলো বা আভা কোন কিছুই থাকবেনা এবং একেবারেই অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে অর্থাৎ আল-কোরআনে বর্নীত 'বৃহদাকৃতির ঢেলায়' পরিনত হবে।

স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালা (৭৭:০৮) নং আয়াতের মাধ্যমে প্রথমে নক্ষত্রগুলোর পরিনতির কথা বলে দিলেন। তারপর যারা আরও বিষদভাবে জানতে চায় ও এ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে চায় তাদের জন্য (৮১ : ০২) নং আয়াতে ব্যবহৃত শুধু এই একটি 'কাদারাত' শব্দ দ্বারা প্রথমত শ্বেবতবামন ও নিউট্রন তারকার 'স্তিমিত' হওয়া এবং সেইসাথে ব্ল্যাকডর্ফের আকৃতি ও প্রকৃতিগত অবস্থাকে (বৃহদাকৃতির ঢেলা, অন্ধকার হলো)সংক্ষেপে অথচ কত নিখুঁতভাবে আমাদের সামনে প্রকাশ করে দিয়েছেন।

এখন দেখা যাক- 'বৃহদাকৃতির ঢেলা' বা 'বস্তুপিন্ডগুলোর'- 'আকৃতি' সম্পর্কে বিজ্ঞান মৌলিকভাবে কি বলে?

Click This Link
A white dwarf is a small, very dense, hot star that is made mostly of carbon. These faint stars are what remains after a red giant star loses its outer layers. Their nuclear cores are depleted. They are about the size of the Earth (but tremendously heavier)! They will eventually lose their heat and become a cold, dark black dwarf. Our sun will someday turn into a white dwarf and then a black dwarf. The companion of Sirius is a white dwarf.


Click This Link
The hypothetical end point of evolution for a degenerate star, either a white dwarf or a neutron star, after it has cooled down to the extent that it can no longer shine, even dimly. A black dwarf is composed of cold, degenerate matter – degenerate electron matter (in the case of a white dwarf) or degenerate baryon matter (in the case of a neutron star). It's thought that about a trillion years are needed for a star to cool to the point at which it becomes a black dwarf. Hence, it will be a long time before the universe contains any such objects.

http://www.solstation.com/stars/pc10wd.htm
White dwarfs have radii around less than two percent of Sol's radius < 0.02 Rsun, which is around that of terrestrial planets like Earth. No nuclear fusion or gravitational contraction occurs in white dwarfs, and so they shine only by residual heat as their surfaces have very high temperatures and they radiate primarily in ultraviolet light.

Click This Link
A typical white dwarf is half as massive as the Sun, yet only slightly bigger than the Earth. This makes white dwarfs one of the densest forms of matter, surpassed only by neutron stars.

গবেষণায় দেখা গেছে প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ উত্তপ্ত থাকলেও শ্বেতবামনগুলোর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসছে ও ক্রমান্বয়ে 'স্তিমিত' (Lack-luster; half-closed; motionless; steady; fixed; wet; damp; moist) হচ্ছে এবং এগুলোর বেশির ভাগই আকৃতিতে অনেকটাই পৃথিবী সদৃশ। সুতরাং এগুলো যে ধীরে ধীরে তাপহীন ও আলোহীন হয়ে একদা পৃথিবী সদৃশ 'বৃহদাকৃতির ঢেলায়'অর্থাৎ শীতল-কাল 'ব্ল্যাক-ডর্ফে' পরিনত হবে তা উপরের দেয়া বৈজ্ঞানিক তথ্য মতে সহজেই বুঝে নেয়া যায়।

ইতমিধ্যে লুসি (ব্যাসার্ধ: ২৫০০মাইল/৪০০০কিমি) নামের যে শ্বেতবামটি আবিষ্কৃত হেয়েছে সেটা আকারে পৃথিবীর চেয়েও ছোট-
{ Lucy, the remnant of a dead star in the constellation Centaurus, was identified as a "chunk of crystallized carbon" by its discoverers at the Harvard-Smithsonian Center for Astrophysics. It measures only 2,500 miles across (less than one-third the size of Earth) yet weighs 5 million trillion trillion pounds, making it the largest dwarf yet identified. }

Click This Link
দেখা গেছে শ্বেতবাম লুসি আকৃতিতে প্রায় গ্রহ-মার্কারির (ব্যাসার্ধ:৪৮৮৮কিমি)সমান।

Click This Link
In structure, a neutron star more closely resembles a solid, miniature planet than it does an ordinary star. Its core consists mainly of densely-packed neutrons, with a sprinkling of protons and an equal number of electrons, in a liquid-like state known as neutronium. Surrounding this is a mantle topped by a crust, perhaps 1 km thick, consisting of a stiff lattice of nuclei of the same elements as found on Earth through which flows a sea of electrons.

Click This Link

Neutron stars form during the final stages of the life of a star. Stars with masses between 2 to 3 times that of the Sun will most likely suffer a supernova explosion, which compresses the stellar core into objects as small as an asteroid.

তেমনি নিউট্রন তারকাগুলোর আকৃতি বেশ ছোট । তাই এগুলোকে যে তারকা না বলে বরং ছোট্ট আকৃতির 'গ্রহ অর্থাৎ গ্রহাণূ' বলা যেতে পারে তা উপরে উল্লেখিত বিজ্ঞানের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বলা আছে।

সুতরাং এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে শ্বেতবান ও নিউট্রন তারকাগুলো যখন 'বৃহদাকৃতির ঢেলায়'অর্থাৎ ব্ল্যাকডর্ফে পরিনত হবে- তখন সেগুলো আকারে যেমন কমবেশি পৃথিবী এবং তার প্রতিবেশী যেকোন 'গ্রহ বা গ্রহাণূর' মতই হবে, তেমনি এগুলোর মত তাপহীন ও আলোহীনও হবে অর্থাৎ নিজস্ব কোন তাপ ও আলো থাকবেনা। আর এই তথ্যটিই মহান স্রষ্টা আমাদেরকে অনেক আগেই তার প্রেরিত মহাগ্রন্থে অতি সংক্ষেপে অথচ নিখুঁতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। যা বিজ্ঞানীরা এখন গবেষণা করে জানতে পারছেন।

Click This Link
ব্ল্যাকডর্ফগুলো তাপবিহীন, আলোবিহীন বস্তুপিন্ডে পরিণত হয়। তাই এগুলোকে খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। একটি তারকার ব্ল্যাকডর্ফে পরিনত হবার জন্য সে বিশাল সময়ের প্রয়োজন সেই বিবেচনায় এখনো কোন ব্ল্যাকডর্ফের অস্তিত্ব আছে কিনা সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা সন্দিহান। আমরা জানি বেশ কিছু তারকা মহাবিশ্ব সৃষ্টির খুব কাছাকাছি সময়ে সৃষ্টি হয়েছিল বলে ধারনা করা হয়। যদিও আমাদের নিকট সান্নিধ্যে ব্ল্যাক-ডর্ফে পরিণত হওয়ার মত এমন কোন শ্বেত-বামন এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। কিন্তু তাই বলে এই মহাবিশ্বের ৮ হাজার কোটি গ্যালাক্সির কোনটিতেই যে একটিও ব্ল্যাক-ডর্ফ নেই বা ইতিমধ্যে যে এমন কিছু শ্বেত-বামন অথবা নিউট্রন তারকা গঠিত হয়ে যায়নি যেগুলো অচিরেই ব্ল্যাক-ডর্ফে পরিণত হতে পারে- তা কি হলফ করে বলা যায়? ভবিষ্যতে আরও উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার কোরে বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকডর্ফ আবিষ্কার করতে সক্ষম হোক বা না হোক- মহাকাশে অসংখ্য শ্বেতবামন ও নিউট্রন তারকার উপস্থিতি যে পরোক্ষভাবে অসংখ্য নক্ষত্রের সবশেষ দশায় কাল-বামন বা ব্ল্যাক-ডর্ফে পরিণত হবার দিকেই অঙ্গুলী নির্দেশ করছে তা বিজ্ঞানীরা ঠিকই বুঝে নিয়েছেন।

বিজ্ঞানে যেসব নক্ষত্রের শেষ পরিণতি হিসেবে শ্বেতবামন বা নিউট্রন তারকার দিকে নির্দেশ কোরে 'বস্তুপিন্ড'-কে বোঝান হয়েছে। আল-কোরআনে কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেক আগেই সেইসব নক্ষত্রের শেষ পরিণতিতে সেগুলো যে অবস্থা প্রাপ্ত হবে তাকে 'বৃহদাকৃতির ঢেলা' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কোন নক্ষত্রের ব্ল্যাক-ডর্ফে পরিণত হওয়ার আগের ধাপটি যেহেতু শ্বেতবামন বা নিউট্রন তারকা। সুতরাং কোন কোন নক্ষত্র শেষ পরিনতিতে 'বৃহদাকৃতির ঢেলা' এর মত হবে বলতে মূলত ব্ল্যাকডর্ফকে বোঝালেও তার আগের ধাপে জ্জ্বালানী নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে সেই নক্ষগুলোর 'স্তিমিত হয়ে আসার অবস্থা' বলতে পরোক্ষভাবে মহাকাশে 'শ্বতবামন বা নিউট্রন তারকার' উপস্থিতির বিষয়টিও নির্দেশ করে।

মহাকাশে 'শ্বতবামন বা নিউট্রন তারকার' উপস্থিতিই কিয়ামত ঘনিয়ে আসার সময় নির্দেশ করে। এক্ষেত্রে 'ব্ল্যাকডর্ফের' উপস্থিতি জরুরী নয়। 'শ্বতবামন বা নিউট্রন তারকার' শেষ পরিণতি যে 'ব্ল্যাকডর্ফ'- যারা জানতে চায় তাদের জ্ঞাতার্থে সেই তথ্যটিও আল্লাহতায়ালা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন।

হীরক গ্রহের সন্ধান লাভ- কি এই হীরক গ্রহ?

সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এমন এক গ্রহ আবিষ্কার করেছেন, যা হীরক দিয়ে তৈরি। নুতন এই গ্রহটির অবস্থান চার হাজার আলোকবর্ষ দূরে এবং একটি কম ঘূর্ণায়মান ছোট নক্ষত্রকে (নিউট্রন তারকা বা পালসার) কেন্দ্র করে ঘুরছে। এটির আকার বৃহস্পতির চেয়ে কিছুটা বড়। এটির বিশেষত্ব হলো এর ঘনত্ব অন্যান্য গ্রহ অপেক্ষা অনেক বেশি। এই বেশি ঘনত্বের কারনে বিজ্ঞানীদের ধারনা, এখানকার কার্বন গুলো 'ক্রিস্টালাইস্ড' আকারে রয়েছে এবং এ কারনে এখানে বড় অংশ জুড়ে হীরা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষকদের ধারনা, গ্রহটি একসময়কার বড় কোন নক্ষত্রের অবশিষ্টাংশ ছিল।

বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় সুগঠিত নব চিন্তন, গবেষণালব্ধ জ্ঞানী বিশ্লেষন যেমন প্রয়োজন। তেমনি ইসলামী বিধানের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য আল-কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে যুগের প্রয়োজনে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা ও মতামতের (তাই বলে অবিশ্বাসীদের মত নয়) যে যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে- তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু বিভ্রান্তির আঁধারে ডুবে ফতোয়া দেয়া যেমন বিপদজনক এবং অসস্থিকর, তেমনি বিজ্ঞানের সারবস্তুকে হৃদয়ঙ্গম না কোরে বড় বড় বুলি আওড়ানো- মিথ্যার অপলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। যা ফলস্রুতিতে আরও দশজনকে বিভ্রান্তির পথে টেনে নিয়ে আসা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনা।

একজন মানুষ হিসেবে আমার জ্ঞানকে আমি সীমিতই ভাবি। মহান আল্লাহতায়ালার অসীম জ্ঞানের সাথে তো নয়ই- বরং সর্বশেষ নবী ও রসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে মহান স্রষ্টা যে জ্ঞান দান করেছেন তার সাথেও অন্য কোন মানুষের জ্ঞানের তুলনা করার কোন প্রশ্নই আসেনা। যারা তাদের জ্ঞানকে অসীম ভাবতে কুন্ঠাবোধ করেন না তারা আমার এই আলোচনা নিয়ে তাচ্ছিল্ল করতেই পারে। কেননা তারা তো সর্বজ্ঞ স্রষ্টার চেয়েও তাদের জ্ঞানী ভাবতে অভ্যস্ত। তাই বিশ্বাসী ভাইদের বলছি- আপনারা এদের মিথ্যাচারে বিচলিত হবেন না। বরং আল্লাহতায়ালার উপর ভরসা কোরে সত্যজ্ঞান আহরনে সময় দিন। দেখবেন মহান স্রষ্টা আপনার কত নিকটে চলে এসেছেন। মহান স্রষ্টা যেন আমাদেরকে সত্যকে সঠিকভাবে বোঝার এবং সরল ও শান্তির পথে চলার তৌফিক দান করেন।

"মহান স্রষ্টা যে আছেন" আল-কোরআনই তার চিরন্তর জ্জ্বলন্ত প্রমান। এটি নিছক কোন বিজ্ঞানের বই নয়। তাই এতে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও ত্বত্ত্বগুলোর বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে ঐশী ইংগিত দেয়া হয়েছে মাত্র। সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে একজন ইমানদার যখন আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে গভীর চিন্তা-গবেষণায় রত হয়, তখন পরম শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসে জগৎসমূহের স্রষ্টা সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান এক আল্লাহর সামনে মাথা নত করতে সে বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হয় না। আল-কোরআন যে স্বয়ং মহান স্রষ্টা প্রেরিত পথপ্রদর্শনকারী মহাগ্রন্থ তা জ্ঞানী ও সরলমনা বিশ্বাসীরা তখন নির্দিধায় মেনে নেয়।।এভাবে অল্লাহতায়ালা বার বার প্রমাণ করে দেখান যে, আল-কোরআনে প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক ঐশী তথ্যগুলো যেমন সত্য, ঐশী আইন-কানুনগুলোও তেমনই অকাট্য ও সত্য এবং সর্বকালেই কল্যাণকর। মহান স্রষ্টা চান, বিশ্বাসী মানুষেরা যেন এইসব ঐশী তথ্য সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণাব মধ্য দিয়ে আধুনিক আবিষ্কারগুলোকে যাঁচাই করে নিয়ে প্রকৃত সত্যের সন্ধান লাভ করতে পারে এবং আল্লাহর মহত্ব ও করুণার কথা স্মরণ করার সাথে সাথে একমাত্র তাঁরই কাছে মাথা নত করে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:২৯
৩২টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×