somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রথম রাতের উপহার

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
জায়েদের আজ বাসর রাত। এখন রাত প্রায় আড়াইটা। তার দুই তিন বাচ্চার বাবা হওয়া বন্ধুবাব্ধব, আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে সবার, কারওই আগ্রহের শেষ নেই। বাসর নিয়ে অবশ্য বরাবরই বাইরের মানুষজনদের আগ্রহ, আদিখ্যেতার শেষ নাই। এটা বিয়ের সবচেয়ে বিরক্তিকর অংশ। বন্ধুরা রাত বাড়ার সাথে সাথে, ক্রমাগতই আকাম-কুকাম চিন্তা করতে থাকে।

উল্লেখ্য, বন্ধুমহলে সেই ছিল একমাত্র ব্যাচেলর। সবাই যেখানে, ছেলেমেয়ের বাবা ডাক শুনে ফেলেছে, কিংবা শোনার পথে, সেখানে জায়েদ সবে বিয়ে করল। যদিও সেটা বিষয় নয়, মা বলে বিয়েতে ছেলেদের আবার বয়স কি!! তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও প্রায় পঁয়ত্রিশ ছুঁই ছুঁই জায়েদের এইসব আনুষ্ঠানিকতা করতে হল, বন্ধুবান্ধবদের চাপে পড়ে। হারাধনের একমাত্র বলে কিনা জানা নাই, কিন্তু জায়েদ কে তার বন্ধুরা বেশী বেশী রকমের পছন্দ করে।

কারণ হিসেবে বন্ধু তন্ময় একদিন ওকে বলেছিল, “কঠিন সময়ে কিভাবে ধৈর্য ধরতে হয়, বুকে চিনচিন ব্যাথা নিয়েও মুখে কিভাবে হাসি রাখতে হয়, তা আমরা তোর থেকেই শিখেছি।“

মন্তব্যটায় যুক্তি আছে বৈকি। এই যেমন, জায়েদ কাওকেই বুঝতে দিচ্ছে না যে, ওর প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা করছে, সেই সাথে চোয়াল ও!! বন্ধুদের ডার্টি জোকস শুরু হয়েছিল সেই বিয়ের ষ্টেজ থেকেই। তখন থেকেই ক্রমগত হেসে চলেছে সে!! মেয়েপক্ষের কয়েকজন তো রীতিমতো বাঁকা চোখেই তাকিয়ে ছিল, “বুইরা জামাই এমন হাসে কেন, নির্লজ্জ!” এমনকি, তার বৌ যখন সাথে বসেছিল, আচমকা পনের মিনিট আগে রনির বলা একটা জোক মনে পড়ে গেল। ফিক করে হেসে উঠল জায়েদ। নতুন বৌ বাঁকাচোখে ছোট্ট করে একটা কাশি দিয়ে সাবধান করে দিল।

জায়েদের না হেসে উপায়ও নেই, সবাই তাদের বেস্ট কালেকশন অব ডার্টি জোকস, নিয়ে এসেছে জায়েদের বিয়েতে শোনাবে বলে। অবশ্য এই ট্র্যাডিশনটা জায়েদেরই আবিষ্কার।

অন্যবন্ধুদের বিয়েতে, ও এরকম জোকস বলে বলে আসর মাতিয়ে আসত। আরেকটা কাজ (কারও কারও মতে অকাজ) করতো। তার যেসব বন্ধুদের প্রেমের বিয়ে ছিল, মানে বাসর নিয়ে যাদের নানা কল্পনা- পূর্বপরিকল্পনা ছিল, তাদের বাসর ঘরে ঢোকার আগে, বন্ধুরা যে আড্ডাটা মারত, সেখানে পেপসির সাথে ও ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিত! স্বপ্নের বাসরে তার বন্ধুটি ঘুমিয়ে কাটাতো! আর সকালে প্রাক্তন প্রেমিকা প্লাস নববধূ দ্বারা গালি ভক্ষণের গল্প যখন সবাই জায়েদের সাথে করত, তখন ও কিযে মজা পেত।!

অবশ্য, পরে পরে জায়েদের এই বাসর ভণ্ডুল করার প্ল্যান সবাই জেন গেল। এমনকি প্রেম করে বিয়ে করতে যাওয়া বন্ধু থেকে শুরু করে সেটেল ম্যারেজের বন্ধু- সবাই বাসর ঘরে ঘুমানোর ভয়েই, জায়েদ কে বিয়েতে একপ্রকার নিমন্ত্রন-ই জানাত না। ব্যাচারা জায়েদ, অলক্ষ্যেই তার এই দুষ্ট বুদ্ধি বিসর্জন দিল।

বিপদের কথা হল, যাদের বাসর সে ভণ্ডুল করেছিল, তারা সব্বাই আজ উপস্থিত! একেই বলে পরের জন্য খোঁড়া গর্তে নিজে পড়া! অবশ্য, ওসব বাঁদরামি অনেক অনেক আগের কথা, সবার কি আর মনে আছে? যদিও সেলফ প্রটেকশন স্বরূপ, জায়েদ এখনো বন্ধুদের বাড়িয়ে দেওয়া কিছুই পান করে নাই। এমনকি পানিও না।

জায়েদের প্রচণ্ড তৃষ্ণা পেয়েছে, এবং ঘুমও আসছে। তার বন্ধুদের প্ল্যান মনে হয়, কথা বলে বলে ওকে আটকে রাখা। তিনটা বাজে, এখন পর্যন্ত কেও-ই যাবার নাম করছে না। সর্বনাশ, ওরা দেখি বুদ্ধিতে আরও এক ডিগ্রী সরেস!


তন্বী নিশ্চয় কত আশা ভরসা নিয়ে বসে আছে রুমে, নাকি অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে! কে জানে!! তন্বী ছিল জায়েদের বন্ধু মিরাজের ফেসবুক বন্ধু। নানা কমেন্টে ওদের দেখা হত, সেই থেকে বন্ধুত্ব। কয়েক মাসের মাথায়, তন্বীই বলে বসল, চলো বিয়ে করি। জায়েদ হ্যাঁ, না কিছুই বলল না। কিভাবে কিভাবে যেন মিরাজ আর তন্বী মিলেই সব করে ফেলল। মেয়েটার সাহস দেখে জায়েদ একপ্রকার মুগ্ধই হল। মেয়েটা যদি অমন ক্রেজি আর ডেসপারেট কিছু না করতো, তবে ওর ভাগ্যে যে বিয়ে ছিলনা এটা প্রায় নিশ্চিত-ই ছিল।

যদিও কিছু কথা বলার ছিল তন্বীকে, কিন্তু অসম্ভব সাহসী এই মেয়েটা বলে বসল, “যা বলার, বিয়ের পর বলবে।“

জায়েদের সেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো আজই বলবে তন্বীকে, এই রাতেই। ওর কষ্টমাখা একটা অতীত আছে, বিশ্বাস ভাঙার একটা বেদনা আছে। কেন তার বিয়ে করতে এত দেরী হল। কেন সে, মেয়েদের কে বিশ্বাস করতে পারে না। তার মনে আসলে সম্পর্কের বিষয়গুলো নিয়ে খুব একটা ভালোবাসা কাজ করে না। সেইসব সব গাঙ্গা গড়ার অতীতের সব গল্প-ই সে তন্বীকে আজ বলবে। কিচ্ছু লুকানো উচিত নয়। অন্যদের কাছে ভুল ভাবে শুনে পরে কষ্ট পাবার চেয়ে, আজ রাতেই সে সব বলে দেবে। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, অথচ কিছুই হচ্ছে না।


সবাই যখন, জায়েদ কে বাসর রাতে বিলাই মারার কলাকৌশল বর্ণনা করছিল, তখনি শেষমেশ মিরাজ ই ত্রাণকর্তা রূপে আবারো হাজির।

“শালার পুত, মাথা খাইসস নাকি সব গুলান, টাইম দেখসস?? যা, বাড়িত যা। যা শুরু করসস তোরা, জায়েদের বিলাই মারা অন্তত এই রাতে আর হয়ে উঠবে না। তিনটা বাজে, ওরে এবার বাসরে যাইতে দে।“


সবাই তৎক্ষণাৎ যে যার ঘড়ির দিকে তাকাল। অবশেষে, সেই সুবর্ণক্ষণ এল! বন্ধুরা সব বিদায় নিল। এই কৃতিত্বটাও তন্বী আর মিরাজের যৌথ কৃতিত্ব। তন্বীই নাকি, মিরাজকে ভেতর থেকে ফোন করে জানিয়েছিল, “অনেক আড্ডাবাজি হল তোমাদের। এবার তোমার বেহুশ বন্ধুকে আসতে বল। আনেক রাত হয়েছে।“

তন্বীর কয়েকটা মেসেজ জায়েদও পেয়েছিল। কিন্তু, কি করে যে বন্ধুদের যেতে বলে!!

রুমে এসে জায়েদ দেখল, ফুল দিয়ে সাজানো ঘরে, তন্বী খাটের ঠিক মাঝে অর্ধেক একটা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। খাটের পাশে গ্লাস ভর্তি দুধ, মিষ্টি, এমনকি পান ও রাখা আছে!! ঠিক বাংলা সিনেমার বাসর রাতের দৃশ্য গুলার মতো। হিসেব মতে, জায়েদের এখন তন্বীর কাছে যাওয়া উচিত, এবং পরের দৃশ্যে তন্বী জায়েদের পা ধরে সালাম করতে গিয়ে বলবে, “তুমি আমার স্বামী, আমি তোমার বউ// খোদার পর তোমায় আমি বড় বলে জানি।।”


জায়েদ তখনি বলে উঠবে, “আরে আরে! কি করছো!! তোমার স্থান আমার পায়ে নয়, বুকে।“
তারপর আরেকটা গান হবে, “শত জনমের ভাগ্য, তুমি আমার জীবনে এলে, কত সাধনায় এমন ভাগ্য মেলে!! ”

সবশেষে ডুয়েট একটা গান হবে, “আজ রাত সারারাত জেগে থাকব, দুচোখের ইশারায় কাছে ডাকব। ভুল যদি হয়ে যায় অজান্তেই, হুম...... ভালোবাসা তারেই আমি বলব।”

অজান্তেই জায়েদের একটা হাসি পেল। তখনি তন্বী ঘোমটা সরিয়ে বলল,

“আচ্ছা, তোমার কি বিবেক বুদ্ধি কিছু নাই, নাকি?? রাত তিনটার সময় তুমি বাসর রাতে আসছো!! আমি দুই দফা ঘুমিয়েও নিয়েছি। আর তুমি এক মাইল দূরে দাঁড়িয়ে আছো কেন?? কাছে এসো। আমি চিৎকার করে পাড়া জাগাতে পারব না। আমার কিছু কথা আছে।
যেগুলো তোমাকে এইরাতেই জানানো দরকার। বিয়ের আগেও জানাতে পারতাম, কিন্তু খুব একটা জরুরি মনে করিনাই বিধায়, বলি নাই। তাও একটা নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছি, আমার সবকিছুই তোমার জেনে রাখা ভাল। পরে কার থেকে, কি না কি উল্টা পাল্টা শুনতে পাও। শেষে কষ্ট পাবে। ”

"আমার প্রেম ঘটিত একটা সম্পর্ক ছিল। ঐ যা হয়, ছেলেটা বিশ্বাসঘাতকতা করল। তারপর থেকেই, ছেলেদের ঘেন্না হয়। সম্পর্ক ফালতু লাগে। কিন্তু পরিবার সমাজ তো কিছু বুঝতে চায়না। তাই বিয়ে করা। জীবন কাটানো। আমি তোমাকে ঠকাতে চাই না। আমি জানি, দুনিয়ার সব পুরুষ ঘৃণিত নয়, খারাপ নয়। সর্বত্রই ভালো খারাপ আছে।
আর তাই, এটা মেনে নিয়েই এত কাল পরে বিয়ে করলাম। তোমাকে আমার ভালো লেগেছিল। তাই সাহস করলাম আবার স্বপ্ন দেখার। শুধু তোমার একটু সাহায্য চাই, একজন বন্ধুর মতো। মানসিকভাবে আমাকে গুছিয়ে উঠতে একটু সময় দিবে প্লীজ। আবার যেন, আমি ভালবাসতে পারি। সুন্দর সুখী একটা ঘর, সংসার সব মেয়েরই লালিত স্বপ্ন থাকে। আমারও আছে, কিন্তু একটু সময় লাগবে, বুঝলে? তোমার সহযোগিতা লাগবে।“


জায়েদ একপ্রকার হ্যাঁ করেই তাকিয়ে রইল তন্বীর দিকে!! কি এই মেয়ে!!?? ঠিক যে কথাগুলো জায়েদ ভেবেই পাচ্ছিলো না কিভাবে বলবে, কোত্থেকে শুরু করবে, উচিত হবে কি, হবে না! অথচ কি অবলীলায়, সাহস আর সততায় তন্বী সব গড়গড় করে বলে দিল!!

তার বন্ধুদের কথা মনে পড়ে গেল, “দোস্ত, বিলাই কিন্তু প্রথম রাতেই মারবি!” কাল সকালে কিভাবে বন্ধুদের বলবে যে, বিলাইটা তন্বী-ই আগে মেরে দিয়েছে!!

তন্বীর কাছে বিলাই শিকার জনিত এই পরাজয়ে জায়েদ অবশ্য খুব একটা বিব্রত নয়। বরং কি জানি তার হঠাৎ কেন যেন মনে হচ্ছে, এরকম একটা মেয়ের কাছে সে জীবনের বাকিদিন গুলোতেও হারবে। এই হারার মাঝেও আনন্দ আছে। ভালোবাসায় সেই জেতে বেশী, যে ভালোবাসার মানুষের কাছে হারে বেশী।


তাদের ঘটক বন্ধু মিরাজের একটা মেসেজ আসে, “wts up, dost! ;)” জায়েদ তন্বীর দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বন্ধুকে রিপ্লে পাঠায়, “For god’s sake hold your tongue, and let me love.”




*** আশা করছি, লেখাটার হিওমার সবার ভালো লাগবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৪
১৪৯টি মন্তব্য ১৩৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×