একদা যে শব্দের ঘ্রাণ ছিলো...
সামু ব্লগে মন্তব্য থেকে কবিতা সৃষ্টি নতুন কিছু নয় কিংবা ফিচার/গল্প থেকে কবিতা তৈরীও বিচিত্র কিছু নয়। গতকাল পদ্ম পুকুরের পোস্ট পড়ে মন্তব্য করেছিলাম-
ফেলে আসা শব্দরা আজ খোঁজে অবয়ব
চায় রূপ-রং আর গন্ধ
এতকাল পড়ে আমি যে অসহায়
হায় কেন চোখ থাকতে অন্ধ।
তো ওনার প্রতিউত্তর পেয়ে দারুন মুগ্ধ হলাম এবং বাকি অংশ পূর্ণ না করে পারলাম না। ওনার অনুপ্রেরণা না পেলে হয়তো মন্তব্যটা এখানেই শেষ হয়ে যেত। অনেকের পোস্টেই এ ধরনের মন্তব্য করি কিন্তু পুরো কবিতা আর হয়ে উঠেনা । ব্লগে এই গল্প-কাব্যের সৃষ্টির মিথস্ক্রিয়া চলতেেই থাকবে। মনে পড়ে ব্লগার নীলপরি ও ব্লগার শাহরিয়ার কবিরের কথা। ওনাদের মন্তব্যে আর প্রতিমন্তব্যে ব্লগ পেয়েছে দারুন সব কবিতা। ওনাদের কাব্যের লড়াই চলতো দিনের পর দিন। মিস করছি সেই দিনগুলো।
কবিতার এমনই শক্তি ১৫০০ শব্দকে দু’লাইনে প্রকাশ করতে পারে।কবিতার এমনই গতি গল্পকে গুটিকয়েক শব্দে বুঝিয়ে দিতে পারে। কবিতার এমনই গুণ প্রেমিক রক্তে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে। কবিতার এমনই শক্তি জনতাকে করতে পারে বিদ্রোহী।
এবার পুরো কবিতাটি পাঠ করার আমন্ত্রণ-
শব্দের ঘ্রাণ
ফেলে আসা শব্দরা আজ খোঁজে অবয়ব
চায় রূপ-রং আর গন্ধ
এতকাল পড়ে আমি যে অসহায়
হায় কেন চোখ থাকতে অন্ধ।
অতীতের শব্দরা গড়ে তোলে স্মৃতির তাজমহল
আধার রাতে জোনাকির ভীর
সময়ের স্রোতে ভেসে গেলে জীবনের হিসেব
সব পাখি আর ফিরেনাতো নীড়।
শব্দ মানেই শঙ্খের গায়ের মত নান্দনিক কারুকাজ
আনন্দ বেদনার মিশ্র অনুভূতি
শিশিরের শব্দের মত মিলিয়ে যাবে অনন্তে
দিন শেষে এইতো রীতি।
শব্দের ঘ্রাণের আছে নিজস্ব গাঢ় স্বকীয়তার আচ্ছাদন
যেমন নক্ষত্রের গায়ে আল্পনা
ভালবাসার মানুষকে নিয়ে চিরকাল বয়ে চলা
বিরহের আগুনে মিলনের শান্তনা।
কৃতজ্ঞতা- ব্লগার পদ্ম পুকুর
ছবি-নিজের তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৫