
আমাদের এলাকায় তিলের মৌসুমে তিল তরকারি রান্না করা একটি প্রচলিত নিয়মের মতোই হয়ে গেছে। বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে তিলের তরকারি রান্না করা হয় এবং খাওয়া হয় আর কোন কোন অঞ্চলে খাওয়া হয় না সেটা আমি পুরোপুরি জানিনা। অত্যন্ত মজাদার ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই তরকারির রেসিপি আজ শেয়ার করব।
উপকরণ: তিল, চিংড়ি মাছ ও তেঁতুল।
রন্ধন প্রণালী: প্রথমেই তিল গুলো হাল্কা একটু পানিতে ধুয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। কড়াইতে তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, হলুদ মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে কষাতে হবে। তারপর চিংড়ি মাছ হালকা একটু ভেজে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো হয়ে গেলে ৩/৪ চামচ পানি দিয়ে ব্লান্ডার করা তিল দিয়ে দিতে হবে। এবার একটু পরপর নাড়াচাড়া করতে হবে যাতে লেগে না যায়। তরকারিটা হয়ে এলে অল্প পরিমাণ গালা তেতুল দিয়ে দিতে হবে। সর্বশেষ একটু জিরার গুড়া দিয়ে নাড়াচাড়া করে তরকারিটা শুকনো শুকনো হয়ে এলে উঠিয়ে নিতে হবে।
ব্যাস হয়ে গেল মজাদার তিন তরকারি। ভাতের সাথে খাওয়া যায় আর বিকেলে মুড়ির সাথে ও মেখে খাওয়া যায়। রান্না করা তরকারি ফ্রিজে ডিপে রেখে এক মাসের মত খেতে পারবেন।
বিদ্র: আগে আমাদের এলাকায় কাউফল ছিল কাউ এর চোলকা তরকারিতে টক হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন কোন কাউ গাছ না থাকায় হালকা পরিমাণ তেতুল ব্যবহার করা হয়। তেতুল বেশি দেওয়া যাবে না তরকারিতে টক এর পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে মজা পাওয়া ।যাবে না। ফ্রিজে এক মাসের বেশি রেখে না খাওয়াই ভাল এতে স্বাদ এর তারতম্য ঘটতে পারে।
ছবি নিজের তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



