অপরাধ যে করে সেই অপরাধী সেটা ছোট হোক কিংবা বড় হোক। গুনার কাজ যে করে সেই গুনাগার সেটা নারী হোক কিংবা পুরুষ।
সানি লিওন একজন সাবেক পর্নোতারকা। সে পাপাচারকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। যেখানে পাপ প্রকাশ করাও পাপ সেখানে পাপকে বা গুনাহকে গুনাহ মনে না করার জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি ও কঠিন পরিণতি।
ব্যভিচার যে করে সে নারী হোক, পুরুষ হোক বা জেনারেল শিক্ষিত হোক, আলেম হোক সমান অপরাধী। এর মধ্যে যে প্রকাশ্যে ব্যভিচারে লিপ্ত সে আরও বেশী গুনাহগার পবিত্র তো দূরের কথা।
আজকের প্রজন্মর অনেকেই টিভি দেখাকে গুনাহ মনে করেনা, টিভি দেখা ও আরও অনেক গুনাহের কাজকে স্বাভাবিক মনে করছে। অথচ আমরা ছোট বেলা থেকেই এটা মনে করতাম যে টিভি দেখছি মজা পাচ্ছি কিন্তু গুনাহ হচ্ছে।
সানি লিওন যে পাপ কাজ করছে সেটা ভিডিও দেখলেই বুঝা যাবে অন্যথায় বুঝা যাবেনা এটা কেমন কথা। পত্র পত্রিকায় সানির যে কোন নিউজ যখন উঠে আসে সবার আগে লিখা থাকে পর্ণ তারকা। তাই একজন পর্ন তারকা কি করেন তা শিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত মানুষ মাত্রই বুঝতে পারেন, সেটা বুঝার জন্য লুকিয়ে ভিডিও দেখার প্রয়োজন হয়না।
মাদ্রাসায় যে শিশুরা থাকে তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলৎকারের শিকার হয় যা জঘন্য ও ভয়াবহ। যে এই কাজ করে সে হোক আলেম বা অন্য কেউ সে চরম গুনাহগার। তো এই গুনাহগার ও সানি একই পাপে পাপী তাহলে সানি কেন বেশি পবিত্র হবে?
ভাল মন্দ সব জায়গায় আছে ? জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত শিক্ষকওতো ছাত্রী ধর্ষন ও ছাত্র বলাৎকার করেন তাই বলে কি সব শিক্ষক দায়ী। তেমনি দু’একজন আলেমের জন্য সব আলেম কেন দায়ী হবে।
ছোট ছোট বাচ্চাদের হুজুররা যে যত্ন নেন, খাবার খায়িয়ে দেন, পরিচর্যা করেন সেটা কখনো সেভাবে উঠে আসেনা পত্র পত্রিকায়, মিঠিয়ায় যেমনটা মন্দটা উঠে আসে।
অপরাধ যে করে সেই অপরাধী তাদের পক্ষ নেওয়ার কোন কারণ নেই আর একটি গোষ্ঠীর একজন দুজনের জন্য পুরো গোষ্ঠীকে দায়ী করা বোকামী।
এই রমজানে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিন, সবাই ভাল থাকুন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


