

কাজ শেষ করে লাঞ্চ করলাম। লগইন করা সামুতে ক্লিক করলাম। এরই মধ্যে বৈশাখের আকাশে কালো মেঘ। হুট করে বৃষ্টি নামলো। অফিসে আমার রুমের জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে বৃষ্টি উপভোগ করছি। দুটি ছবিও তুলে ফেললাম।
নাগরীক জীবনে বৃষ্টি উপভোগের সময় খুবই কম আমাদের। কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকলাম সব কাজ ফেলে, সব ভুলে। মনে উদয় হলো বিগত দিনের কত স্মৃতি, কত কথা, কত গান, কত হাসি.........................।
বৃষ্টির আওয়াজ শুনে শুনে কিবোর্ডে আঙ্গুল চালাচ্ছি অদ্ভুত এক অনুভূতি। আসলে আজকে ব্লগে কিছু লেখার ইচ্ছে ছিলনা। শায়মাপুকে তার গানের টিচারের শেখানো ২য় গানটা নিয়েই ভাবছিলাম কাজের ফাকে ফাকে।
আসে রজনী সন্ধ্যামণির প্রদীপ জ্বলে- নজরুল সঙ্গীত।
আসে রজনী, সন্ধ্যামণির প্রদীপ জ্বলে
ছায়া-আঁচল-ঢাকা কানন-তলে।।
তিমির দু’ কূল দুলে গগনে, গোধূলি-ধূসর সাঁঝ-পবনে
তারার মানিক অলকে ঝলে।।
পূজা আরতি লয়ে চাঁদের থালায়
আসিল সে অস্ত-তোরণ নিরালায়।
ললাটের টিপ্ জ্বলে সন্ধ্যা-তারা
গিরি-দরি বনে ফেরে আপন-হারা
থামে ধীরে ধীরে বিরহীর নয়ন-জলে।।
গানটার অর্থ আপনাদের কার কাছে কেমন জানিনা, আমার কাছে এরকম মনে হলো-
সন্ধ্যামণির ফুলের প্রদীপ জ্বলে রাত আসে
ছায়ার আঁচলে জড়ানো বাগানে
অন্ধকার জুড়ে আছে আকাশ, বাতাসে গোধূলি সন্ধ্যা
কোঁকড়ানো চুলের গুচ্ছ তারার মানিকের মত ঝুলে
পূজার উপাচার চাঁদের থালার মত সাজিয়ে
সূর্য বিদায়ের ক্ষনে নিরবে সে আসে।
কপালের টিপ যেন সন্ধ্যা তারার মত জ্বলে
পর্বত- উপত্যকা বনে ফিরছে আপন হারা মন
সে যে থামে ধীরে বিরহীর চোখের জলে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


