আজকের গল্প ঔষধ খাওয়া নিয়ে-
অনেক বাচ্চা আছে ঔষধ খেতে চায় না আর যেসব বাচ্চা ঔষধ খেতে চায় না তারা অসুস্থ হলে পরিবারকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
আমার মেয়ে ইচ্ছে করলে ওষুধ খেতে পারে কিন্তু যখন না করে তখন তাকে কিছুতেই ওষুধ খাওয়ানো যায় না।
গত মাসে যখন তার জ্বর হলো নরমাল সিরাপ এক সপ্তাহ খাওয়ার পরেও জ্বর সারছিলনা। অনেক বলে কয়ে, ভয় দেখিয়ে, এমনকি ফার্মেসিতে বসিয়ে ইনজেকশন এর ভয় দেখিয়ে ওষুধ খাইয়েছি। কিন্তু জ্বর যখন কিছুতেই সারছেনা না তখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর পর এন্টিবায়োটিক দিয়েছিল।
মেয়েতো এন্টিবায়োটিক খাবে না কিছুতেই। উপায় না পেয়ে আমি আর বাবুর মা হাত-পা চেপে ধরে তার মুখে ঔষধ দিয়েছি কিন্তু সে মুখ থেকে বারবার ফেলে দিচ্ছে। তারপর আরো জোরাজোরি করে খাওয়াতে গেলে সে বলল, এভাবে তাকে ওষুধ খাওয়ালে সে মরে যাবে । তার এই কথা শুনে আমরা তাকে ছেড়ে দিলাম আর সে মুখ থেকে সব ওষুধ ফেলে দিল। ‘আমি মরে যাব’ এই কথাটা কি যে মর্মান্তিক এক বেদনার সেল হয়ে বুকে বাজতে থাকলো সেটা বাবা-মা মাত্রই জানেন, বুঝেন।
মিষ্টি ওষুধ হলে মাঝে মাঝে খায়। এবার ওর কোষ্টকাঠিন্যর জন্য ওষুধ খাওয়ানো শুরু করলাম অনেক বলে কয়ে, বুঝিয়ে শুনিয়ে।
মিষ্টি ওষুধ খেয়ে এখন সে স্বেচ্ছায় প্রতিদিন ওষুধ খায় । এমনকি সেদিন রাত বারোটা বেজে গেছে ঘুমাতে ঘুমাতে বিছানায় শুয়ে পড়েছে তখন বলে উঠলো ওষুধ খাওয়া হয়নি, ওষুধ দাও । আমরা বললাম, একদিন না খেলে কিছু হবে না। এখন অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমিয়ে যাও। কিন্তু সে গো ধরলো খাবেই । অবশেষে আবার মশারি খুলে তাকে ঔষধ খাইয়ে ঘুমাতে হলো।
আপনারা কে কিভাবে বাচ্ছাকে ঔষধ খাওয়ান ?
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৬