
সেই কোন এক বর্ষামুখর দিনে-
মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক সিড়ি বেয়ে উঠে যায় ছাদের কার্নিশে
আকাশের পানে চেয়ে সে কি যে ভাবে, তা কেবল অর্ন্তজামী জানে
তারপর সে পড়ে যায় নীচে আওয়াজে কেপে উঠে ভূমি
রক্ত আর মুখ ভরা ফেনা, নির্বাক চোখ যেন বলে বিধি মুক্তি দিলে তুমি!
মাতিহা, দরিদ্র পিতার কন্যা-
বিয়ে তাকে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দেবে ভেবে চোখে নতুন স্বপ্নের ভোর
মেহেদী শুকিয়ে যাবার আগে স্বপ্ন শুকায়, এ সতিনের সংসার ভাঙ্গে ঘোর
তারপর তাকে পাওয়া যায় রেললাইনে, আন্তঃনগর ট্রেনের নীচে পড়ে থাকে লাশ
জীবন থেকে মুক্তি নিলে তুমি, সমাপ্ত টানলে জীবনের সমস্ত অভিযোগ উপহাস।
ঘন কুয়াশার দিনে ফেরি পারাপার-
যমুনার জলে অবগাহনে ভেসে পাড়ি দেয় নদী, মানুষ ও হরেক যানবাহন
দুটি অনাথ শিশু চেয়ে থাক খাবারের দিকে বলতে পারেনা দুঃখের সাতকাহন
ক্ষুধার জ্বালায় চোখে জল তবুও মানুষেরা বড় নিঠুর দেয়না ওদের এক মুঠো ভাত
তাদের অসহায় চোখ চোখ রাখে এক কিশোর,অপেক্ষা কখন শেষ হবে আঁধার রাত।
মাটিতে আঁকাবুকি করা এক বুড়ি-
পুরো উঠোনজুড়ে আরবি হরফ লিখত আর খিলখিল করে হাসত আপন মনে
লোকে বলত তারে ধরেছে জ্বীনে, করেছে আছর নাকি অন্য কিছু কে জানে
এক দিন সে নিরুদ্দেশ হলো, কত ডাক-ঢোল বাজল, হলো চারিধারে খোঁজাখুজি
সে যে পৃথিবীর বুকে অচিন দেশে হারিয়ে গেছে আর কোন দিন ফিরবেনা বুঝি।
ছবি- https://www.dw.com/
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



