ঈদের দিন ঢাকা কুমিল্লাসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। নিশ্চয়ই যেসব জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে সবাই কিছুটা অসুবিধায় পরেছেন কুরবানীর গরু ছাগল মহিষ খাসি জবাই করা ও মাংস প্রসেসিং করতে। দেরিতে হলেও সবাইকে ঈদ মোবারক। নিশ্চয়ই সবাই ব্যস্ত তারপরেও ঈদের দিনের একটি ঘটনা শেয়ার না করলেই নয়।
নামাজ পড়ে আসার পর নাস্তা খেয়ে গরুর জবাইয়ের জায়গায় গিয়ে দেখি ইতিমধ্যেই জবাই হয়ে গেছে । তো বৃষ্টি নামার আগেই চামড়া ছিলে মাংস আলাদা করে ফেলেছি খুব দ্রুত।
কাছেই বাজার। বাজারের একটি দোকানে সবাই মিলে মাংস নিয়ে এসে রাখলাম এর মধ্যেই নেমে গেলে তুমুল বৃষ্টি। দুই একজন ভিজে বাকি মাংস এনে রাখল। এবার শুরু হলো মাংস কাটাকাটি। সেই সাথে খোস গল্প।
কারা নাকি মাংস মসজিদে নিয়ে গেছে সেটা নিয়ে শুরু হলো কানাঘুষা। এত বড় অন্যায়, এত গুনার কাজ …......ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক কথা। শেষে জানা গেল মাংস মসজিদে ঢোকানো হয়নি বৃষ্টির জন্য বারান্দায় রেখে কাজ করেছে।
দোকানের পাশে খালি জায়গায় বৃষ্টির পানিতে উজানের কই চলে এসেছে। একজন পথিক সে দিক দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মাছ দুটি পেয়েছে এবং আমাদের দেখিয়েছে।
এরমধ্য চা নাস্তা চলে এলো। সেই অবসরের ফাঁকে বাহিরে চোখ বুলাতে দেখি একটি কই বৃষ্টির স্রোতের উল্টোদিকে যাচ্ছে। ব্যস সেটাকে ধরে নিয়ে এলাম তারপর বাড়িতে এনে উঠানে ছেড়ে দিয়ে মেয়েকে ডাকলাম মোবাইল নিয়ে আসতে ভিডিও করব। মেয়ে তো মাছ দেখে অবাক।
ভিডিও অন করতে করতেই মাছটি হেঁটে হেঁটে প্রায় উঠান পার হয়ে রাস্তার কাছে চলে এলো। তারপর ভিডিও শেষ হলে মাছটি মায়ের কাছে দিলাম ।সবাই বেশ খুশি ঈদের দিন উজাইন্না কৈ মাছ পেয়েছি। তো দুপুরে সেই মাছ ভাজা করে আমাকে দেওয়া হল। মাছ এবং গোশত খেয়ে তৃপ্ত হলাম।
অনেক বছর আগের স্মৃতি মনে পড়ে গেল যখন বর্ষার বৃষ্টিতে উজানের কই মাছ ধরতাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:২৪