আজকের গল্প মেয়েকে সাতার শিখানো নিয়ে। সরকারী কোয়াটারে উঠার পর বাসার নীচে খেলার মাঠে ওয়াটার বডি/ জলাশয়/পুকুর রয়েছে। এখানে কন্যাকে সাঁতার শিখাতে পারবো বলে মনে মনে আমি বেশ খুশি। মেয়েও সাঁতার শিখতে চায় কিন্তু শহরে কোথায় নিয়ে তাকে সাঁতার শিখাবো এত দিন এটা নিয়ে টেনশনে ছিলাম। এখন হাতের নাগালে সাঁতার শিখার ব্যবস্থা রয়েছে। কিছু পোলাপান লাইফ জ্যাকেট ও টিউব বেলুন দিয়ে সাঁতার কাটা শিখছে সেটা দেখে কন্যার আর তর সইছেনা, সে ও শিখবে।
তার জন্যও লাইফ জ্যাকেট নিয়ে এলাম। শুরু হলো সাঁতার শিখা। প্রথম দিন সে বলল, বাবা সাঁতার শিখা বেশ কষ্ট আছে। ২ বার পানি খেল। ২য় দিনও পানি খেল, ৩য় দিন কিছুটা উন্নতী হলো। এখন প্রতি সপ্তাহে কবে শুক্রবার ও শনিবার আসবে তার অপেক্ষা করে, আমার অপিস বন্দের দিন সে সাঁতার শিখতে পারে তাই অপেক্ষা ...................।
সে জানতে চায় আমি কিভাবে সাঁতার শিখেছি। আমি হেসে বলি, ছোট বেলায় আমি গ্রামে ছিলাম তখন নিজে নিজেই সাঁতার শিখে ফেলেছি। শুনে সে অবাক। তাহলে আমি পারিনা কেন নিজে নিজে ?
তুমিতো গ্রামে থাকনা মা, তাই পারনা। গ্রামে পুকুর,খাল,নদীতে বাচ্চারা প্রতিদিন খেলতে নামে, গোসল করতে নামে আর এভাবেই ধীরে ধীরে শিখে ফেলে।
আমিও পারবো। দেখা যাক কবে নাগাদ সে সাঁতার শিখতে পারে।
কিছু ছবি........................।








অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



