একটু বেশী লিখলাম।
বাংলাদেশ থেকে দুইটি ভন্ডামী দূর করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ১. পীর নামের ভন্ডামী। ২. চাকুরীর নামে বিদেশে নারী পাচার।
১ নং এর ব্যাখ্যা:- যতদূর আমার জানা আছে "পীর" ফর্সি শব্দ। যার ঈমান-আকিদা ঠিক আছে, কোরান হাদিসের ইলম আছে এবং ইলম মোতাবেক নিখুত আমল করেন তিনিই প্রকৃত ঈমনদার তথা প্রকৃত মোমেন। একজন মোমেন যদি অন্য কাউকে ঈমান/আকিদার জ্ঞান এবং কোরান হাদিসের আলোকে আমল করার দিক নির্দেশনা দেন তখন তিনি (অন্য লোকটি) তার এই ওস্তাদকে উচ্চতর সম্মান করতে গিয়ে পীর হিসাবেই গ্রহন করেন এবং আল্লাহর হকুম আহকাম সূন্নত মোতাবেক পালনের জন্য দিক নির্দেশনা নিতে থাকেন। দুনিয়াতে হক্কানী পীর তথা ওস্তাদ কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে, অন্যতায় আমরা যারা (জাগতিক শিক্ষায় শিক্ষিত) কোরান হাদিসের জ্ঞান অর্জন করি নাই অথচ জান্নাত পাইতে চাই তাহলে সহীহ আমলের তালিমের জন্য কোথায়, কার কাছে যাব? যেই সমস্ত লোক মাজার বানাইয়া গাঁজাখোরী কর্মকান্ড করে, টাকা/পয়সা, গরু ছাগল/মহিশ উঠায়, সহজ সরল মানুষ গুলিকে বোকা বানাইয়া টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়, শরীয়তি বিধানের ধারে কাছেও নাই এমন কিছু আজগবী কথা বলে ধুকা দিচ্ছে মূলত তারাই হচ্ছে ভন্ড। কারও কথায় নয়, বরং নিজেই তদন্ত, যাচাই বাচাই করে হক্কানী পীর চিনতে হবে এবং তারা/তাদের কাছ থেকেই ঈমান/আকিদা এবং সহীহ আমলের দিক নির্দেশনা নিয়ে আল্লাহর করুনায় জান্নাত পাওয়ার আশায় আমল করতে হবে।
২ নং এর ব্যাখ্যা:- এক শ্রেনীর দূষ্ট লোক দেশের সহজ সরল কিশোরী তরুনীকে নানা লোভ লালশা দিয়ে, এমন কি নাটকীয় বিবাহ করে তাদেরকে বিদেশে পাচার করিত এখনও করে। বিশেষ করে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশী যেইসব মেয়ের (পতিতা) খবর পাওয়া যায় তারা সকলেই ঐ ভাবেই ভারতে এসেছে। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী, পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে সম্ভব না হইলেও গার্মেন্টেস সেক্টরে নারীর কর্ম সংস্থান হয়েছে, এরা আমাদের "মা" "বোনের" জাত তাদের পরিপূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা আমরা পুরুষেরই দায়ীত্ব। নারীকে কর্মজীবি করতে গিয়ে সরকার বিদেশে নারী কর্মী পাঠাচ্ছে, এটি নারীর কর্ম সংস্থানের জন্য সরকারের সঠিক পদক্ষেপ নয়, বর্তমান যুগের আলোকে আমরা নারীকে যতই সাহসী স্বাবলম্বী বলিনা কেন তার সৃষ্টিগত দিকটিকে কোনো ভাবেই অস্বীকার করতে পারিনা। তারা সৃষ্টিগত ভাবেই সর্বউচ্চ শ্রদ্ধা/সম্মানের, পুরুষের তদারকির এবং পুরুষ দ্ধারা পরিবেষ্টিত নিরাপত্তার অধীনের। তাদেরকে (নারীকে) যদি পুরুষের মত ছাড়িয়া দেয় হয় তখন অবস্থা কি দাঁড়ায় সেটি ছোট্ট একটি উধাহরণ দিয়ে বুঝাবার চেষ্টা করব।
ধরুন আপনার ঘর থেকে বাজার ১ কিরোমিটার, গাড়ী/রিক্সা ইত্যাদির কোনো ব্যবস্থা নেই হেঁটে যেতে হবে আপনাকে একটিমাত্র থলে দিয়ে বলা হল ১৫ মিনিটের মধ্যে একই থালিতে করে ৫০টি ডিম আর ২ কেজি পাথর আনতে হবে। পথ: ১কিলোমিটার, সময়: ১৫ মিনিট, থলে: ১টি, আনতে হবে ডিম আর পাথর একই থলিতে। এখন বলুন, ১৫ মিনিটের মধ্যে যদি কাজটি সম্পন্ন করতে চান তাহলে আপনাকে ঘন্টায় কত মাইল বেগে দৌঁড়তে হবে? দৌঁড়িলে একই থলিতে ডিম আর পাথরের অবস্থা কি হবে। অপরদিকে আপনি যদি ডিমের নিরাপত্তা চান তাহলে হয়ত আলেদা থলির ব্যবস্থা করতে হবে নয়ত একই থলিতে অত্যান্ত সতর্কতায় ডিমের নিরাপত্তার জন্য সময় বাড়াইয়া নিতে হবে। স্বদেশে বা বিদেশে ভিন্নদেশী বা স্বদেশী হলেও পুরুষের সাথে (গৃহকাজে বা যেই কাজেই হউক না কেন) নারী একই থলিতে বহন করা ডিম আর পাথরের মত। ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮