(১) বাহ্ বাহ্ বড়ই চমতকার। আমির হামজা সাহেব পবিত্র কোরানের যেই আয়াতটি পড়লেন ডাক্তার জাকির নায়েকের মত এক নিঃশ্বাসে সেই আয়াতের ঠিকানাও (সূরা, রুকু, আয়াত নম্ব ইত্যাদি) বলে দিলেন। অথচ উপস্থিত শ্রোতাদের জন্য এটি জরুরী ছিলনা (এটি নাম কামানো ওয়াইজিনের আধুনিক সংস্করণ) এবং শ্রোতাদের মধ্য থেকে কেউ জানতে চায় নাই। তাহলে তিনি নিজের উপর সন্দেহ করেন কি? শ্রোতারা তাকে সন্দেহ করবে যে, তিনি কোরান থেকে আয়াতটি পড়লেন কিনা! তাই আয়াতের ঠিকানা বলা জরুরী।
(২) হযরত আপনি একজন আলেম হিসাবে হলেও, পবিত্র কোরানের নামটি অন্তত শুদ্ধ করে বলুন! "করান হাদিস না" এটি কি বল্লেন???? কালামে পাকের নাম নোয়াখাইল্লা ভাষায় বলতে হয় নাকি!!
(৩) বাবা/মায়ের মৃত্যুর পর তাদের ওয়ারিশ গন রেখে যাওয়া সম্পত্তি ভোগ করে। ঐ বাবা/মা ভগ্যবান যারা দুনিয়াতে নেক সন্তান রেখে গেছেন, আর নেক সন্তান তাকেই বলা হয় যারা ঈমান আমল ঠিক হক পথে জীবনাচার করেন এবং মৃত বাবা মায়ের জন্য দোয়া করেন, দোয়া পৌঁছান। হতভাগা ঐ বাবা/মা যারা দুনিয়াতে বদ সন্তান রেখে গেছেন এবং যারা মৃত বাবা/মায়ের ইছালে ছাওয়াবের ক্ষেত্রে প্রশ্ন তোলেন। তবে হেঁ, এখানে একটি বিষয় হইল: "ইন্নামাল আ'মালু বিন্নিয়াত" বাবা/মায়ের ইছালে ছাওয়াবের বিষয়টি নিয়তের উপর নির্ভর করে। যদি কোনো সন্তান বাবা/মায়ের দরদী দেখানোর জন্য খানা মেজবানী করে, লোকেরা বড় লোক, ধনী কোটিপতি বলার জন্য খানা মেজবানী করে তখন ঐটি নিছক পেট পুড়ে খাবার ছাড়া আর কিছুই হয়না। ইদানিং দেখা যায়, হাল জমানার বিভ্রান্তকারী আহলে হাদিসের খপ্পরে পড়েছেন কিছু হানেফি মযহাবের তরুন/যুবক শ্রেনী। দেখা যায় এই বিভ্রান্ত কারী আহলে হাদিসেরা মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে যাওয়া কিছু পেটুক শ্রেনীকে ভাড়ায় খাটায়। দেখবেন, এদের পরিচতি দেয়ার সময় বলা হয় ইনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, ইনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইত্যাদি। কথাটির ভাবার্থ এমন যে, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িলেই তিনি দুনিয়ার মহাজ্ঞানী হয়ে যান, অন্য কোথাও পড়ার কোনো গুরুত্ব নাই।
(৪) আমি মনেকরি যে, যেহেতু দুনিয়াতে ফেতনা ছিল, আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে সেহেতু যারা ঈমান আমল নিয়ে নানা তর্ক তৈরী করছেন তাদের অন্ধ ভক্ত না হয়ে নিজের ঈমান আমল ঠিক রাখার জন্য যাচাই বাচাই করা দরকার। যেমন ধরুন, বহুল পরিচিত বিশেষ একটি পক্ষের প্রাণপ্রিয় (আলেম) বক্তা ওয়াজের এক পর্যায়ে বলেন: কোনো আলেমকে "মওলানা" বলা যাবেনা, "মওলানা" বলিলে সেটি সরসরি শিরিক হইবে। তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, পবিত্র কোরানে "মওলানা" শব্দটি আল্লাহর জন্য ব্যবহার হয়েছে (আন্তা মাওলানা ফানসুরনা ------ কওমীল কাফেরীন, সূরা বাকারা)। বিশেষ ঐ পক্ষের কাছে এই আলেম (বক্তা) খুবই প্রিয় ও মর্যাদাবান ব্যক্তিত্ব। ইনি হয়ত একদিন আরেক ফতোয়া দিবেন যে, যারা কোরান হাদিস পড়ে দ্ধীনি জ্ঞান অর্জন করেছেন তাদেরকে "আলেম" বলা যাবেনা কারণ "আলেম" শব্দটিও পবিত্র কোরানের বহু সূরা/আয়াতে আল্লাহর জন্য ব্যবহার হয়েছে যেমন: "আলেমুল গাইব"। ঐসব ওয়াইজিনের এইসব কথা গুলি উদ্দিশ্য মূলক নয় কি?????????????
(৫) এই গাধার সাথে মোনাজেরা করার জন্য শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ সফির দরকার হবেনা বরং সে হাটহাজারী মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রের সাথেও মোনাজারা করার যোগ্যতা রাখেনা। তার পরেও বলব হাটহাজারী মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রের সাথে মোনাজারা বসুন।
আরে বোকা, আল্লামা শাহ আহমদ সফি কবর জেয়ারত করতে বলেছেন, কবর পূঁজা করতে নিষেধ করেছেন। তোমরা তো কবরে মোমবাতি আগরবাতি, লাল শালু, রঙ বেরঙের বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালাইয়া পুঁজা কর। আল্লামা শাহ আহমদ সফি সাহেব এই কবর পুঁজা নিষেধ করেছেন।
(৬) ভিডিও টি ডাউনলোড হয়েছে সময় আসলে ব্যবহার করা যাবে। আমাদের কবরস্থান অত্যান্ত পবিত্র সূতরাং কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষার্থে এইসব নাস্তিকের মাটিচাপা যেন আমাদের কবরস্থানে না হয় সেই ব্যপারে ফেইসবুকের মাধ্যমে সজাগ হাওয়া, সজাগ করা উচিত।
(৭) তবে, হাল জমানার আহলে হাদিস এবং মূখোশ ধারী এইসব আহলে হাদিসের সমর্থক থেকে সাবধান। ৫ই মে হেফাজতে ইসলামের "ঢাকা অবরোধের সময়" হাঁসিনা সরকার পতনের জন্য এইসব মোনাফেক, মূখোশ ধারীরা গোপন পরিকল্পনা করেছিল তারা চেয়েছিল গোপনে হেফাজতের ঘাঁড়ে বসে নিজেদের ২/৪ লক্ষ কর্মী সমর্থক একত্রিত করে সরকারের পতন ঘটাবে তখন কাপুরুষের দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতা রক্ষায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে নিরহ আলেম হাফেক সহ হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উপর নির্বিচারে গনহত্যা চালিয়ে ছিল। অথচ হেফাজতে ইসলাম কখনও সরকার পতনের জন্য সমাবেত হয় নাই। সূতরাং দুনিয়ার প্রাচুর্য্য ও ক্ষমতা লোভী মোনাফেক থেকে সাবধান।
(৮) এটি একটি ফুল। এই ফুলকে পছন্দ করেনা, নিতে/পাইতে চায় না এমন লোক দুনিয়াতে আছে কি? সবাই একবাক্যে বলবে, না - দুনিয়াতে এমন লোক নাই। দুনিয়াতে ভালবাসার প্রতিক হিসাবে ব্যবহার হয় 'ফুল" ফুল দিয়েই ভালবাসা নিবেদন করে সবাই। অর্থাত বুঝানো হয় যে, তুমি এই ফুলের মত সূন্দর, এই ফুলের মত পবিত্র, এই ফুলকে সবাই যেমন ভালবাসে ঠিক তেমনি তুমিও সেই ভালবাসর পাত্রী ইত্যাদি ইত্যাদি অর্থাত ফুলের প্রধান্যতা বেশী।
বন্ধুরা:- মানুষের এই অনুভূতিটা কি সঠিক???? তাহলে বলুন, ফুল তার ধারক গাছেও স্থায়ী নয়, এক পর্যায়ে নিজে নিজেই ঝড়ে পড়ে। যাকে পাইতে মানুষ পাগল, যাকে নিয়ে মানুষের এতো অনুভূতি তার কাছেও স্থায়ী নয়, এই ফুল মানুষেরই হাতে এক পর্যায়ে তার সূগন্ধি, তার রূপ লবণ্য হারায়, শুকিয়ে আবর্জনায় পরিনত হয়। অথচ মানুষ কতই বোকা যে, একজন মেয়েকে ভালবাসতে গিয়ে আবর্জনীয় এই ফুলের সাথে তুলনা করে।
বন্ধুরা:- মনুষ আল্লাহর অতি সূন্দর সৃষ্টি, আমার আল্লাহ বলেন " লাকাদ খালকনাকুম ফি আহসানি তাকবীম"। নারী আর পুরুষ একে অপরের জন্য অতুলনীয়/অপুরনীয় আল্লাহর নেয়ামত। "ফুল" যদি আল্লাহর নেয়ামত নারীর চাইতেও (অনুভূতি অনুসারে) বেশী আকর্ষনী পছন্দনীয়, গ্রহনযোগ্য ভালবাসার হইত তাহলে ৭০ বছরের বুড়িকে ৮৫ বছরের বুড়া সংসারের আবর্জনা বানাইয়া রাখিত। মানুষের সমাজে এমনটি হয় কি?????? অথচ যেীবনায় আনন্দ ফূর্তির সময় অতিবাহিত হইলেও বুড়া/বুড়ি বয়সে মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধা সম্মান ভালবাসা আল্লাহ ছোবাহানাহু তায়ালার আরেক অফুরন্ত নেয়ামত। পরীক্ষা করে দখেুন না! ৭০ বছরের দাদীকে ৮৫ বছরের দাদার সামনে একটু কটাক্ক কর, দেখবে ৮৫ বছরের দাদা হাতে লাঠি নিয়া তোমাকে কিভাবে দৌঁড়ায়, বললে শালা আমার বউকে খাট করলি, আয় কাছে আয়। বলুন তো ফুল কোথায় আর বউ কোথায়????????????????
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৬