আহলে হাদিস, মূফতি কাজি ইব্রাহীম সাহেবের "ফতোয়া"
কুকুরে ৫/৭ টা বাচ্চাও হয় কিন্তু সিজার হয়না, মানুষের মধ্যে সিজারের মাধ্যমে যাদের প্রসব হয় (বাচ্চা হয়) তারা কুকুরের চাইতেও মন্দ (খারাপ)। যেই মূফতি সাহেব এই ধরনের "ফতোয়া" দেন সেই মূফতি সাহেবের ওয়াজ না শুনা, সেই মূফতি সাহেব থেকে ফতোয়া না নেয়া উত্তম নয় কি? এটি আপত্তির কর "ফতোয়া" তাই ভিডিও পোষ্ট করছিনা অবিশ্বাস হইলে বলুন, উনার ভিডিও টি মেসেজ করে পাঠাইব।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
প্রশ্ন ছিল:-_মৃত ব্যক্তির ইছালে ছাওয়াবের জন্য খানা বেজবানী করা যাবে কিন। একবাক্যে এর উত্তর হইল (১) করা যাবে। অথবা (২) করা যাবেনা। বুঝার জন্য ব্যাাখ্যা সহকারে বলিলে (১) এর উত্তর:- যদি "করা যায়" তাহলে কিভাবে, কোন্ নিয়তে, কাদের জন্য "খানা মেজবানী" ইত্যাদি সহীহ দলিল সহকারে বলতে হবে। (২) এর উত্তর:- যদি "করা না যায়" তাহলে ইছালে ছাওয়াব পৌঁছানোর জন্য "খানা মেজবানী" করা যাবেনা কেন তাহাও সহীহ দলিল সহকারে বলতে হইবে।
মূফতি সাহেব প্রশ্ন কারীকে এই ব্যাখ্যা দেন নাই অথচ ইছালে ছাওয়াবের উদ্দিশ্যে গরীব মিছকিনের জন্য {বেদায়াত না করে (চার দিনা, চাল্লিাশা ইত্যাদি)} খানা মেজবানী করাও শরীয়ত সম্মত। ইছালে ছাওয়াবের জন্য যদি রাস্তা, ঘর, টিউব ওয়েল, কোরান মজিদ, হাদিসের কিতাব ইত্যাদি কারা/দেয়া যায় তাহলে "খানা মেজবানীতে আপত্তি কেন? যদি বলা হয় যে, এতে বড়ত্ব, অহংকার প্রকাশ পায় কিংবা এই জন্যই করা হয় তাই। তাহলে প্রশ্ন আসে, "খানা মেজবানী" ব্যতিত অন্যন্য ভাবে করিলে সেখানেও কি বড়ত্ব, আহংকার প্রকাশ ইত্যাদির উদ্দিশ্যে করা অসম্ভব? মৃত ব্যক্তির ইছালে ছাওয়াবের জন্য নিয়ত এবং করনীয় পদ্ধতি কি হইবে সেই ওয়াজ না করে "কবরে" আগুন জ্বালাইয়া দিলেন কেন বুঝে আসছেনা।
তিনি হেমানদারীর কথা বলছেন, এটি অবশ্যই সুন্নত। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কোটিপতি, আত্নীয় স্বজন কিংবা অন্য কোনো স্বচ্চল লোককেও মেহমানদারী করা যায়, সুন্নত আদায় হয় কিন্তু এই মেহমানদারীর উদ্দিশ্য মৃত ব্যক্তির ইছালে ছাওয়াব নয়, এটি সামাজিকতা। তিনি বলেন:- মৃত্যুর আগে ওয়ারীশকে চার দিনা, চাল্লিাশা না করার অছিহত করে যেতে হবে অথচ এই অছিহতের কোনো দলিল দিলেন না তাহাছাড়া ওয়ারীশগন যদি নিজেদের বড়ত্ব, ধন দৌলতের অহংকার প্রকাশের জন্য বাবা/মায়ের ইছালে ছাওয়াবের নামে খানা মেজবানী করে থাকে এর জন্য দায়ী কে? মৃত বাবা/মা? নাকি ঐ ওয়ারীশগন। যদি ওয়ারীশগন দায়ী হয়ে থাকে তাহলে বাবা/মায়ের কবরে আগুন জ্বলবে কেন? উনারা তো দায়ী নয়, মূফতি সাহেব এই ব্যাখ্যাও দিলেন না।
বন্ধুরা:- বেদায়াত থেকে মুক্ত থাকার জন্য মূফতি সাহেবের কাছে এসেছেন খুবই ভাল তবে মূফতি সাহেব কি বলিলেন? পবিত্র কোরানে ছাওয়াবের নিয়তে গরীব মিছকিকে পেট ভরে খানা খাওয়ানের কথা বলা হয়েছে, সহীহ হাদিসও রয়েছে এমন কি আল্লাহ আপনাকে দৌলত দান করেছেন, তাহা থেকে আল্লাহর শোকরীয়া আদায় কল্পে (নিয়ত) পাড়া প্রতিবেশী, আত্নীয় স্বজন গরীব মিছকিন সকলের জন্য খানা মেজবানী করাও শরীয়ত সম্মত কারণ উনারাও আপনার হকদার। সামাজিক দায়ীত্ববোধ থেকে সকলের জন্য খানা মেজবানী করা যাবেনা এমন "ফতোয়া" কখনও পেয়েছেন কি? যাহাই করনা কেন প্রত্যেক কিছু নির্ভর করে "নিয়তের" উপর। ভাবতে অবাক লাগে, মূফতি সাহেব নিয়তের ওয়াজ না করে মৃত ব্যক্তির কবরে আগুন জ্বলাইয়া দিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২৪