সৃষ্টি জগতে এমন কোনো প্রাণী নেই যে বাঁচতে চাইবে না। জঙ্গলের হিংস্র যখন বাঘ আক্রমনের শিকার হয় তখন সেও বাঁচার জন্য দৌঁড়ে পালায় অথবা পাল্টা আক্রমন করে অথচ সে জঙ্গলের পশু। আমরা মানব জাতিও প্রাণী, আমাদের জ্ঞানবোধ রয়েছে আমরা ভাল মন্দ বিচার করেত জানি, মন যেভাবে চায় সেভাবে নিজেকে সাাঁজাইতে জানি, অন্যন্য প্রাণীরাও যে জানেনা তাহা নয় তবে এরা আমাদের মত নয়। পিপাসা, ক্ষুধার তিব্রতা তাদেরও আছে খাবারের সন্ধানে তারাও বাহির হয়, ঝাড় জলউচ্চাসে তারাও আশ্রয় খুঁজে, শত্রু দোষমন থেকে তারাও নিরাপদে থাকতে চায় কিন্তু তাদের বিপদ আপদে সাহার্য্যের জন্য তাদের এমন কোনো সমাজ ব্যবস্থা নাই যে, একে অপরকে সাহার্য্য করবে, ত্রান সামগ্রী নিয়ে পশেে দাঁড়াবে, শত্রুর আগ্রমন থেকে রক্ষার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসবে।
যেই কোনো প্রতিকুল অবস্থায় তাদের সাহার্য্যার্থে যারা যথাসাধ্য এগিয়ে আসে তারাও প্রাণী যার নাম মানব জাতি। বাঁচতে চায় সবাই অথচ মরতেই হয় তবে অন্যন্য প্রাণীর মরন আর মানব জাতির মরন একই? মরন তো মরনই, মরলে ফিরে আসার সুযোগ নেই। সকালে নাস্তা করে দুপুরের খাবারের চিন্তা করতে হয় একই ভাবে রাত্রের খাবরও, জীবন নির্বাহে কোনো কাজ শুরু করলে সেটি শেষ করার চিন্তা থাকে, অন্যন্য প্রাণীর মধ্যে সেই রকম কোনো চিন্তা নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই অথচ সকলেরই মৃত্যু হয়। এখন মানুষ হয়ে যদি পশুর মত মরি তাহলে মানুষ আর পশুর মধ্যে পার্থক্যটা কি? সারা দুনিয়া মাসুষেরা পশুর মত একে অপরকে আক্রমন করে মরছি আর মারছি চরিত্রটি জঙ্গলের পশুর মত হয়ে গেলনা? নিজেকে দাবী করি মানুষ অথচ চরিত্র ধারণ করেছি পশুর। এই চরিত্র শুধু মরনের ক্ষেত্রে নয় বরং জীবনাচারের ক্ষেত্রেও রয়েছে। পশুরা পোষাক পরিধান করেনা তাদের সেই চিস্তাও নেই অথচ একটু চোখ বুলাইলে দেখা যায় মানবের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যারা বস্ত্রহীন থাকাটা পছন্দ করে, পশুর মধ্যে যৌনাচারের কোনো বিধি বিধান নেই, মানুষের মধ্যেও রয়েছে যারা যৌনাচারের ক্ষেত্রে পশুর চরিত্র ধারণ করেছে। একবার চিন্তা করা দেখা দরকার যে প্রাণীর মধ্যে আমরা মানব কেন। ধন্যবাদ