১) দুনিয়ার যত আউল ফাউল লোক কোন এক অজানা কারনে কেমনে কইরা যেনো আমার ঘাড়ে আইসা পড়ে।এবং সেইটা এমন এক সময়ে যখন আমার মেজাজ থাকে পুড়া তুংগে।কয়েকটা উদাহারন না দিলে বিষয়ডা পরিস্কার হইতেছে না।
যেমন ধরেন আমার কাজের ওইখানে এক লোক আছে অর নাম বিল।
সাইজে ছোট খাট একটা পুস্কনির ত ভালো কথা একটা ডোবার ও সমান না অর নাম রাখছে বিল।
অরে দেখলেই আমার মিজাজটা বিলা হইয়া যায় কারন চেহারার মধ্যে একটা বিটলা ভেটকি ঝুলায়া রাখে।ভাবখানা এমন যে ভাজা মাছ উলটায়া খাইতে পারে না। কয়দিন আগে একটা স্ক্যানিয়ার ইঞ্জিন ওভারহলিং করতেছিলাম অরে নিয়া।
আগের দিন বিল আর আমি দুই জনে মিলে ইঞ্জিন খুলছি পরদিন সকালে বিল ফোন কইরা কয় কামে আইতে পারুম না পোলা অসুস্থ ডাকতারের কাছে মানে হাসপাতালে আছি।যাই হোক আমি আরেক এপ্রেনটিছ নিয়া মাঝপথে যাইয়া খেয়াল করলাম এক সেট হেড বোল্ট নাই।পুরা স্টোর তন্ন তন্ন খুইজাও বোল্ট নাই। পরের দিন সেই বোল্ট সেট হাতে নিয়া আর মুখে ঐতিহাসিক চান ভেটকি নিয়া বিল সাহেব আমারে জিগায় এই জিনিস ছাড়া এই ইঞ্জিন ক্যামনে চালু হইলো। জিগাইলাম কই ছিলো এই জিনিস কয় কথা কইতে কইতে এইটা বিলের টুল বক্সের মধ্যে ঢুইকা গেছিলো আর তারপরে সে এইটার কথা পুরাই ভুইলা গেছিলো।
এই কথা শোনার পরে আপ্নেরাই বলেন মেজাজ টা খারাপ না কইরা থাকা যায়?
যাই হোক মেজাজ টা তারপরেও ঠান্ডা রাইখা ইঞ্জিনটা বন্ধ কইরা বললাম কালকে তর পোলার কি হইছিলো?
এইখানে আরেকটা বিষয় যুক্ত না করলেই নয় যে আমাদের বিলের বয়স ৬০ কিন্তু তার রিদয় টা ২১ বছরের তরুনের মত তাই ৬০ বছর বয়সে সে ১০/১১ মাস বয়সি ছেলের বাপ!!!!!ত সেদিন বিলের বউ যখন কিচেনে রান্নায় ব্যাস্ত ছিলো আর বিল ছেলেকে নিয়ে বারান্দায় বসে মাত্র বিয়ারের বোতল খুলেছে এমন সময় আমাদেরই এক এপ্রেনটিছ বিলের কাছে ফোন করে।ল্যান্ডফোনে আসা কলটা ধরে খোশ গল্প শুরু করতেই বিল পুত্র আর বিল গিন্নির গগন বিদারী চিক্কুর।কাহিনী কি।
যোগ্য বাপের যোগ্য পুত্র পিতার শুরু করা কাজ শেষ করিয়া গগন বিদারী চিতকার শুরু করিয়াছে অপর প্রান্ত হইতে তার মাতা আসিয়া দেখেন দশ মাস বয়সি পুত্র ওরফে ছোট বিল বড় বিলের খোলা বোতল হাতে নিয়া খালি করিয়া বসিয়া রহিয়াছেন সাথে গগন বিদারি চিতকার।
ফলাফল অতঃপর হাসপাতাল।
২) ইদানিং ব্রিসবেনে গাঞ্জুটি/ড্রাগি/হিরোঞ্চি লোকজনের সংখ্যা বাইড়া গেছে আসলে বাইড়া গেছে না বইলা বলা উচিত আমার সাথে এদের দেখা সাক্ষাত বাইড়া গেছে।
সেইদিন ট্রাক নিয়া গেছি এক যায়গায় কাজে , পারকিং কইরা গাড়ি থেইকা নামতেই এক মাঝ বয়সি গাঞ্জুটি অজি পোলা আইসা কয় হ্যাভ ইউয়ু গট এ চেঞ্জ মায়ট?
একে ত প্রচন্ড গরম তার উপরে মেজাজ বিলা করা একটা কাজে প্রচন্ড রকমের ব্যাস্ত মানে এইখানে দুই মিনিটে কাজ সাইরা আবার আরেকটা এসাইনমেন্টে দোউড়াইতে হইবো।
পাক্কা ৫ সেকেন্ড ওর পায়ের থেইকা মাথা পরযন্ত দেইখা জিগাইলাম হয়ার ইয়ু ফ্রম মায়ট?
এইবার সে আমার পায়ের থেইকা মাথা পরযন্ত দেইখা ( মানে ভাবখানা এমন খাইলাম আমি আর টাল হইলা তুমি) কয় হোয়াট ইয়ু মিন
কইলাম আর ইয়ু চাইনিজ অর ইন্ডিয়ান(দেখতে কইলাম দেহা যায় অজি বা ইউরোপিয়ান)
মূখটারে এইবার বাংলা পাচ বানায়া পোলায় কয় না মায়ট আই এম অজি।
এইবার আমি কইলাম লুক এট মি মায়ট আই এম ফ্রম বেংগল বি ই এন জি এ এল এন্ড উই টেইক চেঞ্জ , নট গিভ বইলা হন হন কইরা অই গাঞ্জুটির হা করা মুখের সামনে দিয়া হাইটা গেলাম।
কইলাম না দুনিয়ার যত উলটা পালটা কাজ কাম খালি আমার সাথেই হয়।
আরেকটা শেষ উদাহারন দেই সেদিন গেছি দোকানে দুই প্যাকেট চানাচুর আর এক প্যাকেট মুড়ি কিনছি। এখন দোকানদা্র পোলারে হালকা ইজি অজি তেল দিলাম যে তমার দোকান ত হেব্বী মচতকার সব জিনিস আছে আবার দামেও সস্তা।বেচারা দোকানদার আমার তেল খাইয়া আমারে এক বোতল খাটি সরিষার তেল ফ্রি দিয়া দিলো বাসায় আইসা হিসাব কইরা দেখলাম বেচারা দোকানদার কথার তালে তালে আমার কাছ থেইকা খালি এক প্যাকেট চানাচুরের দাম রাখছে এখন আবার যাইতে হইবো এক প্যাকেট মুড়ি আর চানাচুড়ের দাম দিতে।
মেজাজটা খারাপ হয় না বলেন!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


