হিজড়া উপখ্যান
------------------------------------
শুধুমাত্র লিঙ্গ বিভেদমান হাত,পা,নাক,কান,চোখ ইত্যাদি মনুষ্য আকৃতির সব উপকরনের বৈশিষ্ট্য সম্বলিত নরপিন্ডের নাম আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় এক বাক্য হিজড়া।তবে মানুষের সব বৈশিষ্ট্যই ঐ নরপিন্ডের মাঝে বিদ্যামান।শুধু অনুপস্থিত লিঙ্গগত বৈশিষ্ট্য।আর তার জন্যই সমাজে তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক অনন্য নাম।যাদের নেই কোন সামাজিক স্বীকৃতি বা মর্যাদা।অথচ প্রত্যেকটি ধর্মেই মানবতার ,মানব প্রেমের দর্শনের কথা বলা হয়েছে।ওরাও তো এই মানবকুলেরই অংশ বা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি।কিন্তু ঐ এক কথা প্রত্যেকটি ধর্মের মহাত্যকেই কিছু স্বার্থান্বেষী ধর্মান্ধ তাদের স্বার্থ উদ্ধারের মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়েছে।অথচ ধর্মের মানব প্রেমের বাণীটি বারংবার চিৎকার করে ঐসব স্বার্থান্বেষী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী উচ্চারন করলেও এই মানুষগুলোর বেলাতে তাদের চিৎকার চেচামেচি সর্বদায় অনুপস্থিত।তখন তাদের মানব প্রেমের বানী নির্ভৃতে নির্জ্জনে ক্রন্দনরত।সমাজের অবহেলিত এই হিজড়ারাই একটি মানবপ্রেমের চরম কান্ড ঘটিয়ে দিয়েছে।যে মানব সমাজ সর্বদা তাদের নিচু দৃষ্টিতে দেখে সেই মানব সমাজের জন্য তারাই প্রতিবাদীর ভূমিকা পালন করেছে।তারা সব ভূলে শুধুমাত্র মানবাত্নার দর্শনের তাগিদে ওয়াশিকুরের খুনীদের ধাওয়া করে ধরিয়ে দিয়েছে।খুনিদের কাছে সগৌরবে সপে দিয়েছে নিজেদের।ওরা পেরেছে করেছে ! আর ঐসব ধর্মান্ধ মানুষগুলো ওখানে থাকলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি খুনিদের ধাওয়া করা তো দূরের কথা দাড়িয়ে দাড়িয়ে মন্ত্র পাঠ করতো আর বলতো কখন শালা মরবে।তা তো আমরা দেখেইছি অভিজিৎ হত্যাকান্ডের বেলাতে।এক কথায় সাবাশ হিজড়া স্যালুট তোমাদের।অন্তত তোমরা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছো ধর্মের বানীর আড়ালে স্বার্থান্বেষী ধর্মান্ধদের আসল ধর্ম কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৬