somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধাপরাধী সংক্রান্ত আরও কিছু কথা ‍ঃ

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা এমন একটা দেশে বাস করি যে দেশের দ্রোহীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করতে হয়। যে দেশের দ্রোহীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় আবার তাদের দাপটে অনেক দেশ প্রেমিক মুখ ফুটে কিছু বলার বা প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। স্বাধনতার 41 বছরেও এদেশ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি নির্মুল করা সম্ভব হয় নি। বরং সেই শক্তিটা তাদের আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে অহরহ। সেই শক্তিটাই এই দেশের একদল যুবশক্তিকে তাদের মত দ্রোহী তৈরী করছে। 71-এ একদল নরপশু এদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করেছে। যারা এদেশের মা-বোনদের করেছে বীরাঙ্গণা। সেই নরপশুগুলো আজও এই স্বাধীন বাঙলাদেশের পবিত্র পরিবেশে বুক ‍ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সত্যিই অনেক কষ্ট হয়। আজ সেই সকল নর পশুর বিচার দাবীর জন্য, তাদের শাস্তির দাবিতে বাঙ্গালীকে করতে হচ্ছে আন্দোলন, করতে হচ্ছে হরতাল। তাহলে কী বাঙলাদেশ আজও তাদের ঘৃনিত প্রভাব মুক্ত হতে পারেনি। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির নাম করে যারা এদেশের কিছু সংখ্যক সাধারণ মানুষকে তাদের দলে টানছে তাদের মুখে থু থু ছিটাতে ইচ্ছা করে। সাথে তাদেরও যারা সেইসব নরপশুদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য সাপোর্ট করে যাচ্ছে। গ্রাম-বাঙলার অসংখ্য সাধারণ মানুষ জন আজও মনে করে যে, সাইদীর ফাঁসী হলে ইসলামের অবমাননা হবে কিংবা ইসলামের অনেক ক্ষতি হবে। তাহলে বোঝাই যায় এরা সাধারণ মানুষের মনে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
রাজাকার, আল-বদর উপাধিগুলো ইসলাম ধর্মের আলোকে অনেক পবিত্র ও গর্বিত উপাধি। আলোচনার খাতিরে পুনরায় বিষয়টি প্রকাশ করছি। ইসলামধর্ম প্রতিষ্ঠা কিংবা মুসলমানদের অস্তিত্ব নির্ভর একটি ধর্মীয় যুদ্ধ হল “বদর যুদ্ধ”। এই যুদ্ধটির গুরুর্ত্ব ইসলামের ইতিহাসে অনিস্বীকার্য্। হিজরতের পর খুব সামান্য সংখ্যক মুসলিম অনুসারী নিজেদের ধর্ম, বিশ্বাস, সর্বপরি সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বীরদর্পে বিপুল সংখ্যক শত্রুসৈন্যের মুখোমুখী হয়েছিল এবং নিজেদের ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে স্বক্ষম হয়েছিল। সেই পবিত্র ধর্ম যুদ্ধে যারা মুসলিম সেনা ছিল তাঁদের যুদ্ধপরবর্তী উপাধি হল “আল-বদর” আর যারা তাঁদের সেবা করে কিংবা বিভিন্ন ভাবে সাহায্য-সহযোগীতা করেছিল তাঁদের উপাধি হল “রাজাকার”। যা তাঁরা অর্জন করেছিল ধর্মযুদ্ধে, সত্যের পথে সংগ্রাম করে। কিন্তু 71-এ পাকিস্থানী দালালরা সেই সব পবিত্র উপাধিগুলোকে নিজেদের নামের সাথে যুক্ত করে করেছিল দেশের বিরোধীতা, করেছিল নারী ধর্ষন, নিজেদের মা-বোনকে তুলে দিয়েছিল পাকিস্থানী পশুদের হাতে। তারা সেই উপাধিগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করল ঘৃনিত কতগুলো উপাধিতে এবং সেই সাথে করল ধর্মের অবমাননা। তাহলে সেই 71-এ পাকিস্থানী দালালদের সংগঠন কী করে এই মুক্ত বাঙলাদেশ এখন বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়ায় ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। বাঙ্গালী মাত্রই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কামনা করা উচিত। কেন তাদের বিচারের জন্য হরতাল করবে, কেন অনলাইন-ব্লগে লিখবে? দেশ প্রধানের অনেক আগেই উচিত ছিল তাদের বিচারের আওতায় এনে বিচার কার্য সম্পন্ন করা।
সাধারণ মানুষকে ধর্মীয় বিভিন্ন উদ্বৃতির অপব্যাখ্যা দিয়ে দেশের মানুষের শান্তি বিনষ্টকারী সকল ধর্মভিত্তিক রাজনীতি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত। তা না হলে বাঙলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাময়, ঘোর কুসংস্কারের একটি দেশ হবে। যে দেশের শাসক হবে দেশদ্রোহীরা।
**লাল সালাম**
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×