somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

বিবর্তনবাদ কতটা অবশ্যম্ভাবী

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সব জীবই সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়েছে। বিবর্তনবাদ হচ্ছে জীববিদ্যার সব শাখার অন্যতম ভিত্তিমূল, একে ছাড়া জীববিদ্যাই অচল হয়ে পড়বে। কোন পর্যবেক্ষণ যখন বারংবার বিভিন্নভাবে প্রমাণিত হয় তখন তাকে আমরা বাস্তবতা বা সত্য বলে ধরে নেই। জীব সি'র নয় বরং বিবর্তনের মাধ্যমে তাদের পরিবর্তন ঘটে আসছে, তাদের কাউকেই পৃথক পৃথকভাবে তৈরি করা হয়নি, তারা সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তন বা পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়েছে। কোন প্রজাতিকেই পৃথকভাবে তৈরি করা হয়নি, প্রকৃতিতে বিবর্তনের মাধ্যমে নতুন নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটে। প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানত এই পরিবর্তনগুলো ঘটে থাকে। ম্যাক্রো-বিবর্তনের মাধ্যমে পূর্বসুরী প্রজাতি থেকে নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটতে হাজার, লক্ষ এমনকি কোটি বছর লেগে যেতে পারে। প্রজাতি হচ্ছে এমন এক জীবসমষ্টি যারা নিজেদের মধ্যে প্রজননে সক্ষম, অর্থাৎ তারা অন্য প্রজাতির সাথে প্রজননগত দিক থেকে বিচ্ছিন্ন। বিবর্তন ঘটে অত্যন্ত মন'র গতিতে, প্রাকৃতিক নির্বাচন, মিউটেশন, জেনেটিক ড্রিফট, ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা, বংশীয় বা জেনেটিক রিকম্বিনেশনসহ বিভিন্ন কারণে প্রজাতির মধ্যে ছোট ছোট পরিবর্তন বা মাইক্রো-বিবর্তন ঘটতে থাকে। আর বহু মাইক্রো-বিবর্তনের মাধ্যমে ঘটা সম্মিলিত পরিবর্তনের ফলশ্রুতিতে এক সময় প্রজাতি বা প্রজাতিটির একটি অংশ অন্য আরেকটি প্রজাতিতে পরিণত হয়। অনেক সময় মেগা বিবর্তন বা বিবর্তনে উল্লম্ফন ঘটে। এগুলো এক প্রজন্মে ঘটে না, বিশেষ কোন সুবিধাজনক পরিসি'তিতে লক্ষ লক্ষ বছরের পরিবর্তে হাজার হাজার বছর লাগে এই তড়িৎ বিবর্তনগুলো ঘটতে। প্রজাতির উদ্ভব বা জীবের ম্যাক্রো-পরিবর্তনের তত্ত্বটি আজকে ফসিল রেকর্ড ছাড়াও আধুনিক বিজ্ঞানের বহু শাখার সাহায্যে বহু উপায়ে পরীক্ষা করা যায়। পানির মাছ থেকে স'লচর চারপায়ী প্রাণীর বিবর্তন কিংবা সরীসৃপ থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর বিবর্তনের প্রত্যেকটি ধারাবাহিক ধাপের অসংখ্য ফসিল পাওয়া গেছে। ফসিল রেকর্ডে উভচর প্রাণীর উৎপত্তির আগে কোন সরীসৃপের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না আবার সরীসৃপের আগে কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর ফসিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন পর্যন্ত এমন কোন স্তরে এমন একটি অদ্ভুত ফসিল পাওয়া যায়নি যা দিয়ে বিবর্তন তত্ত্বের ধারাবাহিকতাকে ভুল প্রমাণ করা যায়। মানুষ এক ধরনের বনমানুষ থেকে বিবর্তিত হয়েছে, এখন যদি দেখা যায় বন মানুষ জাতীয় প্রাইমেট তো দূরের কথা স্তন্যপায়ী প্রাণী উৎপন্ন হওয়ার অনেক আগে সেই ক্যামব্রিয়ান যুগেই মানুষের ফসিল পাওয়া যাচ্ছে তাহলেই বিবর্তনের তত্ত্ব ভেঙ্গে পড়বে। এককোষী প্রাণী, বহুকোষী প্রাণী, মাছ, উভচর প্রাণী, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ফসিলগুলো তাদের বিবর্তনের ধারাবাহিক স'র ছাড়া অন্য পূর্ববর্তী কোন স্তরে পাওয়া যায়নি। আধুনিক জেনেটিক গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, শিম্পাঞ্জীর জিনের সাথে মানুষের জিন ৯৯% মিলে যাচ্ছে আর ডিএনএ-এর সন্নিবেশ এবং মুছে যাওয়া ধরলে এই মিলের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৬%। মানুষ এবং শিম্পাঞ্জী প্রায় ৬০ লক্ষ বছর আগে একই পূর্বপুরুষ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। এডেনিন, গুয়ানিন, থাইমিন ও সাইটোসিন দিয়ে সকল জীবের ডিএনএ গঠিত অর্থাৎ সকল জীবের উৎপত্তি একই উৎস থেকে বিবর্তিত। জীব জগতে গড়ে ১.৭৬ কোটি বছরে একটি এমাইনো এসিড প্রতিস্থাপিত হয়েছে। প্রাণী ও উদ্ভিদ একে অন্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ৭৯.২ কোটি বছর আগে। সরিসৃপ ও স্তন্যপায়ীদের পৃথক হতে সময় লেগেছে প্রায় ৩০ কোটি বছর।
সাড়ে চারশ কোটি বছর আগে সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহ অর্থাৎ পৃথিবীর উৎপত্তি ঘটে। অগ্নিগোলক থেকে প্রাণের উৎপত্তির উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হতে লেগে যায় শত কোটি বছর। এসময় আদিম ও সরলতম অকোষী জীবের আবির্ভাব ঘটে। সেটাই প্রাণের ইতিহাসের সূচনা, ওখান থেকেই শুরু হয় বিবর্তনের ইতিহাস। এই ইতিহাসের এখন পর্যন্ত শেষ ধাপে মাত্র এক লক্ষ বছর আগে মানুষের উদ্ভব হয়েছে। আধুনিক মানুষের রূপ এসেছে মাত্র ৫০ হাজার বছর আগে। দেড় লাখ বছর থেকে ৫০/৬০ হাজার বছর আগ পর্যন্তও পৃথিবীতে মানুষের ভিন্ন প্রজাতির বাস ছিল। মাত্র ৫০/৬০ হাজার বছর আগেও ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেন্স দ্বীপে বাস করতো ১ মিটার উচ্চতার ভিন্ন প্রজাতির বামন মানুষ হবিট। তাদের ৭ লাখ বছর আগেকার পূর্বপুরুষদের ফসিল গবেষণা করে জানা যায়, এ দ্বীপে প্রথম পা ফেলা স্বাভাবিক আকৃতির মানবেরা মাত্র তিন লাখ বছরের মধ্যেই ১ মিটার উচ্চতার হবিট হয়েছিল।
৮০ লাখ থেকে ৪০ লাখ বছর আগে এক ধরনের বানর প্রজাতি দুই পায়ের উপর ভর করে দাঁড়াতে শেখে। এই যে সাড়ে তিনশ কোটি বছর ধরে প্রাণের পরিবর্তন অনবরত ও আকস্মিকভাবে ঘটছে তার নিদর্শন পাই মাটির বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণির ফসিল থেকে। ম্যামথ আর ডাইনোসারদের আমরা পেয়েছি ফসিল থেকেই। ওই যুগের কোন প্রাণিই এখন পৃথিবীতে নেই। আবার উল্টোও বলতে পারি আজকের পৃথিবীর কোন প্রাণীই ডাইনোসদের যুগে ছিল না। একটি হাতিকেও আমরা ম্যামথদের সাথে চলতে দেখিনি, আজকের হাতিদের সাথে একটি ম্যামথও চলে না। এখনতো শুধু ফসিল নয়, ডিএনএ বিশ্লেষণ করেও বহু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিজ্ঞানের আরো বহুদিক দিয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিবর্তনের প্রায় অভিন্ন ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। এ থেকেই বলা হয়, পৃথিবীর সব প্রাণীই একই আদি জীব বা পূর্বপুরুষ থেকে কোটি কোটি বছরের বিবর্তনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপত্তি হয়েছে। তারমানে জীবজগৎ সি'তিশীল নয় বদলে যাচ্ছে। এটাই বিবর্তন। কোটি কোটি বছরের এই বিবর্তনই জীবের পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে। তৈরি হচ্ছে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতির। এই বিবর্তন প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমেই ঘটে। কখনো আকস্মিক বড় পরিবর্তন ঘটে কখনো অতি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়। তারমানে উচু গাছের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করতে করতে জেব্রারা জিরাফ হয়নি। প্রাকৃতিক নির্বাচনেই আদি কোন প্রাণি থেকে বিবর্তন হয়ে জিরাফ হয়েছে, জেব্রা হয়েছে।
বিবর্তনের মূল কথা হল, কোন প্রজাতিই চিরন্তন বা সি'র নয়, বরং এক প্রজাতি থেকে পরিবর্তিত হতে হতে আরেক প্রজাতির জন্ম হয় অর্থাৎ পৃথিবীর সব প্রাণই কোটি কোটি বছর ধরে তাদের পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হতে হতে এখানে এসে পৌঁছেছে। এক প্রজাতি অন্য প্রজাতিতে বিবর্তন প্রথম বুঝতে পারেন, ফরাসী জ্যাঁ ব্যাপ্তিস্তে ল্যামার্ক। কিন' কিভাবে বিবর্তন ঘটে তিনি তার ভুল ব্যাখ্যা দিলেন। চার্লস ডারউইনই প্রথম বুঝতে পারেন প্রাকৃতিক নির্বাচনের বিষয়। ডারউইন বিবর্তনবাদের ধারণা নিয়েছেন পূর্ববর্তী বিজ্ঞানীদের কাছ থেকেই, তাদের অন্যতম চার্লস লায়েল। আগে ধারণা ছিল, ভূ-প্রকৃতি ও প্রাণীজগত সি'তিশীল। লায়েলের সদা-পরিবর্তনশীল ভূ-প্রকৃতির ধারণাই যে সঠিক তা ডারউইন বিগল জাহাজে দীর্ঘদিন বিশ্বপরিভ্রমণ করে বুঝতে পারেন। এই উপলব্ধিই তাকে প্রাণের বিবর্তন সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। টমাস ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব পাঠ করেও ডারউইন প্রাণিকূলের প্রকৃতিতে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার উপর চিন্তা ভাবনা শুরু করেন।
কাছাকাছি ধরনের প্রজাতিরা সাধারণত খুব কাছাকাছি এলাকায় বাস করে কারণ তারা এক সময় একই পূর্বপুরুষ থেকে পরিবর্তিত হতে হতে বিভিন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। অষ্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকার প্রাণিগুলোর দিকে তাকালে বিস্মিত হতে হয়, একেক দেশে একেক রকম প্রাণি। বাংলাদেশের রয়েল বেঙ্গল টাইগার কেন অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, আফ্রিকায় নেই আবার ক্যাঙ্গারু বাংলাদেশে নেই। এতে মনে হয় একেক বিচ্ছিন্ন স্থানে একেকভাবে প্রাণের বিবর্তন হয়েছে। কয়েক বছর আগে রাশিয়ায় বহুপ্রাচীন কিছু বীজ পাওয়া যায়। ওই বীজ থেকে উৎপন্ন গাছে যে ফুল হয় তা বর্তমান পৃথিবীতে নেই। তার মানে ওই গাছ বদলে গেছে, বিবর্তন হয়েছে। ভুতাত্ত্বিক পুরাতন স'রে পাওয়া যায় পুরাতন আমলের প্রাণীর ফসিল। এই ধারাবাহিকতার কোন ব্যতিক্রম নেই। এক স'রে প্রাপ্ত কোন প্রাণীর ফসিল পরবর্তী স্তরে পাওয়া যাচ্ছে না, তার পরিবর্তে যে ফসিল পাওয়া যায় তা থেকে বুঝা যায় আগের প্রাণী বিবর্তন হয়েছে। অর্থাৎ ঘণিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত প্রজাতিরা বিবর্তনের মাধ্যমে একে অন্যকে প্রতিস্থাপিত করেছে। দুটি এলাকা যদি দীর্ঘকাল ধরে বিচ্ছিন্ন থাকে, তাদের মাঝে মহাসমুদ্র, খুব উচু পর্বতশ্রেণি থাকে তাহলে তাদের স্থানীয় জীবজন', গাছপালাগুলো স্বতন্ত্রভাবে বিবর্তিত হতে থাকে। এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ক্রমাগতভাবে চলতে থাকে এবং দীর্ঘকাল পরে দুই অঞ্চলের প্রাণীদের মধ্যে ভিন্ন প্রজাতি পরিলক্ষিত হবে। এই প্রাণের বিবর্তন ঘটছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমেই। ল্যামার্কের ভুলটাও ছিল এখানেই। অনেকে এখনো ল্যামার্কের এই ভুলকেই বিবর্তনের কারণ বলে মনে করেন।
বিবর্তন বিষয়ে আমি প্রথম পাঠ পাই উচ্চ মাধ্যমিকে। তাও সিলেবাসভূক্ত ছিল না। এখন নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞানেও পড়ানো হচ্ছে। সেখানে সামান্যই ধারণা দেয়া হয়েছে। বিবর্তনবাদ বুঝার জন্য যে বিষয়গুলো জানা দরকার তা ওসব বইতে এভাবে লেখা রয়েছে-
জৈব বিবর্তন: পৃথিবীতে বর্তমানে যত জীব রয়েছে তারা বিভিন্ন সময়ে এই ভূমণ্ডলে আবির্ভূত হয়েছে। আবার অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী সময়ের আবর্তে লুপ্ত হয়েছে। কয়েক হাজার বছর সময়ের ব্যাপকতায় জীব প্রজাতির পৃথিবীতে আবির্ভাব ও টিকে থাকার জন্য যে পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রক্রিয়া তাকে জৈব বিবর্তন বলে।
প্রাকৃতিক নির্বাচন: ডারউইনের মতে জীবন-সংগ্রামে সেই সব প্রাণী সাফল্য লাভ করে যাদের শারীরিক গঠন প্রকৃতিতে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে পরিবর্তিত হয়। তারা পরিবর্তনশীলতায় দক্ষতার পরিচয় দিয়ে অভিযোজিত গুণগুলো বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়ে বেঁচে থাকার বা বিবর্তনের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়। অন্যদিকে যারা এ ধরনের পরিবর্তনশীতায় অংশগ্রহণ করতে পারে না তারা প্রকৃতি কর্তৃক মনোনীত হয় না। ফলে তাদের বিলুপ্তি ঘটে। প্রাচীনকালের প্রাণী ডাইনোসর বলিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও পরিবেশের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে অভিযোজিত না হতে পারায় বিলুপ্তি হয়েছে।
যোগ্যতমের টিকে থাকা (সারভাইভাল অব দ্যা ফিটেস্ট): যে বৈশিষ্ট্য, স্বভাব ও প্রবৃত্তি জীব বা তার বংশধরকে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম করে তোলে, সেসব জীব অনুকূল বৈচিত্র্যের অধিকারী হয়। এই গুণাবলী বংশ পরম্পরায় সঞ্চরিত হয়ে থাকে। অপরপক্ষে, প্রতিকূল বৈচিত্র্যসম্পন্ন জীব, জীবনসংগ্রামে পরাজিত হয়ে কালক্রমে ধ্বংস হয়। ডারউন জীবজগতে এ ধরনের অীভযোজনকে প্রকৃতিতে বেঁচে থাকার সংগ্রামে টিকে থাকার প্রধান অবলম্বন বলে মনে করেছেন। প্রকৃতিতে অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী এমন কিছু অীভযোজনের অধিকারী হয়, যা তাদের বেঁচে থাকার জন্য বিশেষ সহায়ক। মরুভূমিতে অনেক গাছের পানি সংরক্ষণ করার কৌশল, প্রাণীর আত্মরক্ষায় ছদ্মবেশ কিংবা অনুকৃতির আশ্রয় নেয়। এই অভিযোজনগুলো অভিব্যক্তির উল্লেখযোগ্য উপাদান।
প্রজাতির টিকে থাকায় বিবর্তনের গুরুত্ব: বিবর্তনের মাধ্যমে নতুন প্রজাতির উদ্ভবকালে দেখা যায় অনেক প্রজাতি কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে ডাইনোসরের কথা বলা যায়। দেখা গেছে যে সময়ের সাথে যে প্রজাতিটির টিকে থাকার ক্ষমতা যত বেশি সে বিবর্তনের ধারার তত বেশিদিন টিকে থাকতে পারে। অর্থাৎ যে পরিবেশ, জীবনপ্রবাহ ও জনমিতির মানদণ্ডে বিবর্তনে যে যত বেশি খাপ খাওয়াতে পারবে সেই প্রজাতিটি টিকে থাকবে। এটিকে অনেক ক্ষেত্রে অভিযোজন বলা হয়।
বিবর্তনের আলোয় বিচার না করলে জীববিজ্ঞানের কোন কিছুরই কোন অর্থ হয় না। এখন বিবর্তনবাদকে জীববিজ্ঞানের মূল শাখা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এখন জেনেটিক্স, অনুজীববিদ্যা, জিনোমিক্স বিবর্তনবাদকেই বারবার নিশ্চিত প্রমাণ করছে। এখনতো গবেষণাগারেই নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ বা প্রাণী তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৪০
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×