somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

গল্পঃ লিয়াকত মাস্টার

২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লিয়াকত মাস্টার বসা ছিল চেয়ারে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিচার কাজ চলছে। সে তার কিছুই শুনছে না, তার মন বিক্ষিপ্ত। মনটাকে সে বিচারের মধ্যে রাখতে পারছে না। তার মন কখনো চলে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে- সেখানে তার তালাক-দেয়া স্ত্রীর কাছে তার অটিজমে আক্রান্ত ছেলে। তার বড়ভাই, মেঝো ভাই যখন বাড়ি থেকে বের করে দেয় তখন সে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতেই আশ্রয় নিয়েছিল। প্রথমে পড়াতো সুবর্ণাকে, এরপর প্রেম এবং বিয়ে। কিন্তু যখন তার বিকলাঙ্গ সন্তান হয় তখনই সুবর্ণার উপর থেকে তার সব ভালবাসা উঠে যায়, সে এ অধ্যায় ভুলে যেতে চেয়েছিল, পারেনি। এই বিকলাঙ্গতা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। প্রথমবার সে চলে গিয়েছিল গাজিপুরে। সেখানে সে পরকিয়া প্রেমে জড়ায় ময়নার সাথে। ময়নার গর্ভেও যে ছেলে জন্মে সেও ঠিক তার সন্তানের মতো অটিজমে আক্রান্ত। সেখান থেকে পালিয়ে আসে এই বিক্রমপুর।


ঠাস! লিয়াকত একটি থাপ্পর খায়। তারপর শুনতে পায়, হারামজাদা কুলাঙ্গার মাস্টার তুই চেয়ারে বইছস ক্যা? মাডিতে বয়।
কোন কথা না বাড়িয়ে লিয়াকত মাস্টার দ্রুত মাটিতে বসে পড়ে। সে বুঝতে পারে তাকে থাপ্পরটা দিয়েছে নুরু মৌলবি। লিয়াকত মাস্টার নুরু মৌলবিকে ওস্তাদ মেনে আসছে। সে বুঝতে পারে নিজেকে বাঁচাতে আজ নুরু মৌলবি তাকে থাপ্পরটা দিল। সন্তান না হওয়ার জন্য অনেকেই আসতো নুরু মৌলবির কাছে। মৌলবি মেয়েদের আসতে বলতো তাদের মাসিকের নিয়ম মেনে। মাতৃত্বে কাঙ্গাল এমন কয়েকজন মেয়ের সাথে শুয়েছিল লিয়াকত। পরপর দুটি মেয়ের বিকলাঙ্গ সন্তান হলে নুরু মৌলবি বুঝে গিয়েছিল সমস্যাটা লিয়াকতের। এরপর আর লিয়াকতকে ডাকেনি। কিন্তু গুরুশিষ্যের সম্পর্কটা ছিল। লিয়াকতও চায়নি আর বিকলাঙ্গ সন্তানের অবৈধ বাপ হতে। তার মন চলে যায় সুদূর অতীতে। তখন সে এসএসসি পাশ করেছে প্রথম বিভাগে। বিদ্যালয়ের একমাত্র প্রথম বিভাগপ্রাপ্ত ছিল সে। তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল তার ছোটখালা এক চাচাতো বোনকে নিয়ে। তার প্রথম প্রেম হয়েছিল সেই চাচাতো খালার সাথে। সে মেয়েটি রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে ফিরছিল। লিয়াকত তাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল পাশ্ববর্তী কলাগাছের বাগানে। বিস্ময়করভাবে মেয়েটি চিৎকার দেয় এবং তার বড় দুই ভাই ছোটে আসে এবং থাপড়িয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তার বড় দুই ভাইর প্রতি তীব্র ঘৃণায় তার কপাল কুচকে যায়।
প্রধান বিচারক স্থানীয় চেয়ারম্যান। সে লিয়াকত মাস্টারকে উদ্দেশ করে বলে, আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ কি সত্য?
লিয়াকত মাস্টার ছিল ভাবনার মধ্যে। সে শুনতে পায়নি। তখন চৌকিদার লাঠির খোচা মারে, এই অভিযোগ কি সত্য?
লিয়াকত মাস্টার কিছুই শুনে নাই। তবুও সে থতমত খেয়ে বলে, সত্য নয়।
চেয়ারম্যান বলে, কোন ঘটনা সত্য নয়।
এবার ফাঁপড়ে পড়ে যায়। সে অনুমান করে বলে, স্কুলের আয়া সখিনার সাথে কিছু হয় নাই।
বিচারক-দর্শক সবাই হা হা করে হেসে উঠে। মফিজ মেম্বার পান চিবাতে চিবাতে বলে, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না। তার মানে ও সখিনার লগেও আকাম করেছে। হামারজাদা তুই মনোযোগ দিয়ে কথা শুনবি, নইলে চাপা ছুটামো। আচ্ছা মজনু মিয়া তোমার মাইয়ার বিষয়ে তুমি বল।
মজনু মিয়া বলে, আমার বিধবা মাইয়া, দেখতে কুৎসিত। হেই মাইয়ার কাছে এই মাস্টার দিন নাই রাইত নাই আসতো। আমি কয়েকবার মানা করেছি।
লিয়াকত বুঝতে পারে, ভুল হয়ে গেছে। সখিনার সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে সমস্যা হয়েছিল আগের স্কুলে। সে সুন্দরী আয়া ছিল। স্কুলের দুজন ছাত্রীর সাথে তার সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক ছিল, রশিদ স্যারের দুই মেয়ের সাথেও। স্কুল কোয়ার্টারে এসব নিয়ে কানাকানি থাকলেও। কেও ধরতে পারেনি। রশিদ স্যার ছিল আলাভোলা মানুষ। তার বাড়িতে থাকার কোন টাইম টেবিল ছিল না। সারাদিন ঘুরে বেড়াতো। প্রথমে সম্পর্ক হয় ছোট মেয়ে লিজার সাথে। একদিন দেখে বাড়িতে একা শুয়ে আছে লিজার বড় বোন লিমা। সে চান্স ছাড়ার লোক নয়। ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। তারপর তার লক্ষ্য দাঁড়ায় লিজা ও লিমার মায়ের সাথে সম্পর্ক করার। সেদিন তার ছিল দুর্ভাগ্য। দুই বোনই ঘরে ঢুকে দেখে ফেলেছিল। এরপর লিয়াকত ও বাসায় যাওয়াও বন্ধ করে দেয়। এসব নিয়ে অশান্তির এক পর্যায়ে ছোট বোন লিজা আত্মহত্যা করলে ঘটনা প্রকাশ পেয়ে যায়। কিন্তু কোন প্রমাণ না থাকায় লিয়াকত মাস্টার বেঁচে যায়। তার ছাত্রী ঝুমুরের সাথে তার সম্পর্কটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, ঝুমুর বিয়ে ছাড়া কিছুতেই ওসবে রাজি নয়। সে ভুয়া বিয়ের নাটক করে সফল হয়েছিল। কিন্তু একদিন মেয়েটি যখন ঘরে উঠানোর জন্য চাপ দেয় তখন লিয়াকত মাস্টার প্রকাশ করতে বাধ্য হয় তাদের বিয়েটা আসলে হয়নি। মেয়েটি অঝরে কেঁদেছিল। মেয়েটিকে ঘরে রেখেই সে বের হয়ে গিয়েছিল। এরকম কয়েকটি ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মেয়েদের পড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তখন নিরুপায় হয়েই সখিনার দিকে হাত বাড়ায়। কিন্তু দপ্তরি মোখলেছ একদিন সখিনাকে লিয়াকতের ঘরে ঢুকতে দেখে বাহির থেকে সিকল আটকে দেয়।
মফিজ মেম্বার এবার চৌকিদারকে বলে, হালারে গুতা দেওতো। ওতো হুনতেছে না কিছুই। এটা আমাগো অপমান করা হয়। চৌকিদারের গুতায় আবারো সম্বিৎ ফিরে পায় লিয়াকত মাস্টার।
চেয়ারম্যান বলে, আচ্ছা মাস্টার তুমি সুলতানাকে ব্লুফ্লিম দেখিয়ে ধর্ষণ করতে গেলেইতো সে চিৎকার দেয়। আর লোকজন ছুটে আসলে তুমি পালিয়ে যাও। তোমার বক্তব্য কি?
লিয়াকত মাস্টার এবার শোনতে বাধ্য হল। সে বুঝতে পারলো রিন্টুর বোন তছলির ঘটনা শেষ হয়েছে। এবার শুরু হয়েছে টেনের ছাত্রী সুলতানার বিষয়টি।
লিয়াকত মাস্টার বলে, আমি ঘরে বসে বই পড়ছিলাম। এর মধ্যে সুলতানা ঘরে ঢুকে যে দরজা ভিজিয়ে দিয়েছিল আমি খেয়াল করিনি। ওর সাথে কোন কথা হয়নি। ও কেন যেন চিৎকার দিল আর ওমনি বাইরে থাকা লোকেরা দরজার খিল ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে পড়ল।
চেয়ারম্যান বলে, তাহলে তুমি পলাইলা কেন?
লিয়াকত বলে, আমি ভয়ে পালিয়েছি।
চেয়ারম্যান, তোমার ল্যাপটপে তো ব্ল-ফ্লিম গাদাগাদা।
লিয়াকত বলে, ওগুলো পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময়ই ভিতরে ছিল। আমি মুছতে পারি না, কোনদিন দেখিওনি। জানতামও না।
চেয়ারম্যান বলে, ল্যাপটপ কেনার রশিদে তো তোমার নাম লেখা।
লিয়াকত বলে, ওহ ওটা আমার মিতার ল্যাপটপ ছিল। তার কাছ থেকে নিয়েছি।
চেয়ারম্যান বলে, কিন্তু সাক্ষ্যি যে আছে তুমি নতুন ল্যাপটপ কিনে এনেছ।
লিয়াকত এতক্ষণ বলেই ক্লান্ত হয়ে যায়। সে বলতে চেয়েছিল, যে সাক্ষী তাকে নতুন কিনতে দেখেছে সে মিথ্যা বলছে। তার সাথে শত্রুতা ছিল আগে থেকেই। কিন্তু আর বলতে মন চায় না। তার এত কথা বলতে ভাল লাগছে না। সে বুঝে গিয়েছে তার চাকুরি থাকবে না। কিন্তু এতে তার কিছু যায় আসে না। সে জানে এই বিচারকার্য দীর্ঘ করতে হবে। এক সময় সন্ধ্যা পার হয়ে রাত হবে। তারপর তাকে এখান থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিবে। তার চেয়ে ভাল ইংরেজি জানে এমন কোন শিক্ষক এই অঞ্চলে কেন মফস্বলের কোথাও নেই। তার নতুন চাকুরি পাওয়া কোন সমস্যা নয়। পরীক্ষা দিলে সে সবখানেই ফাস্ট হবে। আপাতত এখান থেকে মুক্তি দরকার। নতুন ল্যাপটপ কিনতে সে ঠিকই জয়নালকে নিয়ে গিয়েছিল। একদিন জয়নালের বাসায় গিয়ে তার ভাগ্নিকে দেখতে পায়। সে টার্গেট করে। ওদিন থেকেই সে জয়নালকে মামা ডাকা শুরু করে। জয়নাল বলেছিল, স্যার আপনে আমারে মামা ডাকেন কেন?
লিয়াকত বলেছিল, আরে বোকা ইউনিভার্সিটিতে এখন আমরা বন্ধুদেরও মামা বলি। মধুর ক্যান্টিনে বসে টি-বয়কেও বলি মামা চা দাও। ওরাও আমাদের মামা বলে। আবার বন্ধুদেরও মামা বলি। এতে সম্পর্কটা গভীর হয়। তুমি এসব বুঝবা না। এরপর থেকে জয়নালও মামা ডাকা শুরু করে।
একদিন জয়নাল বলে, মামা আমার ভাগ্নি নাজমাতো ইন্টার পাস করে ফেললো। এবার ঢাকায় পড়তে চায়। কোথায় পড়লে ভাল হয়?
লিয়াকত মাস্টার ফাঁদ পেতে ফেলেছিল। সে নাজমাকে পটিয়ে ফেলে ঢাকায় নিয়ে যায়। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে কাগজপত্র তোলে। তারপর লিয়াকত মাস্টারের বন্ধু দুর্ধর্ষ ক্যাডার কুত্তা সোহেলের ভাড়া বাসায় নিয়ে উঠায়। দুদিন সে নিজের কাছে রেখে এখন কুত্তা সোহেলের রক্ষিতা বানিয়ে রেখে এসেছে। বাড়ি এসে বলেছে, হোস্টেলে রেখে এসেছে। সে বড় ভুল করে ফেলেছে। তার উচিৎ ছিল আরো কদিন আগেই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া। কিন্তু হুটহাট অনেকগুলো ঘটনা একসাথে প্রকাশ পেয়ে যাওয়াতে সে ফেঁসে যায়। তার শীত শীত লাগছে। জ্বর আসলো কিনা ভাবে। গ্রামে ফিরে আসাটা ভুল হয়েছে। শহরে অনেক কিছু নিয়েই অনেকে ভাবে না। সবাই ব্যস্ত। গ্রামে আসাটাই ভুল হয়েছে। সে আবারো ভাবনার রাজ্যে চলে যায়। সুবর্ণার সাথে তার ঠিক প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। তার প্রয়োজন ছিল আশ্রয়ের। লিয়াকত মনে করেছিল, সুবর্ণাদের অনেক সম্পদ রয়েছে। সুবর্ণার বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা-ও চেয়েছিল কাউকে ঘরজামাই রাখতে। এই মিলে যাওয়ার কারণেই বিয়ে করে ফেলে। সুবর্ণা লিয়াকতকে কখনোই মর্যাদা দেয় নি। বিশেষ করে তার প্রাইভেট ছাত্রী মিথিলার সাথে তার সম্পর্ক ফাঁস হয়ে গেলে সুবর্ণা প্রলয়কাণ্ড ঘটিয়ে বসে। সে লিয়াকতের গালে চড় বসায়। সেদিনের কথা মনে করে সে আজো কেঁপে উঠে। সাথে সাথেই সে আবিষ্কার করে তার গলায় জুতার মালা পড়ানো হচ্ছে। সে বুঝতে পারে আজকের বিচারে হয়তো এই রায় হয়েছে। ছোট-বড় সবাই হইচই করে উঠে। জুতার মালাসমেত তাকে নিয়ে মাঠের চারদিকের রাস্তা প্রদক্ষিণ করানো হবে। হাঁটতে হাঁটতেই লিয়াকতের মনে স্বস্তিবোধ হয়। এখানে তার পরিচিত কেউ নেই, এতে তার কিছু আসে যায় না। সে দ্রুত নিস্কৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পায়। এক দঙ্গল লোকের সামনে সে হাঁটতে থাকে ধাক্কায় ধাক্কায় এবং আবারো ভাবনার রাজ্যে চলে যায়। নুরু মৌলবির যে দুই রোগীর অটিজমে আক্রান্ত পুত্র হয়েছিল তাদের দেখতে গিয়েছিল। সে প্রথম জনের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠেছিল ঠিক তার সন্তানের মতো মুখের অবয়ব। সেই চোখ সেই মুখ। সে কৌতুহলের কারণেই দেখতে গিয়েছিল আরেক সন্তানকে। তার কপাল কুচকে গিয়েছিল। তার কাছে মনে হয়েছিল শুধু জিনের সমস্যা নয় এর মধ্যে অবশ্যই কোন অভিশাপ রয়েছে। এই চারটি সন্তানই তার কিন্তু সে কারো পিতা নয়।
জুতার মালা গলায় মাঠ প্রদক্ষিণের পরই সে দেখতে পায় পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। সে আশ্বস্ত হয়- যাক এবার বাঁচা যাবে। কিন্তু পুলিশের পাশে জয়নালের ভাগ্নী নাজমাকে দেখে সে ভরকে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×