হক থেকেই হাক্কানি৷ হক অর্থ সত্য৷ অর্থাৎ যে পীর সত্য, যিনি হাশরের ময়দানে নবীর শাফায়াত প্রাপ্তিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন এবং অলৌকিক আধ্যাত্মিক ক্ষমতার মালিক তিনিই হাক্কানি পীর৷ তাঁর যার রিযিক অবশ্যই হালাল আর নফস পরিশুদ্ধ৷ আচার আচরণ ও সভাব চরিত্র অর্থাৎ আখলাক হবে নির্মল৷
আমরা পীরদের রিযিককে লিটমাস ধরেই প্রাথমিক প্রমাণ করতে পারি তিনি বুজুর্গ না ভণ্ড?
(সুরা বাকারা ১৭৪)
বস্তুত, যারা আল্লাহ কেতাবে যা অবতীর্ণ করেছেন তা গোপন করে এবং এর বিনিময়ে পার্থিব তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে, তারা তাদের পেটে আগুন ছাড়া আর কিছুই ঢুকায় না। এবং আল্লাহ হাশরের দিন তাদের সঙ্গে কথাও বলবেন না, তাদেরকে পরিশুদ্ধও করবেন না। এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব। এরাই হচ্ছে সেই সমস্ত মানুষ যারা সঠিক পথের (হেদায়াহ) পরিবর্তে পথভ্রষ্টতা (দালালাহ) এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করে নিয়েছে। আগুন সহ্য করতে তারা কতই না ধৈর্যশীল।
কোরআনে অন্তত ১৬টি স্থানে আল্লাহর কালামের বিনিময় মূল্যের কথা রয়েছে৷ এর একটিই বিনিময় মূল্য আর তা হল- আল্লাহর রহমত পাওয়া৷ স্রষ্টার প্রতি মানুষের দায়িত্ব হিসেবেই তাঁর বাণি প্রচারের কথা বলেছেন৷ পীরগণ আল্লাহর বাণি প্রচার করেন৷ যদি তিনি বিনিময় মূল্য গ্রহণ করেন তবে তার জন্য যন্ত্রণাদায়ক আযাবের কথাই আল্লাহ বলেছেন৷ এই টাকা খাওয়ার সাথে আগুন খাওয়ার তুলনা করেছেন স্বয়ং আল্লাহ৷
তাহলে এই যে, যারা দরদাম করে টাকার বিনিময়ে আল্লাহর বাণি প্রচারে আসেন তাদের পরকালে কি অবস্থা হবে? আল্লাহ বলেছেন তারা পথভ্রষ্ট এবং তারা শাস্তি ক্রয় করে নিয়েছে৷ এ নিয়েই মাওলানা সাদ ছাহেব মন্তব্য করে বাংলাদেশ বিপদে পড়েছিলেন৷ তিনি এ ধরনের আয়কে বেশ্যার আয়ের চেয়ে মন্দ বলেছেন৷ আল্লাহ বলেছেন, তারা আগুন সহ্য করার জন্য ধৈর্য ধরে আছেন৷
এবার পরীক্ষা করেন৷ বাংলাদেশের এমন কোন পীর কী আছেন, যিনি আল্লাহর বাণি প্রচার করে মূল্য গ্রহণ করেন না? যদি মূল্য গ্রহণ না করা কোন পীর থাকেন তবেই না তিনি হাক্কানি কিনা সে প্রশ্ন আসবে৷ সেটাও হবে কোরআন অনুযায়ী দ্বিতীয় পরীক্ষা! থাকলে আওয়াজ দিবেন৷
দ্বিতীয় লিটমাস- নফস!
তৃতীয় লিটমাস- আখলাক!!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭