সন্ধ্যা হইতে না হইতেই গলা ফাটাইয়া পড়িতে আরম্ভ করিলাম ” এসেছে নতুন শিশু তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান” আমার মাতা অবাক হইয়া আমার মুখপানে তাকাইয়া রহিলেন । দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া কন্যাটি উহা কি পড়িতেছে ? উহার কি মতিভ্রম ঘটিয়াছে?
ইহা তো সপ্তম শ্রেনীর ভাবস্প্রসারন । তাহার সপ্তম শ্রেনী পড়ুয়া পুত্রকে পড়িতে শুনিয়াছেন । মাতা কিছুটা বিমুগ্ধ হইয়া কন্যাকে আপনার কাছে ডাকিয়া লইলেন । কন্যাকে শুধাইলেন ” তুমি ইহা কেন পড়িতেছ?”
কন্যার চাঁদ মুখখানা মলিন হইয়া উঠিল । কারন তাহার মনে যে অধিক ব্যাথা । অবশেষে সে তাহার মাতাকে মূল ঘটনাখানি খোলাসা করিয়া কহিল ।...
কন্যা কিছুদিন যাবত লক্ষ্য করিতেছে যে, সে শিশু বলিয়া কেহ তাহাকে মান্য করিতে চাহে না । তাহার কথার কোন গুরুত্ব নাই । দুইদিন পূর্বে সে যখন কেদারায় বসিয়া আরাম করিয়া পা দোলাইতেছিল হঠাৎ করিয়া বড় মামা আসিয়া পড়িলেন । পিতা কহিলেন, ” মামনি চেয়ারখানা ছাড়িয়া দাও”
সে শিশু বলিয়া তাহার আরামকে এইভাবে হারাম করিবার কোন অধিকার কারও নাই । কারন বইয়ের ভেতর স্পষ্টাক্ষরে লেখা রহিয়াছে যে শিশু আসিলে তাহাকে জায়গা ছাড়িয়া দিতে হইবে ।
সে এইবার নিজের অধিকার আদায় করিয়া লইবে । তাই চিৎকার করিয়া ,গলা ফাটাইয়া বইয়ের উক্ত বানী সবার কাছে পৌছাইয়া দিতে চাহে ।