প্রতিবাদ করতে আমাদের সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে। সাধারণত আমরা বর্তমানে বাংলাদেশে কোন কিছু হলেই সবার আগে ফেসবুকে প্রতিবাদে ঝড় তুলি। কেউ প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিঘাতের দিকে এগিয়ে যায়। ফেনির নুসরাত হত্যার অন্যতম আসামি মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল সিরাজ উদ দৌলা। যদিও ওই হত্যার সাথে আরও অনেকে জড়িত ছিল তাদেরকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। তাদের নিয়ে কোন প্রতিবাদ নাই শুধু মাদ্রাসা হুজুরকে নিয়েই তাদের যত চুলকানি।
দেখে নেওয়া যাক নুসরাত হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যঃ
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার অন্যতম দুজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এজাহারভুক্ত ওই দুই আসামি হলেন-সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদ আলম ও জাবেদ হোসেন। এ নিয়ে এই মামলায় মোট ১১ জন গ্রেফতার হলেন।
মোকসুদ আলম সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তাকে ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআইয়ের ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে পরে জানানো হবে। নুসরাতের ভাই নোমানের দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন তিনি।
এ ছাড়া এই মামলায় প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা ৭ দিনের রিমান্ডে আছেন। ওই মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন এবং নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, নুসরাতের সহপাঠী ও মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার ভাগনী উম্মে সুলতানা পপি ও আরেক মাদরাসা শিক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদ ৫ দিনের রিমান্ডে আছে।
এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো পলাতক রয়েছেন-সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের ওই মাদ্রাসার ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামিম, হাফেজ আবদুল কাদের ও নুর উদ্দিন। এরাও গ্রেপ্তার হয়েছে পরে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষ তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন অধ্যক্ষ।
গত শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। সেখানে মাদ্রাসার এক ছাত্রী তাকে জানান, তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কে বা কারা মারধর করেছে। এ কথা শুনে রাফি ওই ভবনের চারতলায় ছুটে যান। সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় না ফেরার দেশে চলে যান ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টার পরও তাকে বাঁচানো যায়নি। টানা ১০৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানেন এ ছাত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় ছাবের সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় নুসরাতের মরদেহ।
উক্ত রিপোর্টটা পড়ে ক্লিয়ার যে, নুসরাত হত্যার পিছেন আওয়ামিলীগের নেতা থেকে শুরু করে আরও অনেকে দায়ী ছিল। কেউ তাদেরকে নিয়ে কোন প্রতিবাদ করে নাই শুধু মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল নিয়ে সবার চুলকানি। আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া নয় মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই মূল টার্গেট।
বলছিলাম বাংলাদেশের একজন নামকরা আর্টিস্ট জাহিদুর রহমান রবিন নামের এক লোকের কথা। বর্তমানে তার নামটা ইংরেজিতে করা হয়েছে। উনি নূসরাত হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে সেই হুজুরকে মিন করে একটা কার্টুন এঁকেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে হুজুরকে পুটকি মারতেছে শুয়ার (এটা লিখতে বাধ্য হলাম) বিস্তারিত ছবিতে দেখুন।
উনি এই ছবিতা এঁকে যতটানা সুনাম অর্জন করেছেন তার চাইতে বেশি দুর্নাম রটিয়েছে। উনি অন্য ১০ জন আসামিকে নিয়ে কোন প্রতিবাদ করে নাই যদিও তারা প্রত্যেকেই সেই নুসরাত হত্যা মামলার সাথে জড়িত। উনি এঁকেছেন শুধু হুজুরকে নিয়ে কারণ উনার চুলকানি শুধু হুজুরদের নিয়েই। উনি আবার নিজেকে মুসলিম পরিবারের সন্তান হিসেবে দাবি করে। তার এই ছবিটিকে মুসলিম পরিবারের কেউ সাপোর্ট করে নাই যারা করেছে তারাও তার মতো মুক্তমনা নাস্তিক টাইপের লোক।
বেশি কিছু বলব না শুধু এইটাই বলতে চাই আপনার যদি ইসলাম ধর্ম নিয়ে একান্তই চুলকানি থেকে থাকে তাহলে প্রকাশ্যে এসব করুন। চুরের মতো নিজেকে মুসলিম দাবী করে আবার ইসলাম বিরুধী কাজ করে নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১