বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য দক্ষিণাঞ্চলের কৃতি সন্তান, নন্দিত কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনিকে অভিনন্দন জানাতে আমার এই লেখা। আজকাল প্রতিপক্ষদের সমালোচনা করা, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা আমাদের দেশের নিয়মিত সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিপক্ষের কোন ভাল কাজকে আমরা ভাল উচ্চারণ করতেও ভুলেগেছি। গতকাল সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি ডিএমপি কমিশনার বরাবর খোলা চিঠি লিখেছেন। চিঠিটি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। তার স্বভাব সুলভ শব্দ ব্যয় করে অত্যন্ত চমৎকারভাবে ঢাকার অন্ধকার গলি কিছু অংশ তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি এর প্রতিকারের জন্য ডিএমপি কমিশনারের কাছে তার আকুতি তুলে ধরেছেন। সম্প্রতি ডিএমপি কমিশনার ফরমালিন মুক্ত ঢাকা শহর ঘোষণা দিয়ে তিনি ঐতিহাসিক একটি দায়িত্ব পালন করেছেন। সে বিষয়টিও গোলাম মাওলা রনি তার লিখনীতে তুলে ধরেছেন। আমাদের যুব সমাজ, নতুন প্রজন্ম কিভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তাদের চরিত্রের নানামুখী অবক্ষয়ের কথাও অত্যন্ত খোলামেলাভাবে তিনি তার লিখনীতে স্পষ্ট করেছেন। এর আগেও আমি গোলাম মাওলা রনির কিছু কিছু লেখার দ্বিমত পোষন করে আমার মতামত ব্যক্ত করেছিলাম। কিন্তু আজ বিবেকের তাগিদে তার লেখার সাথে সম্পন্ন একমত হয়ে তাকে ধন্যবাদ জানাতে এই লেখাটুকু লিখছি। আমাদের চারপাশ আজ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সুস্থ মানুষ ঢাকা শহরে এখন আর বসবাস করতে পারে না। প্রতিটি অলি গলিতে এখন অসভ্যতা এবং অসামাজিকতার নির্দশন যে কেউ চোখ কান খোলা রাখলেই দেখতে পায়। শুধুমাত্র সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আর কলাবাগান লেক চত্বরের চারপাশের কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবেই রনি তুলে ধরেছেন এবং তিনি তার প্রতিকারও চেয়েছেন। আমি বিনয়ের সাথে ডিএমপি কমিশনারের কাছে আরও জানাতে চাই শাহবাগের রমনা উদ্যান, জাতীয় সংসদ সংলগ্ন জিয়া উদ্যান, পুরান ঢাকার বলদা গার্ডেন, মিরপুরস্থ জাতীয় উদ্যানও এ আওতা থেকে মুক্ত নয়। সেখানেও প্রতিদিন যারা দর্শনার্থী যায় তারা সেখানে দ্বিতীয়বার আর যাওয়ার নামটিও উচ্চারণ করে না। প্রতিদিন ভাসমান পতিতা,কলগার্লদের অবাধ বিচরনে এ সমস্ত পবিত্র জায়গা এখন জাহান্নামের নরকে পরিণত হয়েছে। প্রকাশ্য এখানে যে সমস্ত বেয়াপনা ও নোংরা ঘটনা ঘটছে তা যুব সমাজকে শুধু ধ্বংসই করছে না তাদেরকে একটি চরিত্রহীন জাতিতে পরিণত করছে। এছাড়াও কাকরাইল রাজমনি হলের সামনে, ফার্মগেট আনন্দ হলের সামনে, মিরপুরের সনি হলের সামনে ভাসমান পতিতা ও দালালদের উৎপাতে সাধারণ মানুষ আজ জিম্মি হয়ে পড়েছে। ভদ্র কোন মহিলা যদি সন্ধ্যার পর রাস্তায় দাঁড়ায় তাহলে তাকেও বিভিন্ন সময় নাজেহাল হয়রানী হতে হয়। এ অবস্থায় পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্ধ্যার পর পুলিশ ও পুলিশের সোর্স তোলা তুলছে। তখন লজ্জায় মাথা হেড হয়ে যায়। ডিএমপি কমিশনার যখন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের গ্রেফতার না করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার জন্য মরিয়া হয়ে যায় এবং নয়া পল্টনে জলকামান ও শত শত পুলিশ মোতায়েন করে তখন পাশেই ফাঁকা যায়গায় ছিনতাই কবলে পড়ে কেউ না কেউ নিঃস্ব ও সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ও দেখার কেউ নেই। গত ঈদ উল ফিতরের ২ দিন আগে যাত্রাবাড়ীতে ৪জন পুলিশ কনষ্টেবল ফুটপাতের টাকা তুলে যখন ভাগাভাগিতে ব্যস্ত ছিল ঠিক সেই সময় কয়েকজন যুবক এসে বললেন স্যার ডাব খান। পুলিশ ৪জন গদ গদ হয়ে ডাব খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল আর পুলিশের তোলা টাকা প্রকাশ্য হাজার হাজার মানুষের সামনে যখন টাকা নিয়ে তারা সরে যাচ্ছে কেউ প্রতিবাদ করেনি বরং কেউ কেউ তালি দিয়েছে। কারণ অবৈধ টাকা যখন দুস্কৃতকারীরা সকলের সামনে নিয়ে যায় তখন সাধারণ মানুষ প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলে। সমাজে এ রকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। কিন্তু কোন প্রতিকার নেই। ডিএমপি কমিশনার গোলাম মাওলা রনির ভাষায় যদি প্রতিকারের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে তিনি সত্যি সমাজের জনগনের কাছে চির স্মরনীয় বরনীয় ও নন্দিত হয়ে থাকবেন। সমাজের এত খারাপ ঘটনার মধ্য দিয়েও এখনও অনেক ভাল মানুষ রয়েছে। আছে প্রতিবাদ করার মত দুঃসাহসী কিছু সৎ মানুষ। সেই জন্য আমরা আজও আশাবাদী। সব কিছু একেবারে শেষ হয়ে যায় নি। নষ্ট এই সমাজ থেকে এখন দুর্গন্ধ বের হয় নি। আসুন আমরা সমাই মিলে আমাদের নতুন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ফিরিয়ে আনি। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করেই আমি আমার ধন্যবাদ জ্ঞাপন শেষ করতে চাই। আজকাল ফেইসবুক, টুইটর, পরিবারের অধিকাংশ ব্যক্তিরাই ব্যবহার করছে। সামাজিক যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম এই ফেইসবুকে যেমন সুফলও রয়েছে তেমনি রয়েছে এর কুফলও। ইদানিং মোবাইলে ফেইসবুক ব্যবহার সহজ হওয়ার কারনে যুব সমাজ সুফলের পরিবর্তে ফেইসবুক মাধ্যমে ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্ধকার জগতে নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলছে। যুব সমাজ ইয়াবা’র মত এখন ফেইসবুকে আসক্তি হয়ে পড়েছে এবং সেখানে পর্ণ ছবি দেখা এবং পর্ন জগতের কথা বার্তা বলাই যেন একমাত্র উদ্দেশ্যে। আমাদের উদীয়মান যুব সমাজকে এখনই যদি এ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করা না যায় তাহলে ভবিষ্য আরো ভয়াভহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হবে। এখন মাত্র ঐশী তার পিতা-মাতাকে নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ভবিষ্যতে ঘরে ঘরে অনেক ঐশীর জন্ম নিলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। আসুন নিজে সংশোধন হই, নিজের সমাজকে সংশোধন করি। আর আমার যতটুকু সার্মথ্য আছে সেই সমর্থ টুকু দেশ ও জাতি গঠনে কাজে লাগাই তাহলেই আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব। পরিশেষে আবারও গোলাম মাওলা রনিকে তার চমৎকার লেখার জন্য তাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ডিএমপি বরাবর খোলা চিঠি লেখায় সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনিকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারলাম না! মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।