কর্মজীবনের ব্যস্ততায় বছরের অন্য সময়ে অনেকেরই গ্রামে যাওয়ার সুযোগ হয় না। ঈদের ছুটিই অধিকাংশ রাজধানীবাসির কাছে গ্রামে যাওয়ার একমাত্র সুযোগ। তাই তো যত কষ্টই হোক, বাড়ি যাওয়া চাই।
গ্রামে ঈদ করতে তাই সবাই ভিড় করছেন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে। এ ছাড়া ভিড় কমলাপুর রেল স্টেশনে। টার্মিনালে ধাক্কাধাক্কি, যান চালকদের যাত্রী হয়রানী আর মহাসড়কে যানযট সবকিছু সয্য করে হলেও সবাই বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ। গাবতলী বাসষ্টেশনে গিয়ে দেখা গেল অনেকে বাসের টিকিটের জন্য সারি ধরে দাড়িয়ে আছে। ভাল আসন দরকার নেই, যেকোন ভাবে একটি টিকিট হলেই চলবে। যাত্রিদের অভিযোগ পুরাতন গাড়ি রং করা হয়েছে আবার ওইসব গাড়িতেও অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।
গাবতলী বাস টার্সিনাল থেকে বগুড়ায যেতে পরিবারের সবার জন্য টিকিট কেটেছিলেন মমতাজ বেগম। পল্টনের বাসা থেকে টার্মিনালে এসে দেখেন, তাদের না নিয়েই বাস চলে গেছে। দুই সন্তানকে জড়িয়ে ধরে মমতাজ বেগম কাঁদো কাঁদো স্বরে বললেন, এখন আবার কিভাবে টিকিট পাবেন। কোন উপায়ে বাড়ি যাবেন, তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের অবস্থা আরও করুন। আসনের অতিরিক্ত যাত্রি নিচ্ছের বেষির ভাগ লঞ্চমালিক। সদরঘাট ছেড়ে যাওয়া বেশির ভাগ লঞ্চে তিল ধারনের জায়গা পর্য়ন্ত নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



