শুনেছি ১২ মাইল পর পর ভাষার কিছুটা পরিবর্তন হয় কিন্তু বিবাহের রীতি নীতির পরিবর্তন হয় তা জানা ছিলনা।
গত ২ মার্চ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানায় এক কলিগের বিবাহের দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। আমি এবং আমার বন্ধ হেদায়েত মোটরসাইকেল নিয়ে দুপুর বেলা বরের বাড়ীতে গেলাম। মেয়ের বাড়ীতে দুপুরে যাওয়ার কথা কিন্তু ১টি বাস, ৩টি মাইক্রো, ১টি কারসহ আত্বীয় স্বজন সবাইকে নিয়ে মেয়ের বাড়ীতে গেলাম বিকাল ৪টার সময়। আমরা সকালে খেয়েছি দুপুরের খাবার ভাগ্যে জুটল না। তাই দুই বন্ধু আগেই বাইক নিয়ে রওনা হলাম।
বিয়ের বাড়ীতে গিয়ে দেখি তাদের সকল আত্বীয় স্বজনদের খাওয়া দাওয়া শেষ। এখন আমাদের পালা। যথারীতি বরের বাড়ীর সকল কে খাওয়ানো হলো।
আমি মনে করলাম বাদ মাগরিব বিবাহের কাজ সর্ম্পূন হবে। কিন্তু নামাযের পর যা দেখলাম তা হল বরের বাড়ী হতে আসা ১টি বাস ও ১টি মাইক্রোতে যারা এসেছিল তারা সবাই বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হল। আমি আরোও আশ্চায্য হলাম মেয়ের বাড়ীতে আসা আত্বীয় স্বজনদেরও কিছু অংশ বিবাহের সামাজিক অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পূর্বে চলে গেলেন।
আমি যে বন্ধুকে নিয়ে বিবাহের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম তার বাড়ী সিরাজগঞ্জের সলোংগা খানায়। বন্ধুর বাড়ীতে এর আগে যাওয়া হয়নি তাই অনুষ্ঠান শেষে তার বাড়ীতে যাব এমন সিদ্ধান্ত আগেই ছিল। সন্ধা ৭.৩০টায় সে বলল চলে যাব। আমি বললাম বিয়ে শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাব না। সে আমাকে বলল এ বিয়ে শেষ হতে রাত ১২টা বাজবে, এখানকার রাস্তাঘাট ভাল নয় রাত হলে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যাবেনা। শেষ পর্যন্ত বরের অনুরোধে বিয়ের মিষ্টি না খেয়েই রওয়ানা হলাম।
আমার বাড়ী বগুড়ায়। এখানে নিয়ম হলো বর আসার পর প্রথমে বিবাহের কাজ সর্ম্পূন করে বাকি কাজ সর্ম্পূন করা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



