
পরিণতিতে পরিবার ছাড়তে হল। মিনহা এখন তাদের সকালের নাস্তা আর রায়হানের অফিসের খাবার তৈরি করছে।ঠিক সে মুহূর্তে রায়হান পেছন থেকে এসে তাকে জড়িয়ে ধরল। মিনহা নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল “শুভ সকাল! নাস্তা তৈরি প্রায়। তুমি ফ্রেস হয়ে এসো,নাস্তা দিচ্ছি” রায়হান তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল“মিনহা দয়া করে তুমি এমন আচরণ করো না! আমি জানি আমি যা করেছি ভালো করিনি।এই দেখো আমি কানে হাত দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি” মিনহা দেখল রায়হান সত্যিই কানে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। মিনহা তার হাতটা নিজেই সরিয়ে দিয়ে বলল “হল অনেক নাটক এখন ফ্রেস হয়ে,নাস্তা করে অফিসে যাও”
রায়হান অপরাধবোধের সুরে বলল “তুমি কিভাবে আমাকে ক্ষমা করে দাও এত সহজে?” -কারণ আমি জানি যা হয়েছে তা তোমার অনিচ্ছায় হয়েছে। -তুমি কত সহজে সব ভুলে আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি কেন পারি না তোমার মত! কেন তোমার ঠুনকো থেকে ঠুনকো ভুল আমার কাছে বড় হয়ে দাড়ায়। -কারণ তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো। তাই চাও আমার সব পারফেক্ট থাক। আর সারাদিন অনেক কাজ করো বলে মাথা ঠিক না। হয়ে যাই এমন। রায়হান মিনহার গালে হাত দিয়ে বলল “অনেক বেশি লেগেছে তাই না! তাইতো মধ্যরাত অব্দি এমন বাচ্চাদের মতো কেঁদেছ” মিনহা মিষ্টি হেসে বলল “ভুলে যাও সব” রায়হান তার গালে আলতো ঠোঁট ছুঁইয়ে চলে যাই। মিনহা ভাবে,আদৌ কি রায়হারকে মাফ করতে পেরেছে? প্রায় কিছুদিন পরপর তাদের মাঝে ঝগড়া হয়,মাঝে মাঝে রায়হান তাকে চলেও যেতে বলে তার জীবন থেকে! আবার পরক্ষনেই বদলে যাই যখন তার মেজাজ ঠাণ্ডা হয়। মাঝে মাঝে তার ইচ্ছে করে কোথাও চলে যেতে। দূরে বহু দূরে! সীমানা ছেড়ে।কিন্তু কি এক অজানা অনুভূতি তাকে আটকে ফেলে। এরই নাম কি ভালোবাসা?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



