মাঝে মাঝে ক্যান্সার, কিডনি জটিলতা, থ্যালাসেমিয়া এসব রোগের কথা ভাবলে আমার ভয় করে। যে পরিবারে কারো এমন রোগ দেখা দিয়েছে সে পরিবারের একেবারে অপূরণীয় ক্ষতে হয়ে গিয়েছে। কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে রোগী যায় তা ভাবলেই আমার গা শিউরে উঠে। রোগীর দীর্ঘদিনের অসুস্থতাকে যদি পরিবার বোঝা ধরে নেয় তাহলে আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি আমার এক ক্লোজ আত্মীয়ের ক্যান্সার স্ট্রাগল করা দেখেছি। একেকটা ক্যামো থ্যারাপির পর একটা মানুষের শরীরের উপর দিয়ে কি যে যায়! ওনাকে দেখেই আমার চোখে পানি চলে আসতো।
১৭/১৮/২০/২৪ বছর বা সদ্য চাকরিতে ঢুকা যুবক যখন জানতে পারে তার মরণব্যাধি ক্যান্সার হয়েছে তখন কেমন লাগে তার? মনে হয় না মাত্র মুখের লোকমা কেড়ে নেয়া হচ্ছে? আমি টাইমলাইনে প্রায়ই এমন জটিলতায় ভোগা ছাত্র-ছাত্রীদের খবর দেখি। ছবি দেয়া হয় যাতে সাহায্য করতে কেউ কার্পণ্য না করেন। আমি ছবিগুলো দেখি আর ভাবি কতটা দুর্বল করে দেয় এই রোগগুলো! তীলে তীলে কষ্ট দিয়ে যায়।
সেদিন রাতে মাথাব্যথা উঠেছিল। ঔষধও ছিল না। অসহ্যকর ব্যথা। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছিলাম শুধু। আমি এই ব্যথা সহ্য করতে পারছিলাম না অথচ স্বাভাবিক আয়ু পেলে বার্ধক্যজনিত যেসব রোগ আসবে সেগুলো কিভাবে সহ্য করবো জানিনা।
ভাগ্য বা তকদিরে খোদা তায়ালা কি রেখেছেন কেউ জানে না৷ অনুমান করাও যায় না। সময় অতীত হওয়ার পর তকদিরে কি ছিল তা জানা যায়৷ এটা সৃষ্টিকর্তা সিস্টেম করে রেখেছেন। আমরা স্রেফ উনি পরীক্ষা নেন এ ব্যাপারে জানি। এবং এটাই আমাদের সান্ত্বনা। যেকোনো কঠিন মুহূর্তে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে "এটা আমার সাথেই কেন হলো?" এই প্রশ্ন রোগী, রোগীর পরিবার সবার মাঝেই আসে।
সূরা বাক্বারার ১৫৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,
"আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।"
এমন কঠিন সময়ে সবাই কি ধৈর্য ধরতে পারে? যদি না পারে তাহলে?
আল্লাহ তায়ালা আমাদের পরিবারকে এসব কষ্টদায়ক রোগ থেকে হেফাজত করুক ও বৃদ্ধকালে বিছানাবন্দী না করুক। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৭