"আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দিব বুঝতেই পারছি না।"— কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ কেমন হয়?
কৃতজ্ঞতা অন্তর থেকে আসে। এমন একটা সিচুয়েশনে আছেন যখন কারো কাছ থেকে হেল্প না পেলে বড় রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হতেন। তখন সাহায্যকারীর জন্য যে ভালো লাগাটা আসে ভেতর থেকে সেটাই কৃতজ্ঞতা। এক কথায় বলতে পারি ক্রেডিট দিয়ে দেয়া। এটা সবার মধ্যে আসে কিনা জানিনা। (যে মানুষের কৃতজ্ঞতা আদায় করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞ হয় না। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯৫৪)
মুখে ধন্যবাদ দেয়া হচ্ছে ভদ্রতাসূচক বিনয়ী ভাব প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত একটা শব্দ। এই শব্দের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হয় না। উপকারীর উপকার স্বীকার করেছেন এটা উপকারীকে স্পষ্ট বুঝানো হচ্ছে কৃতজ্ঞতা। আপনি ফেইস রিএকশন নরমাল রেখে ইন জেনারেল টোনে ধন্যবাদ বললে তখন উলটো অকৃতজ্ঞতা বা নিজের ছোট মনের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
.
আল্লাহ তায়ালা আমাকে আপনাকে সবসময় কত নিয়ামত দিচ্ছেন। ওনার শুকরিয়া আদায়ে আমাদের অনেক যত্নবান হওয়া উচিত। মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায়ে শুধু আলহামদুলিল্লাহ বলে দেয়া আর ভিতর থেকে ফীল করে আলহামদুলিল্লাহ বলার মধ্যে পার্থক্য আছে৷ কোরআন শরীফে শুকরিয়া আদায় ( কৃতজ্ঞতা) স্বীকারের কথা বলা হয়েছে ধন্যবাদ দেয়ার কথা বলে নি৷ আল্লাহর সামনে আপনার সেল্ফ রেসপেক্ট এর জায়গা নাই। এখানে গোলাম তার মালিকের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে। গোলাম যতটুকু ছোট হয়ে খোদাকে তাঁর দেয়া নেয়ামত/সুযোগের জন্য শুকরিয়া জানাবে তিনি তত বেশি খুশি হন।
সূরা ইব্রাহীম, আয়াত-০৭ এ আল্লাহ বলেছেন,
আর যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আযাব বড় কঠিন’।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য শুধু আলহামদুলিল্লাহ পড়া না হাদিসে নফল নামাজ, রোজার কথাও উল্লেখ আছে। মুখে অনবরত আলহামদুলিল্লাহ বলা ও ভিতরের অন্তর থেকে স্রষ্টার প্রতি ভালোবেসে আলহামদুলিল্লাহ বলার মধ্যে নিজেই পার্থক্য খুঁজে পাবেন৷ চেষ্টা করে দেখুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৪