
দেশের দূর্দশায় লিখতে হলে আত্মার ভালো থাকা লাগে। কারো জন্য মন খারাপ করার জন্য আগে মন ভালো থাকা লাগে। যার মন আগে থেকেই খারাপ, তার আর খারাপ লাগার কি বাকী আছে? দেশের মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে, আগুনে পুড়ে যাচ্ছে সম্পদ, পথের ফকির হয়ে আহাজারি করছে — কিছুতেই আমার কারো জন্য খারাপ লাগছে না। মনে হচ্ছে স্বার্থপর হয়ে গেছি। সবাই ই তো স্বার্থপর! যারা আজ নিঃস্ব হলো, তারাও তো স্বার্থের এত বড় ক্ষতি হওয়ায় কাঁদছে পাগলের মতো।
আমি স্বৈরাচার রাষ্ট্রপ্রধান হলে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দেশের জনগণকে ব্যর্থ বানিয়ে হতাশায় ডুবিয়ে রাখতাম। তাহলে হয়তো তারা নিজের শোকে রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ে ভাবার সুযোগ পেতনা। যা তা চিন্তা ঘুরছে। এমনও হয় নাকি! তাহলে তো দেশই চলতোনা বোধ হয়।
রাষ্ট্রীয় রাঘব বোয়ালরা কত চালাক! একটা ঘটনা দিয়ে আরেকটা ঘটনা ধামা চাপা দেয়। ঠিক জীবনের উদাহরণ যেন। সফলতা ব্যর্থতা ঢাকে, আর ব্যর্থতা ঢাকে সফলতা। সদ্য ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়েই মানুষের আহাজারি চলতে থাকে আর বাকি কাজ চুপিসারে হয়ে যায়।
কিন্তু আমি রাঘববোয়াল না৷ আমি পারিনা একটা দিয়ে আরেকটা ধামাচাপা দিতে। দুঃখবিলাসী হওয়ায় সব ঘটনা ই মনে দাগ ফেলে রাখে। যেমনটা দেখা যায় জনকল্যাণমুখী সরকারের ক্ষেত্রে। আমি দুঃখবিলাসী ক্ষমতা চাই বোধ হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



