
নামাজী, তোর নামাজ হলো রে ভুল।
মসজিদে তুই রাখিলি সিজ্দা, ছাড়ি ইমানের মূল॥
নামাজে সামিল হয়ে জামাতের,
আউড়ালি মুখে সুরা কোরানের,
ভাব্লি কি তুই পার হয়ে গেলি, পুলসেরাতের কূল॥
আজ মিলন তীর্থে বাঁধ রে কাতার মনের জায়নামাজে,
সেই আরফাতে তোর নুয়ে দে দিল না ফরমানি লাজে,
ওজু করে ফের তৌবার নীরে,
তহরিম বাঁধ ভীতু নত শিরে,
বন্দেগী তোর কবুল হবে রে, কিয়ামতে পাবি কূল॥
নামাজ পড়
নামাজ পড়, রোজা রাখ, কল্মা পড় ভাই।
তোর আখেরের কাজ করে নে, সময় যে আর নাই॥
সম্বল যার আছে হাতে
হজ্বের তরে যা কা’বাতে,
জাকাত দিয়ে বিনিময়ে শাফায়াত যে পাই॥
ফরজ তরক্ ক’রে কর্লি করজ ভবের দেনা,
আল্লাহ ও রসুলের সাথে হ’ল না তোর চেনা।
পরানে রাখ কোরান বেঁধে,
নবীরে ডাক কেঁদে কেঁদে,
রাত্রি দিন তুই কর্ মোনাজাত – আল্লাহ্ তোমায় চাই॥
নামাজ রোজা হজ্ জাকাতের
নামাজ রোজা হজ্-জাকাতের পসারিণী আমি
নবীর কলমা হেঁকে ফিরি পথে দিবস-যামী॥
আমার নবীজীর পিয়ারি আয়্রে ছুটে মুসলিম নারী,
দ্বীনের সওদা করবি কে আয় আয় রে মুক্তি কামী॥
জন্ম আমার হাজার বছর আগে আরব দেশে
সারা ভুবন ঠাঁই দিয়েছে আমায় ভালোবেসে।
আমার আজান ধ্বনি বাজে – কুল্ মোমিনের বুকের মাঝে
আমি নবীর মানস কন্যা আল্লাহ্ মোর স্বামী॥
সোজা পথে চল রে ভাই, ঈমান থেকো ধরে।
খোদার রহম মেঘের মতো ছায়া দেবে তোরে।।
তুমি বিচার করো না, কেউ করলে তোমার ক্ষতি;
এক সে বিচার-করনেওয়ালা ত্রিভুবনের পতি।
তোর ক্ষতির ডালে ধরবে মোতি তাঁর বিচারের জোরে।।
সকল সময় ধরে থেকো আল্লাহ নামের খুঁটি,
তিনি তোমার হেফাজতে দিবেন ক্ষুধার রুটি;
ইয়াকিন্-দীলে থেকো তুমি,দিবেন তোমায় তরে।।
জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম নামাজকে ইসলামী জাগরণের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন,
ঘুমাইয়া কাজা করেছি ফজর
তখনো জাগিনি যখন যোহর
হেলায় ফেলায় কেটেছে আসর
মাগরেবের ওই শুনি আজান
নামাজে শামিল হওরে এশাতে
এশার জামাতে আছে স্থান!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



